ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

সরিষার হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

জেলা প্রতিনিধি | কুড়িগ্রাম | প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২০২০

হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে দিগন্তজোড়া মাঠ। কী অপরূপ সরিষার খেত! যতদূর চোখ যায় কেবল হলুদ আর হলুদ। হলুদের সমারোহে সজ্জিত সরিষার প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন। সরিষার ব্যাপক ফলনে গ্রামীণ অর্থনীতিতে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে।

চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার ১৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১১ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে।

আরও অনেক জমিতে কৃষকরা সরিষার চাষ করবেন। সরিষা বিক্রি করে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে বলে আশা করছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৩টায় জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চর মাধবরাম এলাকায় সরিষার এমনি খেত দেখা যায়।

jagonews24

চর মাধবরাম এলাকার সরিষা চাষি আমিন জানান, তিনি দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় তার ব্যয় হয়েছে ৪০০ টাকা করে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৩ মণ সরিষা আসবে। গত বছর প্রতি মণ সরিষা বিক্রি করেছেন ২ হাজার ৪০০ টাকায়।

বাজারদর ভালো পেলে এবারও তিনি সরিষা বিক্রি করে লাভবান হবেন। সরিষার ফুল আসে এক মাস পর। দেড় মাস পর ফুলে সরিষা ধরে। চাষের তিন মাস পর সরিষা পরিপক্ব হয়।

একই এলাকার আরেক চাষি আবেদ আলী জানান, দেড় বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ১ হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে। সরিষার ফুলে খেত ভরে গেছে। ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৪ মণ সরিষা পাওয়া যাবে। বাজার ভালো পেলে প্রতি মণ ১৫-১৮শ টাকা বিক্রি হবে।

ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকার চাষি মইনুল জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। সরিষা ফুলে মাঠ ভরে গেছে। দেখে খুবই আনন্দ লাগছে। আশা করছি আবহাওয়া ভালো থাকলে ও জাত পোকার আক্রমণ থেকে সরিষা খেত রক্ষা করতে পারলে সরিষার ব্যাপক ফলন হবে। বিক্রি করে লাভবান হতে পারবো।

jagonews24

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, কুড়িগ্রামে সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ব্যয় হয় ৩-৪ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৮-১০ হাজার টাকা লাভ করা যায়। সরিষা খেত জাত পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়।

তিনি আরও বলেন, এঁটেল মাটিতেও সরিষা চাষ হয়। এঁটেল-দোঁআশ মাটিতে সরিষার চাষ সব থেকে ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়।

সঠিক পরিচর্যা পেলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কুড়িগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

মো. মাসুদ রানা/এমএমএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন