ফল গাছে ভাগ্য বদলে গেল নওশেরের
মাগুরার শালিখায় সোনা সুন্দরী থাই লেবু এবং দেশি-বিদেশি মালটা, পেঁপে, আম, জাম, কাঁঠাল, বাতাবি লেবুসহ শতাধিক দেশি-বিদেশি ফলজ গাছ ও ফল বিক্রি করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন নওশের আলী। মাগুরা-যশোর সড়কের শতখালি বাজার থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে ২ একর ৪০ শতক জমিতে নার্সারি গড়ে তুলে ফলজ গাছ রোপন করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্রি করছেন ফল ও চারা। যার ফলে একদিকে যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছেন তিনি অপরদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন এলাকার বেকার যুবকেরা।
নওশেরের এই নার্সারিতে স্থানীয় অনেক বেকার কাজ করে পরিবারের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা করে থাকেন। এখানে উৎপাদিত সকল ফলের মধ্যে অন্যতম সোনা সুন্দরী থাই লেবু। যে গাছে তিন মাস পরে ফুল ও চার মাস পরে গাছ থেকে তোলা যায় লেবু।
নওশের আলী বলেন, মাত্র কয়েক বছর আগে তিনি পরীক্ষা মূলকভাবে নিজের এক টুকরা জমিতে এসব ফলের গাছ লাগিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু পরবর্তীতে লাভ ভালো হওয়ায় নার্সারি করেছেন। বর্তমানে এই নার্সারিতে সনাতন থাই লেবু এক প্রকার নতুন জাত। ফল ও চারা উৎপাদন ও বিক্রি করা হয় যা চাহিদা মাফিক রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো হয়। তিনি আরও বলেন- যেসকল তরুণ-যুবকেরা নার্সারি করতে তুলবে তাদেরকেউ তিনি বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার প্রামাণিক বলেন- ইতিমধ্যে তিনি এই নার্সারিটি পরিদর্শন করেছেন। শুধু নওশার আলী নয় তাদের মত যারা নার্সারি গড়ে তুলে দেশিয় ফল ও চারা উৎপাদনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে তাদের জন্য জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগীতাসহ পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে ।
মো. আরাফাত হোসেন/মিজান/এসইউ/এএ/পিআর