কোয়েল পালন করবেন কেন?
কোয়েল একটি লাভজনক পোল্ট্রি। পোল্ট্রিতে যে এগারোটি প্রজাতি রয়েছে, তার মধ্যে কোয়েল ছোট আকারের পোষা পাখি। হাঁস-মুররি পালনের মতো ব্যাপক পরিচিত না হলেও কোয়েল পালন বর্তমানে দেশে যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কেননা কম মূল্যে, কম জায়গায়, কম খাদ্যে কোয়েল পালন করা যায়।
কেন পালন করবেন: দেশের অনেক জেলায়ই বর্তমানে কোয়েল ফার্ম গড়ে উঠেছে। তাই আপনিও পালন করতে পারেন—
• কোয়েল আকৃতিতে ছোট বলে সহজেই আবদ্ধ অবস্থায় ও কম জায়গায় বেশি সংখ্যক পালন করা যায়।
• খরচ কম হওয়ায় যে কেউ কম পুঁজিতে ছোটখাটো খামার দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
• ৫ সপ্তাহের মধ্যে (জাপানি কোয়েল) এবং ৮ সপ্তাহের মধ্যে (ববহোয়াইট কোয়েল) পূর্ণতা লাভ করে।
• পূর্ণতা পেলেই মাংসের জন্য ব্রয়লার কোয়েল বাজারজাত করার জন্য উপযুক্ত হয়।
• ৬-৭ সপ্তাহ (জাপানি কোয়েল) ও ৮-১০ সপ্তাহের মধ্যে (ববহোয়াইট কোয়েল) ডিম পাড়া শুরু করে।
• প্রতিটি জাপানি ও ববহোয়াইট কোয়েল বছরে যথাক্রমে ২০৫-৩০০ ও ১৫০-২০০টি ডিম দিয়ে থাকে।
• ১৭-১৮ দিনের মধ্যে কোয়েলের ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়।
• কোয়েলের মাংস ও ডিম অত্যন্ত সুস্বাদু এবং গুণগতভাবে উৎকৃষ্ট।
• মুরগির তুলনায় কোয়েলের দেহের মাংসের ওজন আনুপাতিকহারে বেশি হয়।
• কোয়েলের বেঁচে থাকার হার মুরগির তুলনায় বেশি।
• কোয়েলের রোগ খুব কম এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অন্য পোল্ট্রির চেয়ে বেশি।
• কোয়েল পালনে খাবার বাবদ খরচ অনেক কম হয়।
• কোয়েলের দৈহিক ওজনের তুলনায় ডিমের শতকরা ওজন বেশি।
• ডিমে কোলেস্টেরল কম এবং প্রোটিনের ভাগ বেশি। তাই ডিমের ব্যাপক চাহিদা।
• কম পুঁজিতে সারা বছর কোয়েল পালন করা যায়।
• কোয়েল পালন করে স্বনির্ভর কর্মসংস্থান তৈরির মাধ্যমে বেকার সমস্যা দূর করা যায়।
• কম জায়গায় পারিবারিক ভাবেও কোয়েল পালন করা যায়।
এসইউ/পিআর