ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

লিচুর বাগান কেন করবেন?

আবু আফজাল সালেহ | প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ০১ জুন ২০২০

কবি নবকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের জনপ্রিয় সেই কবিতাংশ সবারই মনে আছে। তেমনি বিজ্ঞানের উৎকর্ষতায় এখন মৌ চাষ বাড়লেও মৌমাছির সেই খাদ্য খোঁজার অভ্যাস কিন্তু বদলায়নি। মৌমাছির এমন ছোটাছুটি দেখা যায় ফুল-ফলের ঘ্রাণে। চৈত্র মাসে লিচুর মুকুল আসার সময়ও মৌমাছির ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তাই তো লিচুর বাগানে মধু বা রেণু সংগহ করতেই মৌমাছির এ ব্যস্ততা। টসটসে লিচু ফলেও মৌমাছির রসাস্বাদনের দৃশ্যও কম সুন্দর নয়।

এখন লিচুর মৌসুম প্রায় শেষের দিকে। এমন সময় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর গ্রামে দেখা যায়, একটি লিচুর বাগান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ঝড়ে নষ্ট হওয়ার পরও অবশিষ্ট লিচু গাছে ঝুলছে। বাগানের মালিক জিন্টুর সাথে ঘুরে ঝরে যাওয়ার পর অবশিষ্ট লিচু ও মৌমাছির ব্যস্ততা দেখা গেল।

in-(3).jpg

লিচু একটি মৌসুমী ফল। বাংলাদেশের প্রায় সব স্থানেই লিচু হয়। তবে রাজশাহী, পাবনা ও দিনাজপুর অঞ্চলে ভালো ফলন হয়। মধু সৃষ্টির পাশাপাশি এর পুষ্টিগুণও অনেক। এতে আছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-সি। মানবদেহের হাড়, দাঁত, চুল, ত্বক ও নখ ভালো রাখতে এ ক্যালসিয়াম দরকার।

হিসাব করে দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম লিচুতে ১৩.৬ গ্রাম শর্করা, ৬১ গ্রাম ক্যালরি, ১০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৭ মিলিগ্রাম লৌহ ও ৩১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি রয়েছে। এই ১০০ গ্রাম লিচু বলতে মাঝারি আকারের প্রায় ১০টি লিচুকে বোঝায়।

in-(3).jpg

মার্কিন ওষুধ প্রশাসন বিভাগ বলছে, প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে ৬৬ কিলোক্যালরি শক্তি ও ১৬ গ্রাম শর্করা রয়েছে। এতে চর্বি একেবারেই নেই। তবে আরও আছে ৭১ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ১৭০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১৪ মাইক্রোগ্রাম ফলেট এবং ১ মিলিগ্রাম সোডিয়াম।

জাপানের কিয়োরিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, লিচুতে রয়েছে অলিগোনল নামের এক ধরনের উপাদান। একে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ উপাদান-
১. রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে
২. ত্বকে ক্ষতিকর অতি বেগুণি রশ্মির প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে
৩. ওজন কমায় এবং
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

in-(3).jpg

প্রচুর ভিটামিন-সি’র সাথে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকার কারণে লিচু বেশ কিছু রোগ, যেমন- সর্দির সমস্যা, ফ্লু, কাশি প্রতিরোধ করে। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে লিচু কার্যকরী একটি ফল। তাই লিচুর বাগান করা আমাদের জন্য আবশ্যক। ছোট-বড় যেকোনো ধরনের বাগান করতে পারেন আজই।

লেখক: কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট।

এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন