হুমকির মুখে গোয়ালন্দের চাই ও দুয়ারির বাজার
মাছ ধরতে জেলেরা বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করেন। যার মধ্যে চাই (ঘূর্ণি) ও দুয়ারি অন্যতম। এসব যন্ত্রে ধরা পড়ে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের ছোট মাছ। সুস্বাদু এসব মাছ ধরতে বাঁশের তৈরি চাই ও দুয়ারির বাজার বসেছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন বাজারে।
এখানে সপ্তাহে দুই দিন খুচরা ও পাইকারি দরে চাই ও দুয়ারি বিক্রির জন্য হাট বসে। এখান থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা জেলেরা মাছ ধরার যন্ত্র কিনে নেন। তবে সম্প্রতি ‘চায়না দুয়ারি’ বাজারে পাওয়া যায় বলে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে চাই ও দুয়ারির ব্যবহার।
জানা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার বহু পরিবার চাই ও দুয়ারি তৈরির সাথে জড়িত। বিভিন্ন জাতের বাঁশ দিয়ে এ যন্ত্র তৈরি করেন তারা। একটি বাঁশ দিয়ে ৬০-৭০টি চাই বা দুয়ারি তৈরি হয়। একজন শ্রমিক দিনে ১০-১২টি চাই তৈরি করতে পারে।
শনিবার ও বুধবার গোয়ালন্দ স্টেশন বাজারে এ চাই বা দুয়ারি বিক্রি হয়। এ সময় মানভেদে ১শ চাই সাড়ে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা এবং খুচরাভাবে প্রতিটি চাই ৩৫-৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এসব যন্ত্র তৈরির প্রতিটি বাঁশ ৬০-১০০ টাকায় কেনা হয়।
চাই বিক্রেতারা জানান, এ যন্ত্র বিক্রি করে তারা কোনভাবে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর চাইয়ের বাজার ভালো না। চায়না দুয়ারি বাজারে আসায় বাঁশের তৈরি যন্ত্র হুমকির মুখে পড়েছে। তাই চায়না দুয়ারির বাজারজাত বন্ধ এবং তাদের তৈরি যন্ত্রকে কুটির শিল্প হিসেবে আখ্যা দিতে কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহা. মজিনুর রহমান বলেন, ‘এ যন্ত্র ব্যাপকভাবে তৈরি করে মৎস্যজীবীদের কাছে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন স্থানীয়রা। এ যন্ত্র তৈরির সাথে যারা জড়িত এবং যারা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেন, এ দুই শ্রেণির লোকই লাভবান হন।’
রুবেলুর রহমান/এসইউ/এমএস