যে কারণে ঢেঁড়শ চাষ করবেন
ঢেঁড়শকে আমরা খুব সহজলভ্য একটি সবজি হিসেবে চিনি। এ সময়ে বাজারের জনপ্রিয় সবজি হচ্ছে ঢেঁড়শ। আমরা প্রতিনিয়তই ঢেঁড়শ খাই। কিন্তু এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে অনেকেই জানি না। এ পুষ্টিগুণের কারণেই বেশি বেশি ঢেঁড়শ চাষ করতে হবে। বিস্তারিত জানাচ্ছেন তামান্না আফরোজ তিথী-
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে: ঢেঁড়শে রয়েছে প্রচুর খাদ্য আঁশ (ফাইবার)। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের আঁশ সমৃদ্ধ খাবার খেতে বলা হয়। এ খাদ্য আঁশ রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করে। ইনসুলিনের স্পর্শকাতরতা বাড়ায়। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অন্ত্র ভালো রাখে: এর ডায়েটারি ফাইবার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে সহায়তা করে। অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে দারুণ ভূমিকা পালন করে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: ঢেঁড়শের মধ্যে থাকা খাদ্য আঁশ রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে লেকটিন। এটি এক ধরনের সুগার বাইন্ডিং প্রোটিন। গবেষণায় বলা হয়, এ প্রোটিন স্তন ক্যান্সারের কোষের সঙ্গে লড়াই করে। এছাড়া ঢেঁড়শের ফোলেট ভিটামিন-বি’র একটি প্রকারভেদ। এটিও ক্যান্সার প্রতিরোধে উপকারী। গবেষণায় বলা হয়, ফোলেট স্তন, প্যানক্রিয়াস, জরায়ু ও ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
হজমে সাহায্য করে: এর খাদ্য আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়; এটি হজমে উপকারী। ওজন কমাতেও এটি কার্যকর।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন-এ। এর মধ্যে রয়েছে বেটা-কেরোটিন। বেটা ক্যারোটিন হলো ভিটামিন-এ তৈরির কাচামাল। এ দুটো উপাদান দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে বেশ কার্যকর।
কোলেস্টেরল কমায়: ঢেঁড়শের মধ্যে রয়েছে সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিন। যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ঢেঁড়শ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এছাড়া প্রয়োজনীয় মিনারেল, যেমন- ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চুলের যত্নে: ঢেঁড়শ চুলের যত্নে খুবই জরুরি। এটি কন্ডিশনার হিসেবে বেশ ভালো। এছাড়া খুশকি দূর করে এবং শুষ্ক মাথার ত্বকের জন্য উপকারী।
বিষণ্নতা দূর করে: ঢেঁড়শ বিষণ্নতা, দুর্বলতা এবং অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।
লেখক: শিক্ষার্থী, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
এসইউ/পিআর