উপকূলে সবুজের হাতছানি
জলবায়ু সংকটে ক্রমাগত হুমকির মুখে উপকূল। বেড়েছে পরিবেশ দূষণ, কমছে সবুজ গাছপালার সংখ্যাও। দুর্যোগের ছোট-বড় ধাক্কা উপকূলকে ক্ষত-বিক্ষত করছে। এসব দুর্যোগ এখনও প্রাণ কেড়ে নেয়। তবুও সচেতন নয় মানুষ। সচেতন নয় সম্ভাবনাময় প্রজন্ম। ফলে এখানকার জীবন-জীবিকায় জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করার মতো। এ আঘাত ক্রমেই বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে চাই সবুজ সচেতনতা। আন্দোলন চাই সবুজ সুরক্ষার জন্য। এমন একটি কর্মসূচির নাম ‘সবুজ উপকূল’।
যে কর্মসূচি ২০১৮ সালে চতুর্থ বছরে পা রেখেছে। যার শুরু হয়েছিল গ্রীন ব্যাংকিং কার্যক্রমের অংশ হিসেবে। ২০১৫ সাল থেকে টানা ৩ বছর কর্মসূচিটি একটি বেসরকারি ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছিল। এ বছর উপকূলে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার বর্ণাঢ্য আয়োজনে কর্মসূচির ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে উপকূল উন্নয়ন সংস্থা ‘উপকূল বাংলাদেশ’। এর সহযোগিতা করছে ‘আলোকযাত্রা-কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক’।
> আরও পড়ুন- ডাকাতিয়ার কেন এই মরণদশা
ইতোমধ্যে টানা ৪ বছর সফলভাবে সম্পন্ন হতে চলেছে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম। বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকায়। সেখানে দেশের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। মাঠ কর্মসূচির আওতায় ছিলো শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সবুজ বিষয়ক সৃজনশীল প্রতিযোগিতা, দেয়াল পত্রিকা প্রকাশ, বক্তব্য, উপস্থাপনা, গাছের চারা রোপণ। শিক্ষার্থীরাই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক, তারাই অসাধারণ বক্তা।
সবুজ উপকূল অনুষ্ঠানগুলোতে বিশিষ্টজনদের মুখ থেকে শিক্ষার্থীরা শুনেছে, সবুজ কেন দরকার? কেনই বা সবুজ সুরক্ষা জরুরি? কিংবা এই সবুজ সুরক্ষায় তাদের ভূমিকা কী হতে পারে? এভাবেই শিক্ষার্থীরা উপকূলের সবুজ সম্পর্কে সজাগ হচ্ছে। উপকূলের শিক্ষার্থীদের বৃহদাংশ এখন এ কর্মসূচির ছোঁয়ায় জীবন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছে। তাদের কেউ এখন গাছ লাগায়, কেউ গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করছে মানুষকে।
এসইউ/এমএস