ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

পাটের দামে কৃষকের মুখে সোনালি হাসি

জেলা প্রতিনিধি | নওগাঁ | প্রকাশিত: ০২:৪৯ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

উত্তরাঞ্চলের জেলা নওগাঁয় ধান ও সবজির জন্য প্রসিদ্ধ হলেও চাষ হয়ে থাকে পাটেরও। পাট সোনালি আঁশ হিসেবে আখ্যায়িত হলেও বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় ফলন যেমন কম হয়েছে, পাটের মানও হতাশাজনক। খরচের তুলনায় দামে তেমন পোশায় না। ফলে প্রতিবছরই লোকসান গুনতে হতো চাষিদের। এতে প্রতিবছরই কমছে পাটের চাষ।

এবছর পাটের চাষ কম হলেও দামে স্বস্তি পেয়েছেন চাষিরা। ফলে তাদের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসির ঝিলিক। তবে ভালো দাম এবং কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সুযোগ-সুবিধা পেলে আগামীতে পাটের চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, এবছর ৬ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে ৮ হাজার ২৫ হেক্টর এবং ২০১৬ সালে ৭ হাজার ৮১০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছিল। জমিতে দেশি, মেস্তা এবং তোষা জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। তবে উচ্চ ফলনশীল তোষা জাতের পাট চাষ হয়েছে বেশি।

Jute-cover

> আরও পড়ুন- নোবিপ্রবিতে ড্রাগন ফল চাষে সফলতা

পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পাটকাঠি থেকে পাট ছাড়ানো ও শুকানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। বৃষ্টিতে নদী-নালা, খাল-বিল ও ডোবাতে পানি থাকায় পাট জাগ দেওয়ার কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি। পাটের ভালো ফলন হলে প্রতিবিঘায় ১০-১২ মণ হয়ে থাকে এবং খারাপ হলে ৭-৮ মণের মতো হয়। গত কয়েক বছর আগে প্রতিমণ পাটের দাম ছিল ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা। গতবছর প্রতিমণ পাটের দাম ছিল ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। এবছর প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা।

আবহওয়া অনুকূলে না থাকায় গতবছরের তুলনায় কমেছে পাটের চাষ। এছাড়া প্রতিবছর পাটের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে গুনতে এখন অন্য চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছেন চাষিরা।

বদলগাছী উপজেলার বারফলা গ্রামের তুহিন বলেন, ‘গত ৮-১০ বছর ধরে ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করছি। এতে সব মিলিয়ে প্রায় ৮-৯ হাজার টাকা খরচ হতো। সে তুলনায় ন্যায্য দাম পাইনি। তবুও জমি ফেলে রাখতে চাই না বলে পাট চাষ করি।’

Jute-cover

> আরও পড়ুন- বেগুনী ভুট্টার জাত উদ্ভাবনে শেকৃবিতে নিবিড় গবেষণা

কোলা গ্রামের বিধান প্রামানিক বলেন, ‘এবছর আবহাওয়া ভালো না থাকায় ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ফলন একটু খারাপ হয়েছে। তবে দাম খুবই ভালো। বর্তমানে পাটের যে দাম আছে, এ দাম থাকলে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।’

মান্দা উপজেলার চকগোবিন্দ গ্রামের কৃষক আহম্মদ আলী বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় দাম ভালো পেয়েছি। ফলন কম হওয়ায় হয়তো দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। ভালো দাম পেলে আগামীতেও আগ্রহ বাড়বে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মনোজিত কুমার মল্লিক জাগো নিউজে বলেন, ‘এবছর মৌসুমের শুরুতে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। অনেক কৃষক সঠিক সময়ে বীজ বপণ করতে পারেননি। এ জন্য গত বছরের তুলনায় প্রায় ১ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে পাট চাষ কম হয়েছে। তবে বাজারে পাটের দাম ভালো। আশা করি আগামী বছর কৃষকরা পাট চাষে উদ্বুদ্ধ হবে।’

আব্বাস আলী/এসইউ/এমএস

আরও পড়ুন