ভিডিও EN
  1. Home/
  2. কৃষি ও প্রকৃতি

নোবিপ্রবিতে ড্রাগন ফল চাষে সফলতা

জেলা প্রতিনিধি | নোয়াখালী | প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ১৮ জুলাই ২০১৮

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ড্রাগন ফল চাষে সফলতা পাওয়া গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের বাগানবাড়িতে এ ফলের চাষ করেন গবেষক ড. সুবোধ কুমার সরকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলক ড্রাগন ফল চাষে সফলতা লাভের পর প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, নোয়াখালী অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া ওই ফল চাষের জন্য উপযোগী।

এ বিষয়ে ড. সুবোধ কুমার সরকার জানান, লাল রঙের ড্রাগন ফলের অনেক ওষুধি গুণ আছে। এ ফল ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলটি কোলন ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়াও এ ফলে প্রচুর ভিটামিন সি, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও এন্টিঅক্সিডেন্টসহ অনেক উপকারী উপাদান রয়েছে, যা আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সহায়তা করে।

গবেষক ড. সুবোধ কুমার সরকার এ বছরের জানুয়ারির শুরুতে উপাচার্যের বাগান বাড়িতে একটি টবে পরীক্ষামূলক ড্রাগনের চারা রোপণ করেন। ৬ মাস পর এতে ড্রাগন ফল ধরে। ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে একটি ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করেছিলেন ড. সুবোধ কুমার সরকার। চারাটি তিনি রাজশাহীতে নিজের বাড়ির ছাদে প্রথমে রোপণ করে এক বছরের মাথায় প্রথম সফলতা পান। এবার সেই ড্রাগন ফলের চারা নোয়াখালীর মাটিতে রোপণ করে সফলতা পেলেন এ গবেষক।

ড্রাগন ফল এশিয়া ও ইউরোপে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং প্রচুর চাহিদা সম্পন্ন। এশিয়ার থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রচুর উৎপন্ন হয় এবং তাদের কাছে ব্যাপক পরিচিত। আমাদের দেশে এখনও তেমন পরিচিত নয়, যদিও রাজশাহী ও নাটোর অঞ্চলের মাটিতে এর চাষ কিছুটা শুরু হয়েছে। তাই নোয়াখালীতে বাণিজ্যিকভাবে এর চাষাবাদ শুরু করা গেলে দেশের কৃষি ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক সহায়তা পেলে ড্রাগন ফলের চাষ ব্যাপক পরিসরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতিত জমিতে করা সম্ভব। এ ফলের বাণিজ্যিক চাষ কৃষকদের মাঝে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের খাদ্য পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।

মিজানুর রহমান/এসইউ/পিআর

আরও পড়ুন