দেশীয় কার্পের সঙ্গে শিং-কৈ মাছের মিশ্র চাষে বাড়বে উৎপাদন
পুকুরে দেশীয় কার্পের (রুই, কাতলা) সঙ্গে শিং ও কৈ মাছের মিশ্র চাষে প্রয়োজনের অর্ধেক খাবার সরবরাহ করেই অধিক মাছ উৎপাদনের কৌশল উদ্ভাবন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক। পুকুরে কম খাবার সরবরাহের ফলে কৃষকদের মাছ উৎপাদন ব্যয় যেমন কমে যাবে তেমনি অধিক খাবার পুকুরের পরিবেশও নষ্ট করবে না।
বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সম্মেলন কক্ষে‘পুকুরের জলজ পরিবেশের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে কৈ, শিং এবং দেশীয় কার্পের মিশ্র চাষের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ’বিষয়ক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গবেষণার প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. শাহ্রোজ মাহেন হক এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, অধিক উৎপাদনের আশায় মৎস্যচাষীরা প্রায়ই তাদের পুকুরে অধিক খাবার দিয়ে থাকেন। কিন্তু অধিক খাবার যেমন মাছের জন্য ক্ষতিকর তেমনি পুকুরের পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। এছাড়াও খাবারের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকদের উৎপাদন খরচও বেশি হয়। তাই দেশীয় কার্পের সঙ্গে শিং অথবা কৈ মাছের মিশ্র চাষে প্রয়োজনের অর্ধেক খাবার সরবরাহ করেই কাঙ্খিত উৎপাদন পাবেন মৎস্যচাষীরা।
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. শাহ্রোজ মাহেন হক। কর্মশালায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন অঞ্চলের মৎস্যচাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
মো. শাহীন সরদার/আরএ/জেআইএম