বারি আলুর দ্বিগুণ ফলন পেতে চাইলে
লবণাক্ত জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত লবণাক্ত সহিষ্ণু বারি-৭২ জাতের আলুর বীজ প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক রোপণ করে সফলতা পাওয়া গেছে। এ জাতের আলু উচ্চ ফলনশীল ও লবণাক্ত সহিষ্ণু। তাহলে জেনে নিন এর চাষ পদ্ধতি-
বৈশিষ্ট্য
১. গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ও ইনটারমিডিয়েট টাইপ।
২. কাণ্ড সবুজ-বেগুনি এবং এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি খুব বেশি। মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি কম।
৩. পাতা গাঢ় সবুজ এবং মাঝারি আকারের।
৪. মধ্য শিরায় ও কচিপত্রফলকের কিনারায় এন্থোসায়ানিনের বিস্তৃতি নেই।
৫. আলু খাটো ডিম্বাকৃতি এবং মাঝারি থেকে বড় আকারের। আলুর রং লাল, চামড়া মসৃণ।
৬. আলুর শাসের রং হলুদ। চোখ অগভীর।
উপযোগী এলাকা
সমগ্র বাংলাদেশ। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য এ আলু চাষের ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী।
বপনের সময়
মধ্য-কার্তিক থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (নভেম্বর) মাসে আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়। জাতটি তাপ সহনশীল বিধায় প্রায় একমাস দেরিতে চাষ করলেও ভালো ফলন পাওয়া যায়।
উৎপাদন
এ জাতের আলু হেক্টরপ্রতি প্রায় ৪০ মেট্রিক টন করে উৎপাদিত হয়। সাধারণ জাতের আলুর চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ফলন হয়।
ফলন
বপনের ৮৫-৯০ দিন পর আলু উত্তোলন করা যায়। অম্লীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি বা হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি বা হেক্টর প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
এসইউ/জেআইএম