নতুন ধান উদ্ভাবন করলেন রাবি অধ্যাপক
এবার নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল হক। নতুন ধানটির নাম দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে মিলিয়ে ‘রাবি ধান১’। এর স্বীকৃতি দিয়েছে ন্যাশনাল সিড বোর্ড ও বাংলাদেশ এগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিল (বিএআরসি)। এখন শুধু বাজারজাত হওয়া বাকি।
জানা যায়, এই ধানে প্রচলিত ধানের তুলনায় ফলন হবে বেশি। শীষ থেকে খুব সহজে ঝরে পড়বে না। ধানটিতে ব্যাকটেরিয়াল ব্লাইট রোধক জিন বিদ্যমান। ২০১৪ সালে এ ধানের অরিজিন ফিলিপাইন থেকে আনা হয়। আমনের জাত ‘ব্রি৩৯ ধান’র কাছাকাছি জাত ‘রাবি ধান১’। চিকন মিনিকেট চাল উৎপন্ন হবে এই ধান থেকে; যার বাজারমূল্য উন্নত মিনিকেট চালের সমান। তবে ব্রি৩৯-এর থেকে ১৫ দিন আগেই রাবি ধান১০এর আবাদ উঠবে। ব্রি৩৯-এর আবাদ উঠতে সময় লাগে ১৪৫ দিন। সেখানে ‘রাবি ধান১’র আবাদ উঠতে লাগবে ১৩০ দিন।
অধ্যাপক আমিনুল হক বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই প্রথম নতুন ধান আবিষ্কার হলো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হওয়ার কারণেই রাবির নাম চিরস্মরণীয় করে রাখতেই ভালোবাসার জায়গা থেকে এমন নাম রাখা।’
তিনি জানান, ২০১৫ সালের আমন মৌসুমে প্রথমবারের মতো ‘রাবি ধান১’ দেশের চারটি স্থানে ও ২০১৬ সালে তিনটি স্থানে পরীক্ষামূলক চাষ করা হয়। দুবারই ব্রি৩৯-এর থেকে বেশি ফলন দেয়। সেইসঙ্গে চাষাবাদে বেশি উপযোগী হিসেবে প্রমাণিত হয়। বর্তমানে এর স্বীকৃতি মেলে।
এটি চাষ করে কিছু বাড়তি সুবিধা পাবেন চাষিরা। উত্তরাঞ্চলের আলু চাষিরা আমন মৌসুমে এই ধান ঘরে তুলে আলুর আবাদ শুরু করার সময় পাবেন। এ ধানের রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অনেক কম। এতে কীটনাশক খরচও কম হবে।
এসইউ/জেআইএম