পুষ্টিগুণে ভরপুর মাশরুম
পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণ সম্পন্ন মাশরুম। কেউ কেউ একে ব্যাঙের ছাতাও বলে থাকে। বর্তমানে খাবার হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাশরুম। রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল উপাদান।
দেহের রোগ -প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি সহায়ক অত্যাবশ্যকীয় ১০টি অ্যামাইনো এসিডও বিদ্যমান। চর্বির পরিমাণ খুবই কম থাকে। হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ ও ক্যান্সারসহ বেশকিছু মারাত্মক রোগব্যাধি প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মাশরুম। নানা ধরনের খাবারও তৈরি করা হচ্ছে মাশরুম থেকে।
বাংলাদেশের আবহাওয়া মাশরুম চাষের জন্য বেশ উপযোগী। পুষ্টির ঘাটতি পূরণ, দারিদ্র বিমোচন, মাথাপিছু আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মাশরুম চাষ। বেকার তরুণ -তরুণীদের কর্মসংস্থানেরও দুয়ার খুলে দিতে পারে বিভিন্ন ভালো জাতের মাশরুম চাষ। এছাড়াও অনেকে বাসা বা বাড়ির আনাচে -কানাচে ছোট পরিসরে অনেকটা শখের বশেও মাশরুম চাষ করে থাকে।
জানা যায়, সারাবিশ্বে প্রায় ১৪ হাজার প্রজাতির মাশরুম রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার প্রজাতি খাবার উপযোগী এবং ৭০০ প্রজাতি ঔষধি হিসেবে খ্যাত। বাকিগুলোর মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪০০ প্রজাতির মাশরুমই বিষাক্ত।
সম্প্রতি জাতীয় মাশরুম উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কেন্দ্র হতে ৯ প্রজাতির মাশরুম চাষের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। সারা বছরই চাষ করা যায়, এমনকি চাষের ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে কম।
এছাড়াও সাভারে অবস্থিত এ মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে মাশরুম চাষের ওপর প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এ কার্যক্রম চলে প্রতিদিন সকাল ৯টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। প্রতিদিন প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য আগ্রহীরা ভিড় জমান।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনেই রয়েছে বাহারি মাশরুম বিক্রির জন্য ছোট একটি হাট। মাশরুম বিক্রেতারা জানান, প্রতিদিন সাধারণত একেকজন প্রায় ১৫-২৫ কেজি মাশরুম বিক্রি করে থাকেন। প্রত্যেকের মাসিক আয় ২৫-৩০ হাজার টাকা।
মাশরুম উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক ড. নিরদ চন্দ্র সরকার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা বাংলাদেশে চাষের উপযোগী ৯টি জাত অবমুক্ত করেছি। মাশরুম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সম্ভব। প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে মাশরুম চাষ।
এমআরএম/পিআর