জামালপুরে চিচিঙ্গা চাষে লোকসানের আশঙ্কা
বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চরাঞ্চলে ব্যাপকহারে চিচিঙ্গা চাষ করেছে জামালপুরের কৃষকরা। গত বছর চিচিঙ্গা চাষ করে লাভবান হওয়ায় কৃষকরা আরও বেশি জমিতে চিচিঙ্গার চাষ করেছে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়া আর নিম্নমানের কীটনাশক প্রয়োগ করার ফলে কৃষকরা লাভের বদলে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে।
এ বছরের দু’দফা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জামালপুর সদর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ এবং সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা এবং ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী চরে ব্যাপকহারে চিচিঙ্গার চাষ করেছে জামালপুরের কৃষকরা। গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চিচিঙ্গা চাষ করে উৎপাদন ভালো হওয়ায় বেশ লাভবান হয় কৃষক।
গত বছর জামালপুর জেলায় চিচিঙ্গা চাষ হয়েছিল ২শ’ ৮৭ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন হয়েছিল ৩ হাজার ৩শ’ ২৮ মেট্রিক টন। এ বছর ৩শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে চিচিঙ্গার আবাদ হয়েছে। গত বছরের মতো বেশি লাভের আশায় এবার আরও বেশি জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করেছে কৃষকরা। কিন্তু আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকায় উৎপাদন কম হয়েছে। এছাড়া পোকার আক্রমণ ঠেকাতে দেওয়া কীটনাশক কাজ না করায় ফলনও হচ্ছে কম।
লক্ষ্মীরচর গ্রামের কৃষক মেহের শেখ জানান, গত মৌসুমে ৫ একর জমিতে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে চিচিঙ্গা চাষ করে প্রায় ১ লক্ষ টাকা বিক্রি করেছেন। সে আশায় এ বছর ৭ একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করেছেন, কিন্তু ফলন ভালো হয়নি।
বারুয়ামী গ্রামের ইদ্রিস আলী জাগো নিউজকে বলেন, ‘চাষের পর অসময়ে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বেশিরভাগ গাছ মরে যায়। পরে আবার নতুন করে চারা লাগালেও ফুল আসার পর পোকার আক্রমণ ঠেকাতে বিষ প্রয়োগ করলেও সেগুলো কাজে আসেনি। এখন ফলন ভালো না হওয়ায় লাভের কোনো আশা নেই, কোনো রকমে খরচ উঠাতে পারলেই হলো।’
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘চিচিঙ্গার আগাম চাষ করায় আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় উৎপাদন কম হয়েছে। তবে আশানুরুপ ভালো ফলন পেতে কৃষি অধিদফতরের মাঠকর্মীরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।’
শুভ্র মেহেদী/এসইউ/পিআর