বিশ্বকবির ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী কাল


প্রকাশিত: ০২:০৫ পিএম, ০৭ মে ২০১৬

আগামীকাল (রোববার) পঁচিশে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর আলো করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তিনি চির নতুনের কবি, বর্তমান এবং ভবিষ্যতের কবি। মৃত্যুহীন অনন্ত জীবনের স্বাক্ষর বয়ে যাবেন যুগ থেকে যুগান্তরে।

রবীন্দ্রনাথ বাংলার কবি, বাঙালির কবি। তবে তিনি নিজেকে বিশ্বচরাচরের অংশ হিসাবে বিশ্বাস করতেন। বাঙালিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, ‘তুমি নিছক বাঙালি নও, তুমি বিশ্বচরাচরের অংশ।’ সকলের সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রেমের মধ্যে বাঁচতে বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। সঙ্গে যুক্ত করতে বলেছেন প্রণীজগৎ, নিসর্গ, প্রকৃতিকে। শুধু তাই নয়, শিল্পের জগৎ, কল্পনার জগতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজের বিস্তার ঘটাতে বলেছেন।

রবীন্দ্রনাথের ভাষায় ‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে, মুক্ত করো হে বন্ধ। সঞ্চার করো সকল কর্মে শান্ত তোমার ছন্দ। চরণপদ্মে মম চিত নিস্পন্দি করো হে। নন্দিত করো, নন্দিত করো, নন্দিত করো হে।’

প্রতিবছরের মত নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নোবেল বিজয়ী এই বাঙালি কবিকে স্মরণ করবে তার অগুনিত ভক্তরা। শুধু দুই বাংলার বাঙালিই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাংলা ভাষাভাষী কবির জন্মবার্ষিকীর দিবসটি পালন করবে হৃদয় উৎসারিত আবেগ ও শ্রদ্ধায়।

বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। ঢাকাসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করবে। বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনও বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

জাতীয় পর্যায়ে কবির ১৫৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। আগামীকাল (রোববার) বিকেল তিনটায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঢাকাস্থ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

রবীন্দ্রনাথ এবং তার সহধর্মিনী মৃনালিনী দেবেীর স্মৃতি বিজড়িত খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহিস্থ ‘রবীন্দ্র কমপ্লেক্স’ এ খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এতে রয়েছে প্রতিদিন লোকমেলা ও সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠানসহ আলোচনা সভা।

এছাড়া কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, নওঁগার পতিসরেও কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ প্রথম নোবেল বিজয়ী বাঙালি কবি। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলী কাব্য গ্রন্থের জন্য তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।

কবির গান-কবিতা, বাণী এই অঞ্চলের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে প্রভূত সাহস যোগায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শুধু নয়, চিরকালই কবির রচনাসমূহ প্রাণের সঞ্চার করে। আমাদের প্রতিটি সংগ্রামেই কবির চিরায়ত রচনাসমগ্র আজীবন স্বরণের শীর্ষতায় আবিষ্ট হয়ে আছেন।

আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।