সাজেদুর আবেদীন শান্তর চারটি কবিতা
পৌলমী
আচ্ছা পৌলমী, এখনো কি
আকাশ দেখিস? সবুজ ঘাসে পা রাখিস?
নরম রোদ গায়ে মাখিস?
আমি কিন্তু এখন আর এসব করি না।
তুই ছিলি তাই করতাম,
বড্ড বেশি পাগলামি।
মনে পড়ে একদিন কেঁদেছিলি?
বলেছিলি, ‘তুমি খুব বাজে
আমাকে শুধু কাঁদাও?
কেন বলো, আমি চলে যাবো?’
আজ ২৫৬ দিন
তুই ঠিকই চলে গেলি।
বলে গেলি, ‘ভালো থেকো।’
ভালো থাকতে বললেই কি
ভালো থাকা যায়?
শেষবার বলেছিলাম,
একবার বলো ভালোবাসি।
বলেছিলি, ‘মায়া বাড়িয়ে কী লাভ?’
বলেছিলাম—কথা হবে কি আর?
তুই বললি, ‘নাহ।’
খুব সহজ জবাবে
আমার হৃদয় রক্তজবা
সেদিন তোর হৃদয়ে অনুভব হয়নি,
এক মহাকালের ব্যথার কথা।
****
পাপিষ্ঠ
কেউ জানে না
মনের ভেতর
আত্মহত্যা করতে করতে
কতবার পাপিষ্ঠ হয়েছি।
কেউ জানে না
মনে মনে
কত অবিশ্বাসী প্রেমিকাকে
হত্যা করে বিবাদপ্রিয় হয়েছি।
****
দুঃস্বপ্ন
প্রতি রাতে যখন ঘুম ভেঙে যায়,
তোমার দুঃস্বপ্নে—
একাকী ভাবি,
তোমাকে ভালোবাসা দরকার।
নয়তো অন্যায় হবে।
শোনো প্রেয়সী,
আমি সহস্র পাপ করতে আগ্রহী,
কিন্তু অন্যায় না।
****
লুকোচুরি
একটি সত্য লিখবো
কিন্তু কিভাবে লিখবো?
কী লিখবো?
সত্য লেখার মতো—
সত্য শব্দ, সত্য বাক্য
কই পাবো!
সত্য গ্রহণের মতো
সত্য রাষ্ট্র, সত্য মানুষ
কই পাবো?
এর চেয়ে মিথ্যা লিখি—
মিথ্যে ভালোবাসার কথা
প্রেম, কাম-বাসনার কথা
তোমার চোখে চোখ রেখে
মরে যাওয়ার কথা
এসব প্রবঞ্চনা লিখি!
সত্য কই পাবো,
কীভাবে লিখবো!
এর চেয়ে সততার বুলি
আওড়াতে আওড়াতে
শঠতা করে যাই।
এসইউ/জিকেএস