অনিন্দ্য নূরের কবিতা
বিষাদ কাব্যের উপমা এবং অন্যান্য
বিষাদ কাব্যের উপমা
তোমার স্বচ্ছ নীল চোখের শিহরণে—
এখন একশ রাত্রির ফেরারি অন্ধকার।
আমি পৌনঃপুনিক পাপ করি পথ ভুলি
তোমার অলৌকিক নিশ্বাসের ভীতু ঝড়ে।
বাউণ্ডুলে সন্ধ্যামাখা গোধূলি বেয়ে সাত রং
চুয়ে চুয়ে পড়ছে—পৃথিবীর বেলাভূমির পথে।
বার বার হোঁচট খাওয়া জ্যোৎস্নার স্পর্শ ঠোঁটে
বিমূর্ত চুম্বন লেগে আছে—হ্যাপিতেশ আকাশে।
আমার মহল, মঞ্জিলে রাহুল পূর্ণিমার গ্রহণ—
জীবনের সহস্র শুদ্ধ বাণী দাগ কাটে বেহালায়।
উন্মাদ চারণ কবি পঙ্কিল নক্ষত্রের আলো কেড়ে
প্রভাত শিউলি হয় ঝরে—ফুলসজ্জা বিছানায়।
দুঃখ-কষ্টে মত্ত ক্যাফেইনে তোমার ভাড়াটে অনুভূতি
আমি শত প্রহসনে এক পৃথিবী কাব্য লেখি।
****
তোমার পূর্ণ শূন্যতায় এ শহর
মনে পড়ে—কতদিন আসোনি এ শহরে—
তোমার রেখে যাওয়া অনিন্দ্য শহর
আমি অসম্ভব যত্নে আগলে রেখেছি।
অদ্যাবধি—
গোলাপ কিংবা কোনো ফুলই ফুটতে দিইনি
নিষ্পাপ কলিতেই তারা মুখ গুঁজে আছে।
ভুল করেও কোনো পাখি গান করেনি
যদিও পাখিদের এখন গণহারে বিরহ চলছে।
শত রঞ্জিত ত্রস্ত যানবাহন অপেক্ষা করছে
বক্ষে নিস্তব্ধ ফাঁকা হাওয়া নিয়ে।
উড়ন্ত শহরে কোনো প্রজাপতি ও পাখা মেলেনি
কাঠগোলাপের বাগানে বাগানে।
অলিগলি, দেওয়ালে দেওয়ালে আর বিজ্ঞাপনে
তোমাকে নিয়ে কাব্যিক চিরকুটে ভরে গেছে।
এ শহর—নাভিশ্বাস দম নিয়ে অপেক্ষা করছে।
‘জানি তুমি আসবে কোটি সন্ধ্যার মায়া নিয়ে—
তখন পৃথিবির সমস্ত রং ঢেলে সাজাবো—এ শহরের
চেনা পথ, রাজপথ আর এ শূন্য বুক’
****
বইমেলা
তুমি বইমেলায় একদিন না হয় এসে দেখো—
‘মেলার সমস্ত নতুন মুদ্রিত বইয়ের
অধ্যায়ে অধ্যায়ে, পাতায় পাতায় আর বর্ণে বর্ণে
তোমাকে অভিবাদন জানাবো’
এসইউ/জিকেএস