মুহূর্তে মুহূর্তে মনে পড়ে
গোলাম রববানী
০১.
চোখ দুটি বন্ধ হলো—খুলে গেলো ঠোঁট ও অধর
বের হলো আলোর গতিতে অশ্রুসিক্ত জল;
সবেগে স্খলিত পানি—ও আমার পূর্বপুরুষের পুণ্য
ভালোবাসার ভাগ্যবতী অমূল্য এক পারাবার
০২.
তারচেয়ে বেশি চেয়ো না, যা পেয়েছো তা কমও না
না হয় দিনগুলো গেছে চলে—স্মৃতি আছে পড়ে
চাঁদের কলঙ্কের মতো; আঁধার রাতের রঙে একফালি
আলো হয়ে—ঘনছায়া পাতার আচ্ছাদিত অঙ্গে...
০৩.
ওগো, চাঁদপুরের মেয়ে মেঘনা, ডাকাতিয়া
তোমার মায়ার রশ্মি ভেদ করেছে মায়াবী অঙ্গে
সঙ্গে মায়া জান, ছে পড়ে যাবো—ছে, ঠাঁই
এদিক-ওদিক একবিন্দু সরে গেলে...
০৪.
টুক করে ছুঁয়ে দিতে পারি, পারি গিলেও ফেলতে
যদি বেঁধে থাকতে হয়ে চির গলার কাঁটা
ঢোক গিলতাম অনন্তকাল; অবারিত পাখির ডানা
০৫.
প্রতিদিন আলোকিত হই; ঝলসে ঝলসে যাই
তোমার চেহারার বিদিত মায়াবী আলোর ধারা-ই
বিদীর্ণ খণ্ডিত মনে; মুহূর্তে মুহূর্তে মনে পড়ে...
এসইউ/জিকেএস