আব্দুল্লাহ নাজিম আল-মামুনের গুচ্ছ কবিতা
শুক্রবার
ছেলেটা হেলেদুলে মাথা নাড়ছে
আম্মাজান মুসল্লায়, হাতে তাসবিহদানা দুলছে
ছেলেটার মুখে সুরা কাহফের সুর
আম্মাজানের চোখে দরুদফুলের নূর।
যেন জগতে পুরোনো আতরের খুশবু ছড়াচ্ছে সংসার
মসজিদের উঠোনে ঈদ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে গরিবের শুক্রবার।
****
জননী
আমার জন্মের পরই
আম্মার মুখে হাসি
বললেন, ‘ভীষণ ভালোবাসি।’
মা’বুদ শব্দ ফুটিয়েছেন!
আম্মা বললেন, ‘বলো তো বাবা?
মা ডাক শুনি।’
****
আব্বাজান
আমাকে মানুষ করতে গিয়ে দিলেন জীবনের বলি,
মানুষ হওয়ার পর শোধ দিতে গিয়ে যখন তার পায়ের নিচে বসি;
তখন আব্বাজান গেছেন চলি।
****
মৃত্যু
মাঝে মাঝে মৃত্যুর কথা স্মরণকালে
দু’চোখ বেঁয়ে অশ্রু ঝরে পড়ে
আজ হোক কাল—যমদূতের আগমনে
সব মোহ নিস্ব হয়ে যাবে।
‘দীর্ঘজীবী নূহ নবির মতো জীবন পেলে
মরতে আমায় হবে!’
‘মৃত্যু নামক বিধান থেকে
কে বা মুক্তি পেয়েছে কবে?’
মৃত্যু আমার সন্নিকটে! ভাবি
রবের কাছে কী জবাব দিতে হবে?
পাপের বোঝায় শেষমেশ
নরকের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।
****
কর্ম ও ধর্ম
পাপে ডুবে রই—
যতবারই আমার মন
যতই আমার কর্ম;
অনুতপ্তে নিমগ্ন হয়—
আমি ততবারই, প্রতিটা ক্ষণ
ক্ষমা চাওয়া আমার ধর্ম।
এসইউ/জিকেএস