খান মুহাম্মদ রুমেলের বর্ষার চারটি কবিতা
বৃষ্টির ফরমাশ
বৃষ্টি নিয়ে লেখার ফরমাশ এলো যেদিন
সেদিন থেকেই খটখটে রোদ!
একফোঁটা মেঘের দেখা নেই—
তবু আকাশ ভরা জল।
আকাশ কি জানে—
জল স্পর্শে শুধু শস্য ফলে না
পাঁচটি সোনালি আঙুল ছোঁয়ার সাহস রয়েছে তাতে!
বৃষ্টির মাঝেই লুকোনো—ভালোবাসার ইশতিহার!
বৃষ্টি তুমি ঝড় হয়ে ঝরো
অথবা রিমঝিম!
****
বর্গাচাষির বর্ষা
আকাশ ভেঙে নেমে আসো তুমি
তখন চার দেওয়ালে বন্দি আমি!
ইচ্ছেগুলো দিয়েছি জমা—পুঁজির ভাঁড়ারে সব।
কীভাবে তোমাকে দিই বলো—
স্বেচ্ছা নির্বাসনের দায়!
বেছে নিয়ে বর্গাচাষির জীবন
বৃষ্টি ছোঁয়ার বিলাসী ভাবনা বারণ!
বর্ষা তুমি কালচে ছোপ আকাশ
রাঙিয়ে দাও ভিজিয়ে দাও—
বর্গাচাষির উপর-নিচ পাশ!
****
বৃষ্টির মৃত্যু
বৃষ্টিদিনে মরতে চাই আমি।
যেন জলের ফোটায় গাল ভিজলেও—
বলতে পারো তুমি—
কই! কাঁদছি না তো!
এ তো বৃষ্টির পানি!
শীতের দিনে মরলে পরে
কষ্ট হবে তোমার।
কুয়াশা কি ঢাকতে পারে—
মন জমানো বেদনা অপার!
মরবো না হয় জোছনা রাতে
বর্ষা এবং চাঁদের সাথে!
পূর্ণিমাতে চোখ মেলে দেখবে আমায়
চন্দ্রস্নান দুঃখ ভোলায় মোহন মায়ায়!
মরবো আমি বৃষ্টিরাতে
শোকের খবর বেমানান—সুপ্রভাতে!
****
এই বর্ষা
নীল ময়ূর পেখম মেলেনি
জল থইথই মেঘ নেই আকাশে
তবুও আজ বর্ষা!
আকাশ ভেঙে নামেনি আষাঢ়
নীল শাড়ি পরেছো তুমি ঠিকই
তবুও কেন গ্রীষ্মের রুক্ষতা?
তবে কি তুমি ভালোবাসো না জল!
নগরের সব ঘাস এবং বৃক্ষরা ছিল অপেক্ষায়—
ছিলাম আমিও!
কচুপাতার জল বৃষ্টি ধোয়া কদম
তোমার সায় মেলেনি বলেই ছোঁয়া হয়নি কিছুই!
বর্ষা কি তবে থেকে যাবে শুকনোই!
এসইউ/জিকেএস