গোলাম রববানীর তিনটি কবিতা
কয়েক টুকরো জীবন
১.
মেঘ ডেকেছে মেঘ
ছেড়ে দিলাম জল বরষার কল
২.
জমুক চোখের পাতে একবিন্দু জল
মধুমাসে মনজমিন ভেজাতে
তুমিই নির্ভেজাল
৩.
রেখেছো তো ডীপ ফ্রিজে
টানছো কেন নিম্ন তাপে
জীবন আমি, মরণ তো না
৪.
সিলেটি মেঘে সুরমা জলে
করে গেল আজ গভীর আলিঙ্গন
হৃদয় খুলে গেল হৃৎপিণ্ডের টানে
অঝোর বৃষ্টিতে আমি বসে আছি উদাসীন
৫.
শাহজালালের দেশে মুক্তি খোঁজে লোকে
সবুজের ওপর নীলিমা রেখেছে বিশ্বাস
পেয়েছে বেদনামধুর পাহাড়ের কান্নাকাটি
****
একই বৃন্তে দুটি ফুল
কার সাথে কার লীলা হবে
কেউ কি জানে কেউ কি বোঝে সংসারে
শূন্যের মাঝে শূন্য বসে কাঁদে
কার ফাঁদে কার ডাকে রঙিলে
দুঃখভরা সাধের বিধির সংসারে
আনন্দময় হৃদয় দুঃখের ঝংকারে
তুমি যারে হেলা করো ভবে
বেখেয়ালি মনে সদম্ভে লুকাবে
নীলের মাঝে সবুজের কোন সে ভাঁজে
লীলা হবে লীলা হবে তরঙ্গিত বানে
তুমি যারে ছন্দে রাখো বেঁধে
সব কাম কমে যাবে বিজন বনে
তখন তোমার তখন আমার পৃথিবী
একই বৃন্তে দুটি ফুল পাবে প্রবৃত্তি
****
তুমি যদি
তুমি যদি মনস্কুল হও হবে জ্ঞানের সাগর
নিত্যনতুন তোমারেই যেন সবে করবে বিচরণ
তুমি যদি প্রকৃতির হও হবে অসীম উদার
ক্লান্তি শেষে শান্ত হবে সমস্ত বিশাল পারাবার
তুমি যদি বিদ্যাপথ হও সহস্র পথের চৌমাথার
পথহারা পথিকও খুঁজে পাবে গন্তব্য ভালোবাসার
তুমি যদি হৃদশঙ্খ হও বাজিয়ে বীণা পরান গহীনে
ছুটে আসবে সবে মনপাড়ায় জন্মসংগীতের আহ্বানে
তুমি যদি হৃদয়পাহাড় হও প্রাণে ছেড়ে শান্তিধারা
নক্ষত্রমালা রবে অবগাহনে অমৃতলোকে তোমরা
তুমি যদি হৃদয়জগৎ হও বোঝাপড়া রবে প্রাণে
আলোক সন্তান জন্ম হবে নষ্ট সমাধির পরে
কবি: লেখক ও শিক্ষক, কেশবপুর, যশোর।
এসইউ/জিকেএস