রবীন্দ্রনাথকে কি উত্তর-আধুনিক বলা যাবে: শেষ পর্ব

সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ার্দ্দার
সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ার্দ্দার সিদ্ধার্থ শংকর জোয়ার্দ্দার , লেখক
প্রকাশিত: ১২:৪০ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২২

রবীন্দ্রনাথ ফেড্রিক নীটসের নাম হয়তো শুনেছিলেন। তাঁর বিশ্বমানব হয়ে ওঠার আগেই নীটসে মারা যান (১৯০০)। নীটসের সুপারম্যানের ধারণার সাথে রবীন্দ্রনাথের মহামানবের কোথায় যেন মিল আছে। গবেষকরা এর মধ্যে স্পষ্টত একটি সাধারণ মিল খুঁজেছেন। ১৯৪০ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঘনঘটার প্রাক্কালে শ্বাসরুদ্ধকর রাজনৈতিক পরিবেশে সভ্যতার সংকটের মধ্যে তিনি উচ্চারণ করেন, ‘ওই মহামানব আসে।/ দিকে দিকে রোমাঞ্চ লাগে/ মর্তধুলির ঘাসে ঘাসে।/ সুরলোকে বেজে ওঠে শঙ্খ/ নরলোকে বাজে জয়ডঙ্ক-/ এল মহাজন্মের লগ্ন।’ তাঁর ধারণা ছিল নিশ্চয়ই এমন একজন মহামানব হাজির হবেন, যিনি এই বিশ্বভূমিতে সব সমস্যার সমাধান নিয়ে আসবেন। যুদ্ধের বিপরীতে প্রতিষ্ঠা পাবে শান্তি, অমঙ্গলের বিপরীতে মঙ্গল, আর অসত্যের জায়গায় সত্য।

এই নীটসেকে কিন্তু আমরা বলছি পোস্ট-মডার্নিজমে উত্তরণের কেন্দ্রবিন্দু। সংশয়, সন্দেহ, বিস্ময়, উদ্বেগ, অনস্থায়িত্ব, প্রচলিত মূল্যবোধ, মানব প্রকৃতি, সামাজিক উন্নয়ন সর্বোপরি নিহিলিজম ছিল পোস্ট-মডার্নিজমের কেন্দ্রবিন্দু। উত্তর-আধুনিকতা এক ও অদ্বৈত সত্তাকে চিন্তার বাইরে রেখেছে। বিজ্ঞানের গবেষণার মধ্যে ক্লাসিক্যাল ধারা বা গতানুগতিক বিজ্ঞানের পদ্ধতির বিপরীতে কেউ কেউ এই পদ্ধতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। লিখেছেন এগেন্সট মেথড। পল ফায়ারাব্যান্ড, ল্যাকাটস, এমনকি কার্ল পপারকে উত্তর আধুনিক ধারার দার্শনিক বলা হয়। বিজ্ঞানের পবিত্রতা তাদের হাতে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। পূত পবিত্র অবস্থান থেকে বিজ্ঞানকে তারা সরিয়ে দিয়েছেন। কার্ল পপার কোন রাখঢাক না করে বলে দিয়েছেন, ‘বিজ্ঞান আমাদের কোনধরনের জ্ঞান দিতে পারে না, আমরা কোনকিছু জানতে পারি না শুধু অনুমান করি মাত্র।’ (The Logic of Scientific Discovery, p-278.) অন্যদিকে ফায়ারাব্যান্ড আরেকটু এগিয়ে বিজ্ঞানের চরিত্র নিয়ে বিরাট একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন। এ ছাড়া সাহিত্য ও শিল্পবোধের বিভিন্ন মাত্রা এই স্রোতের সাথে যুক্ত হয়েছে। বিদ্রূপ, অনুকার, হাইপার রিয়েলিটি, ইন্টার ট্যাক্সচুয়ালিটি, ম্যাজিক্যাল রিয়েলিজম, প্যারানোয়া ইত্যাদি ধারণাকে উত্তর আধুনিক চিন্তার বৈশিষ্ট্য হিসেবে সমালোচকরা চিহ্নিত করেন।

তাহলে রবীন্দ্রনাথকে আমরা কেন পোস্ট-মডার্নিস্ট বলবো? আলোচনার শুরুতে বলে রেখেছি, রবীন্দ্রনাথকে আমরা এই ধারায় দুটো আলাদা প্রেক্ষাপট থেকে বিবেচনা করবো। একটা তাঁর এপিস্টিমলজিক্যাল রিলেটিভিজম অন্যটা পোস্ট-কলোনিয়াল ডিস্পোজিশন।

ভারতবর্ষে কলোনিয়াল থেকে পোস্ট-কলোনিয়াল সংস্কৃতির যে উত্তরণ তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিষয়টা হলো নিজের পরিচয় বা নিজস্বতা। অর্থাৎ কোন সংস্কৃতির মধ্যে তিনি নিজেকে দেখতে চেয়েছেন সেটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ। এটা যেমন ব্যক্তি রবীন্দ্রনাথের নিজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমন প্রযোজ্য তাঁর ভারতবর্ষ সম্পর্কেও। রবীন্দ্রনাথের বেড়ে ওঠা ও চিন্তার বিস্তৃতি যে পৌনে একশ বছর তার পুরোটাই ঘটেছে ইংরেজ অধিকৃত সময়ে। এর ফলে একদিকে ভারতবর্ষের হাজার বছরের ঐতিহ্য যেমন আছে; তেমনি আছে দেশি-বিদেশি সংস্কৃতির সংমিশ্রণ। উমা দাসগুপ্ত তার ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আধুনিকতা’য় লিখেছেন, ‘সাংস্কৃতিক পুনরুজ্জীবনের জন্য একটি জাতীয় আদর্শের নির্মাতা যা জাতীয়তাবাদকে অতিক্রম করবে।’ (Uma Dasgupta, ‘Rabindranath Tagore and Modernity’, in Tagore and Modernity, edited by Krishna Sen & Tapati Gupta, Kolkata, Dasgupta & Co., 2006, p-1.) এই পক্ষ-বিপক্ষের টানাপোড়েন তার চিন্তার ভেতরেও যেমন ছিল, লেখনিতেও প্রতিফলিত হয়েছে সমভাবে। সোজা কথায় জাতীয়তাবাদ ও আন্তর্জাতিকতাবাদের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব আছে, সেটাকে অতিক্রম করতে নানাবিধ আয়োজন করেছেন। Nationalism প্রকাশিত হয়েছে ১৯১৭ সালে। এখানে তিনি জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করেছেন। এশিয়া ও ইউরোপের তখনকার বিবিধ দুর্দশার জন্য তিনি জাতীয়তাবাদকে সমালোচনা করেন। উপনিবেশবাদ ও যুদ্ধের কারণ হিসেবে এই জাতীয়তাবাদই দায়ী। এটা সাম্রাজ্যবাদের ফলাফল। ভারতবর্ষের অন্ধ পশ্চিমপ্রীতিকে তিনি নাম দেন পশ্চিমাকরণ। তাঁর মতে, ‘ভারতের সমস্যা হচ্ছে অভ্যন্তরীণ, আমাদের ইতিহাসের প্রায় পুরোটা সামাজিক আত্তীকরণের ইতিহাস এবং বলতে গেলে এর তেমন কোন শক্তি নেই যা দিয়ে বাইরের আক্রমণের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।’ (ন্যাশনালিজম, ৪)। ‘ভারততীর্থ’ কবিতায় এই পরিস্থিতির একটা চিত্র আমরা পেয়ে যাই। ‘পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার/ সেথা হতে সবে আনাএ উপাহার/ দেবে আর নেবে মিলাবে মিলিবে যাবে না ফিরে/ এই ভারতের মহামানবের সাগর তীরে।’ অনেকে মন্তব্য করেছেন, রবীন্দ্রচিন্তার টানাপোড়েন ঠিক এখানেই। একদিকে জাতীয়তাবাদকে তিনি মনেপ্রাণে গ্রহণ করতে পারলেন না; অন্যদিকে পুরোপুরি আন্তর্জাতিকতাবাদী হয়ে উঠতেও তাঁর সর্বস্ব দ্বিধা। এটা সৃষ্টি হয়েছে ভারতবর্ষের সামাজিক অবস্থা ও রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলের মধ্যে যে বিভাজন আছে। এতে তার মনে হয়েছে এই সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভাজনটা ঘোচানো উচিত। সমাজের কোন নিকৃষ্ট উৎস থাকতে পারে না। সমাজ মানুষের সংহতি ও নিবিড় পরিচর্যায় নিমগ্ন থাকে। অন্যদিকে রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য সব সময় কিছু অপকৃষ্ট প্রবৃত্তির ওপর গড়ে ওঠে যেমন লোভ, ঈর্ষা, সন্দেহ, কিংবা ক্ষমতার প্রতি উদগ্র বাসনা। উমা দাসগুপ্ত বলেছেন, ‘রবীন্দ্রনাথের শিক্ষা ও জাতীয়তাবাদের ওপর চিন্তার ভিত্তি ভারতের প্রকৃত ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি ফেরানো যেখানে একদিকে সে সময়কার উপনিবেশিক ইতিহাসতত্ত্ব ও অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী আদর্শ- এই উভয়কেই দূরে রেখে সৃষ্টি হয়েছে। আদতে তাঁর বোধ তৈরি হয়েছে একটা ঐতিহাসিক বিবেচনা থেকে যেখানে দেশের সামাজিক সভ্যতা (Uma Dasgupta, Selected Writings on Education and Nationalism, OUP, New Delhi, 2009)।

রবীন্দ্রনাথকে প্রতীচ্যের মানুষ অনেকেই বলেছেন সেকেলে, মান্ধাতার আমলের নীতিবোধ সম্পন্ন ভারতীয় সাধু। তাঁর গান কবিতার মধ্যে প্রাচীন ভারতীয় সংস্কৃতির পুরোনো ধারা ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায় বলে মনে হয় না। কাজেই তাঁকে উত্তর-আধুনিক ছকে ফেলাটা খুব বেশি সম্মানের কাজ হবে না। আমেরিকান অধ্যাপক Kenneth R. Stunkel অবশ্য ভিন্নকথা বলছেন। Kenneth নিউ জার্সির মনোমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি ‘Rabindranath Tagore and the Aesthetics of Postmodernism’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য বিশেষ করে শিল্প চেতনা, শিক্ষা, সমাজভাবনা, মানবতাবাদ, সামাজিক বিন্যাস, সাবালটার্নদের দুঃখ, নারীর অধিকার ও বাস্তবতা নিয়ে নতুন করে ভেবেছেন, ভেঙেছেন, করেছেন নির্মাণও। ইউরোপ-সভ্যতার সাথে ভারতবর্ষীয় ভাবনার একটা মিল-অমিল খুঁজেছেন, সৃষ্টি করেছেন নতুন টেক্সট। ১৯৯৮ সালে ইউনিভার্সিটি অব কানিক্টিক্যাটে রবীন্দ্রনাথের শিল্প, চিন্তা, সামাজিক নির্মাণ-বিনির্মাণের ওপর Home and the World: Rabindranath Tagore at the End of Millennium শিরোনামে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে রবীন্দ্রনাথের তাঁর সাহিত্যকর্মের বিচিত্র দিক নিয়ে বিশেষ করে সমাজবাস্তবতার কর্মধারাগুলো বিশ্লেষিত হয় বহুমাত্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে। Stunkel মনে করেন, রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা, নাটক, ছোটগল্প, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিশ্বসাহিত্য-মানচিত্রের ওপর দারুণ একটা প্রভাব ফেলেছিল। তিনি পাশ্চাত্য সাহিত্য বিশেষ করে ইয়েটস, এজরা পাউন্ড, উইলফ্রেড ওয়েন, রবার্ট ফ্রস্ট, রবার্ট ব্রিজের লেখার সাথে বিস্তর পরিচিত ছিলেন। পড়েছেন এঁদের, লিখেছেনও বিস্তর। দ্বিধাহীনভাবে বলা যায়, পাশ্চাত্য সাহিত্যের মানবতাবাদকে তিনি অকুণ্ঠচিত্তে সম্মতি জানিয়েছেন। আর এর ফলে তাঁর মনে অজানিতভাবে প্রবেশ করেছে বিশ্বসাহিত্য ও দর্শনের বিপুল স্রোত।

বহুযুগ ধরে চলমান সমাজ-বাস্তবতা, যা কি না সাহিত্যের মধ্যদিয়ে প্রতিফলিত হয়ে থাকে, তার পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হয়ে গেলে তখন বিনির্মাণের ডাক পড়ে। আর এই বিনির্মাণ বিশেষ করে তা ভাষায় একটা আপেক্ষিক মর্যাদা নিয়ে আসে। কিন্তু এই বিনির্মাণ তো একটা চলমান সমান বাস্তবতা। Stunkel পরিষ্কারভাবে বোঝালেন, ‘The postmodern version of liberation from tradition and the past must disavow literature as a distillation of a shared human condition. Some critics dodge this outcome by saying a plurality of meanings to choose from have replaced just one, a reassurance not at all helpful if meaning itself is declared meaningless, which must be the case if knowledge is nothing more than a consequence of local constructions and power relations, and authorship is an illusion generated by wholly subjective interpretations, with no restraints imposed by works of art with legitimate claims to integrity.’ (প্রাগুক্ত) রবিঠাকুরের বিপুল সৃষ্টিকর্ম কিন্তু এটাকেই সাক্ষ্য দেয়।

কবির শেষ কবিতা সম্পর্কে Stunkel বলেছেন, ‘Tagore’s last poem (30 July 1941) has in it some mordent lines one might apply to the immoderate impact of recent theory on literature, history, and philosophy. In a postmodern spirit of irresolvable interpretation, let each reader provide the gloss that pleases.
Your creation’s path you have covered
With a varied net of wiles,
Thou Guileful One
False beliefs snare you have
laid with skillful hands in simple lives.
With this deceit have you left a mark
on Greatness. (প্রাগুক্ত)।

শেষ অংশে ফিরে আসি, কেন তিনি এপিস্টিমলজিক্যাল রিলেটিভিস্ট। আইনস্টাইনের সাথে বিতর্ক তথা মুখোমুখি আলোচনায় তাঁকে বললেন, ‘Truth is realized through man’ অর্থাৎ সত্য ধরা পড়ে আপন চেতনায়। মানুষের চেতনার জালে যদি সত্য ধরা না পড়তো তাহলে সেই সত্য কিছুতেই মূর্ত হয়ে উঠতে পারতো না। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বললেন, ‘Must essentially be human।’ এর অর্থ দাঁড়ায়, ব্যক্তি মানুষ সত্য উপলব্ধির আধার। উত্তর-আধুনিক দর্শনে সত্য নিয়ে সম্ভবত এর খুব কাছাকাছি বলেছেন মিশেল ফুঁকো। বলেছেন, ‘সত্য এই জগতের একটি জিনিস: এটি শুধু বহুবিধ সীমাবদ্ধতার গুণে উৎপন্ন হয়’ (Truth is a thing of this world: it is produced only by virtue of multiple forms of constraint.)। কথার পিঠে কথা বলতে গিয়ে আইনস্টাইন যখন বললেন, সত্যকে আমি আমার চেতনার বাইরে স্বাধীনভাবে অবস্থান দেখতে পারি কি না। অর্থাৎ আইনস্টাইন একজন রিয়েলিস্ট হিসেবে অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করছেন। এর প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ অ্যান্টি-রিয়েলিস্ট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। আরও নির্দিষ্ট করে বলা যায়, তাঁর এই অবস্থান একজন রিলেটিভিস্টের মতন। আইরিশ দার্শনিক বিশপ বার্কলি ঠিক এটাই বলতে চেয়েছেন, ‘মনুষ্য চেতনার বাইরে কোনকিছুর অস্তিত্ব চিন্তা করা অসম্ভব (Esse est percipi)।’

এটা মোটেই বিস্ময়ের ব্যাপার না যে, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন তত্ত্বগতভাবে একক সত্তার ওপর নিরঙ্কুশ আস্থাবাদী একজন প্যান্থিস্ট। নীরদ চৌধুরী তাঁকে এই অভিধায় অভিষিক্ত করেছেন। তাঁর সমস্ত সৃষ্টি সম্ভারে এর সাক্ষ্য আছে। তাঁর বিবুল সৃষ্টি জগতের দিকে তাকালে মনে হবে তিনি একজন বহুত্ববাদী, স্বাধীন ও আধুনিক মানুষ। শিল্পবোধে স্বাধীন, জাতীয়তাবাদে স্বাধীন, সংস্কৃতিতে অবিমিশ্র তাই বলে তিনি হৃদয়ের জানালাকে উন্মুক্ত রেখেছেন, বন্ধ করেননি। পুব-পশ্চিমের সম্মিলিত অভিঘাতে তিনি হয়ে উঠেছেন সমন্বিত মহাদার্শনিক। যদিও তাঁর জীবদ্দশায় উত্তর-আধুনিক শব্দটা প্রচলিত ছিল না, তবু কাল বিচারে নয় গুণের বিচারে তিনি সবচেয়ে বড় উত্তর-আধুনিকদের একজন।

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।