মায়াবতী: পর্ব ৩৩

মোহিত কামাল মোহিত কামাল , কথাসাহিত্যিক, মনোচিকিৎসক
প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কথাসাহিত্যিক মোহিত কামালের মায়াবতী বাংলা সাহিত্যে দ্বিতীয় মনোবৈজ্ঞানিক উপন্যাস। সাহিত্যের শব্দবিন্যাসে তিনি ব্যবহার করেছেন মনস্তত্ত্ব, সমাজের আড়ালের চিত্র। মা প্রত্যক্ষ করেছেন, মেয়েরা নানাভাবে উৎপীড়ন ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়, সহজে মুগ্ধ হয়ে অবিশ্বাস্য পাতানো ফাঁদে পা দেয়। মায়ের একান্ত চাওয়া মেয়ে ক্যারিয়ার গড়ে তুলুক। বিধিনিষেধ আরোপ করেন মা। মেয়ে তখন মনে করে, মা স্বাধীনতা দিতে চায় না, বিশ্বাস করে না তাকে। মায়ের অবস্থানে মা ভাবছেন তিনি ঠিক। মেয়ের অবস্থানে মেয়ে ভাবছে, সে ঠিক। মায়ের ‘ঠিক’ এবং মেয়ের ‘ঠিক’র মাঝে সংঘাত বাধে। সংঘাত থেকে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়, ভুল করে বসে মেয়ে রিয়া। পালিয়ে যায় ঘর থেকে। এই ‘ভুল’ই হচ্ছে উপন্যাসের মূলধারা, মূলস্রোত। মায়াবতী পড়ে চিন্তনের বুননে ইতিবাচক গিঁট দেয়ার কৌশল শেখার আলোয় পাঠক-মন আলোকিত হবে। জানা যাবে টিনএজ সমস্যা মোকাবিলার কৌশল। জাগো নিউজের পাঠকের জন্য ধারাবাহিক প্রকাশিত হচ্ছে সাড়া জাগানো উপন্যাসটি—

একত্রিশ.
রেজা বলেছিল মুনার বিয়ে হবে ধুমধাম করে।
ধুমধাম করে হয়নি। হয়েছে নীরবে। চুপচাপ করে।
বলা হয়েছে, বিয়ের পর গর্জিয়াস অনুষ্ঠান হবে।
অনুষ্ঠান হওয়ার সুযোগ হয়নি।
তাড়াহুড়ো করে বিয়ে হয়ে গেছে। আকদ হয়ে গেছে। ঘরোয়া অনুষ্ঠানের পর বউ চলে গেছে শ্বশুরবাড়ি।
সুদর্শন বর অম্লানের আলো দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তাড়াহুড়োর কারণে ম্লান হয়ে গেছে। মুনা ম্লান হয়নি।
অম্লানকে মনে ধরেছে। গুণবান অম্লানের গুণের জোয়ারে ডুবে আছে মুনা। শ্বশুরবাড়ির সবার মন জয় করার যুদ্ধে নেমেছে ও।
অম্লান বলল, আমি মাকে ভালোবাসি। সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি। তুমিও বাসবে।
মুনা বলল, বাসব।
অম্লান বলল, বাবার কথা শুনবে। আমার আদর্শ আমার বাবা।
মুনা বলল, শুনব।
অম্লান বলল, ছোট বোন আরিয়াকে আদর করবে।
মুনা বলল, আদর করব।
অম্লান বলল, আদৃতা আপাকে শ্রদ্ধা করবে। উনার হাজব্যান্ড, মানে দুলাভাই আমাদের বড় ভাইয়ের মতো। উনাকেও মর্যাদা দেবে।
মুনা বলল, শ্রদ্ধা করব। মর্যাদা দেবো। এসব নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না। আমি সব জয় করে নেব। জয় করে নেওয়ার ইচ্ছা নিয়ে তোমার ঘরে এসেছি।
অম্লান বলল, বিয়ের গর্জিয়াস অনুষ্ঠান হয়নি। হবে। আপাতত মন খারাপ করো না। ভিসা প্রসেসিং লাইন করে ফিরে আসব আমি। ভিসার জন্য বিয়ের ডকুমেন্টস, ছবি জমা দিতে হয়। সব কাজ শেষ করে চলে আসব দ্রুত। ধৈর্য ধরবে।
মুনা বলল, ধৈর্য ধরব।

মুনা গলে গেছে। পটে গেছে। বদলে গেছে। নতুন বউয়ের মনে তৈরি হয়ে গেছে মায়ার সাগর। এই সাগরে নোঙর ফেলেছে অম্লানের মতো উজ্জ্বল পুরুষ। এই পুরুষকে সুখী করবে সে। ভালোবাসায় ভাসিয়ে দেবে। ওর পরিবারের সবাইকে আপন করে নেবে। ভেবে ভেবে শিহরিত হতে থাকে মুনা।
এ সময় মুনার কল আসে। ল্যান্ডফোনে রিয়া চায় মুনাকে।
খবর পেয়ে মুনা ফোন ধরে। ফোন শাশুড়ির ঘরে।
রিয়া প্রশ্ন করে, বউ, কেমন আছিস?
মুনা বলল, ভালো আছি।
ভালো থাকলেই ভালো। শোন, আমাদের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে।
জানি। মুনা ছোট্ট করে জবাব দেয়।
জানিস?
মুনা বলল, হ্যাঁ জানি। কনগ্র্যাচুলেশন তোকে। তুই তো ঢাকা মেডিক্যালে চান্স পেয়েছিস। কুসুম পেয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে। আমি বগুড়ায়।
ওঃ! তো কী করবি তুই, পড়বি? ভর্তি হবি বগুড়ায়।
মুনা হাসে। হেসে বলে, না। আমি যাব অম্লানের সঙ্গে।
স্বপ্নের দেশে?
হ্যাঁ।
ওঃ! আমাদের ছেড়ে চলে যাবি?
হ্যাঁ। যেতেই হবে। এটা তো নিয়ম, নাকি ?
এ সময় শাশুড়ি এসে সামনে দাঁড়ালেন।
বউমা, টেলিফোনে কথা সংক্ষেপ করো। আমার একটা জরুরি কল আসবে।
থমকে গেল মুনা। রিয়া লাইনে ছিল। শুনতে পেয়েছে কথাটা।
রিয়া বলল, কে কথা বলল রে?
মুনা উত্তর না-দিয়ে বলল, আচ্ছা রাখি।
রিয়া বলল, রাখ।
ফোন রেখে ফিরে যাচ্ছিল মুনা।
শাশুড়ি বললেন, বউমা, শোনো, শ্বশুরবাড়ি হচ্ছে মেয়েদের আপন ঠিকানা। এখন থেকে এখানেই নোঙর ফেলো। বাপের বাড়ির সঙ্গে যত বেশি যোগাযোগ রাখবে, ততই টান কম জাগবে শ্বশুরবাড়ির জন্য।
ধক করে ওঠে মুনার মন। সবকিছু মেনে নিচ্ছিল। এ কথা মানতে পারল না, কোনো প্রতিক্রিয়াও দেখাতে পারল না। বোকার মতো শাশুড়ির মুখের দিকে তাকাল ও।
শাশুড়ি, শহরবানু বললেন, যাও। তোমাদের ঘরে যাও। অম্লান তোমার জন্য অপেক্ষা করছে।

মুনা ফিরে এলো নিজেদের ঘরে।
অম্লান বলল, শোনো, আজ রাতের ফ্লাইটে আমি চলে যাচ্ছি।
মুনা হাঁ করে তাকিয়ে থাকে। আজ রাতে অম্লানের চলে যাওয়ার কথা জানত না ও। এইমাত্র জানল। এখন বেলা এগারোটা।
চলে যাওয়ার কথা শুনে আরেকবার ধক করে উঠল মুনার মন। প্রথম ধাক্কা সামাল না দিতে দিতে আবার নড়ে গেল তার শক্ত ভিত, চুপ হয়ে গেল ও।
অম্লান আবার বলল, বলো, তোমার কোনো আবদার আছে?
প্রেমিক বর তো এমনই হবে, বউয়ের আবদার পূর্ণ করবে। এই পূর্ণতাই তো সুখ।
নড়ে গেলেও শক্ত হয়ে টাল সামাল দিয়ে মুনা বলল, আজই যেতে হবে?
হ্যাঁ। আজই যেতে হবে। এজন্যই তো বিয়ের ব্যাপারে তাড়াহুড়ো হলো। তোমার ইচ্ছা পূরণ হয়নি।
আমি ভেবেছিলাম আরও কিছুদিন থাকবে। বলতে গিয়ে মুনার গলা ধরে গেল।
অবশ্যই থাকব। আমরা তো একসঙ্গেই থাকতে চাই। এজন্য দ্রুত তোমাকে আমেরিকায় নিয়ে যেতে চাই।
অম্লানের এত দ্রুত চলে যাওয়ার খবরে মন স্থির হচ্ছে না। নিজের আবদারের কথা জানান দিতে পারছে না মুনা। অনেকক্ষণ পর নিজের বিবাহিত জীবনের প্রথম আবদার জানাল, তাহলে চলো, আজ দুপুরে আমাদের বাসায় মামণি-বাপির সঙ্গে তোমাকে নিয়ে একসঙ্গে লাঞ্চ করি।
অম্লান চট করে বলে বসল, না না। আম্মা তো খালা-মামাদের আজ দুপুরে ডেকেছেন। সবাই আমরা একসঙ্গে খাব। গেট টুগেদার হবে। তোমার এ আবদারের কথা মাকে বলা যাবে না।
মুনা স্তব্ধ হয়ে গেল।
বিয়ের প্রথম আবদার উড়ে গেল। টিকল না। শূন্যচোখে সে তাকাল অম্লানের দিকে।
চারপাশ ম্লান লাগছে। অম্লানের মুখেও পড়েছে ম্লান ছায়া।

ডাইনিং টেবিলে খেতে বসেছে সবাই।
মুনা বসেছে অম্লানের বাঁপাশে। আদৃতা বসেছে মুনার বাঁপাশে।
খেতে খেতে মিসেস শহরবানু বললেন, বউমা, অম্লান চলে যাওয়ার পর আমাদের বাড়িতেই থাকবে তুমি।
আরিয়া খুশিতে গদগদ হয়ে বলল, তাহলে খুউব মজা হবে আমার।
আদৃতাও মাকে সাপোর্ট করে বলল, ঠিক বলেছ মা। নইলে শ্বশুরবাড়ির জন্য মায়া জাগবে না ভাবির মনে।
অম্লানকে উদ্দেশ্য করে দুলাভাই বললেন, দ্রুত বাচ্চা নিয়ে ফেলো তোমরা। খুউব ইম্পর্টেন্ট ইস্যু। নইলে সঠিক সময়ে বাচ্চা মানুষ করা যায় না।
মুনা এসেছে সবাইকে জয় করতে। জয়ের পথে চোট খাচ্ছে ও। এক একটা কথা বুলেটের মতো আঘাত হানছে তাকে। ধসে যাচ্ছিল প্রায়। এ সময়ে দুলাভাইয়ের কথায় তার কান লাল হয়ে ওঠে, লজ্জায় কুঁকড়ে পাথর হয়ে বসে থাকে।
এ সময় শহরবানু বলে উঠলেন, এই তোরা তো কিছুই নিচ্ছিস না। বউমা, দাও সবার প্লেটে চিকেন রেজালাটা তুলে দাও তো।
মুনা স্তব্ধ হয়ে আছে। নড়ছে না।
অম্লান পাশ থেকে ধাক্কা দেয়। ফিসফিস করে বলে, এই, মায়ের কথা রাখো। নইলে মা রাগ করবেন।
মুনা নড়তে পারছে না।
আরিয়া পাশ থেকে উঠে দাঁড়াল। ছোট্ট মেয়ে সবার প্লেটে ভাবির পক্ষ হয়ে রেজালা তুলে দিতে লাগল।
গম্ভীর হয়ে গেছেন শহরবানু।
ডাইনিং টেবিলে নেমে এসেছে নিস্তব্ধতা।
খাওয়া শেষে সবাই উঠে যাওয়ার পরও মুনা বোকার মতো বসে থাকে। আরিয়া বলল, ভাবি, কুইক।
অম্লান পাশে এসে বলল, মাকে অপমান করলে?
মুনা এবার হাঁ হয়ে গেল। একসময় কেঁদে ফেলল। চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল অশ্রুকণা। এই কান্নার অর্থ জানে না ও।

বত্রিশ.
রেজা মামার ফোন!
মনিটরে নাম দেখে খুশিতে নেচে ওঠে রিয়া। সবার মাঝ থেকে কিছুটা সরে এসে কল ধরে রিয়া বলল, মামা আপনার ফোন পেয়ে ভালো লাগছে।
থ্যাঙ্কস। কোথায় আছো এখন?
এনাটমি ডিসেকশন রুমে আছি। এখানে লাশ আছে। মরদেহ কেটেকুটে শিখতে হয়। কোথায় নার্ভ, কোথায় কোন মাংসপেশী, কোথায় রক্তনালী, কীভাবে দেহের মধ্যে সাজানো আছে সব হাতেকলমে শিখতে হয়।
বর্ণনা শুনেই তো ভয় লাগছে! তোমার ভয় করে না?
না। ভয় করে না। ভয় করলে শিখব কীভাবে। না শিখলে তো পরীক্ষায় ফেল করব।
লিভার, হার্ট, ফুসফুসও কি কাটাকুটি করে শেখো।
এসবের নাম ভিসেরা। ভিসেরা ফরমালিন ভর্তি জারে রাখা থাকে। ভিসেরাও পড়তে হয় আমাদের। হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করে দেখতে হয় সব। হিস্টোলজি ক্লাসে স্লাইডে ভিসেরার মাইক্রোস্কোপিক গঠনও দেখতে হয়।
ওরে বাবা! সাংঘাতিক সাহসের ব্যাপার! তোমার সাহস আছে তো?
হ্যাঁ মামা। সাহস আছে। সাহস জেগেছে। সাহস বাড়ছে। ভালো লাগছে পড়তে। শেখার মধ্যে ভয় নাই। আনন্দ আছে।
কুসুমকলির খবর কী? ও নাকি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়নি?
জি না। ভর্তি হয়নি। ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে, ইকোনোমিক্সে।
কেন? মেডিক্যাল ছেড়ে দিলো কেন?
ঢাকার বাইরে যেতে হবে বলে ভর্তি হয়নি।
বলো কি, মানুষ ক্যারিয়ারের জন্য সারাবিশ্ব ঘুরে বেড়ায়, আর ও চট্টগ্রাম যাওয়ার সাহস পেল না।
সে বলেছে, ঢাকা ছেড়ে যেতে মন চায়নি বলে যায়নি। আমার মনে হয়েছে মাহিনকে মিস করবে, এই ভয়ে যায়নি।
বাঃ! এত আবেগতাড়িত হলে কি জীবন চলবে?
ভার্সিটিতে ওর মতো ব্রিলিয়ান্ট আর একজনও ভর্তি হয়নি। এখানেই ভালো করবে ও। মনে হয় না ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আজন্মলালিত ইচ্ছা থেকে দূরে সরে গেছে সে।
মাহিনের খবর কী?
মাহিন ভাইয়া লেভেল ফোর অর্থাৎ ফাইনাল শেষ করেছেন। উনার গ্রেডও ভালো। স্কলারশিপ পেয়ে যাবেন। বাইরে যাবেন।
এই দেখো, ক্যারিয়ারের জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে।
হ্যাঁ, এটা তো সময়ের দাবি।
না। কেবল সময়ের দাবি না। রিয়ালিটিরও দাবি।
রিয়ালিটির কথা বেশি বলবেন না। আপনাদের ওপর আমার রাগ হয়। মুনাকে কোথাও ভর্তি করালেন না কেন? কী এক মুলা ঝুলিয়ে রেখেছেন ওর সামনে, আমেরিকার মুলা ঝুলিয়ে ওর নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ নষ্ট করে দিচ্ছেন। এখনো ওর যাওয়ার কোনো খবর নেই।
রেজার মন খারাপ হয়ে গেল।
মুনার ব্যাপারে কথা বলার জন্যই ফোন করেছিল। আসল প্রসঙ্গে এলো এখন।
রেজা বলল, মুনার বিষয়ে তোমার সঙ্গে কথা বলব। যেবুকেও আসতে বলেছি। পারলে কুসুম ও বাঁধনকেও নিয়ে এসো। ওর শ্বশুরবাড়ি যাব সবাই। ওকে দেখে আসি।
দেখে আসি মানে? ওকি বাপের বাড়িতে আসে না?
আসে না, না আসতে দেয় না, বুঝতে পারছি না। মুনা কেমন বদলে গেছে। মুনা অন্যরকম হয়ে গেছে। কেমন বিষণ্ন। কেমন উচ্ছাসহীন। মনে হয়, আমাদের মুনাকে হারিয়ে ফেলেছি।

রিয়ার মন ধক করে ওঠে। ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় তথা ‘এক্সট্রা সেনসরি পারসেপশন’ বা ‘ইএসপি’ চট করে তার মনে নাড়া দিয়ে যায়। মনে হয় মুনা কষ্টে আছে। মনে হতো মুনা ওর সঙ্গে কথা বলতে চায় না, ওর খোঁজ নেয় না, ওর বাসায় আসে না, একধরনের অভিমান থেকে নিজেও খোঁজ নেয়নি। ওর শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন টেলিফোনে কয়েকটা পার্শ্ব কথা শুনেছিল। সংলাপগুলো ভালো লাগেনি। মুনা কি তবে প্রথম দিন থেকেই নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে?
রিয়া বলল, মামা আপনার কি ধারণা ও কোনো কষ্টে আছে? ও কি কোনো বিপদে আছে?
আমার মনে হয় ও দুর্গতিতে আছে। ওই দুর্গতির কথা কাউকে জানাতে পারছে না।
কী ধরনের দুর্গতি? আপনার অনুমান কী?
অনুমান না, সত্যি। বিষয়টা সামনাসামনি আলাপ করতে চাই।
না। এখন বলুন। আমার হাতে সময় আছে। আমার ডিসেকশন ক্লাস শেষ হয়ে গেছে।
রেজা এখন বলতে চায়নি। তবুও বলতে বাধ্য হয়, আমার ই-মেইলে কয়েকটা ছবি এসেছে।
ছবি? অনলাইনে ছবি? রিয়া ভয় পেয়ে প্রশ্ন করে বসে।
রিয়ার স্বরের তারতম্য ধরতে পারল না রেজা। নিজের ঘোরেই আছে। ঘোর থেকে বলল, হ্যাঁ, অম্লানের ছবি।
ওঃ! মনে মনে ভাবে বাঁচা গেল! ও ভেবেছিল নিজের ন্যুড ছবি অনলাইনে ছেড়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
রেজা আবার বলল, অবিশ্বাস্য সত্যের মুখোমুখি আছি এখন রিয়া।
রিয়া বলল, বুঝলাম না মামা।
আমিও বুঝতে চাইনি, বিশ্বাস করতে চাইনি।
প্লিজ খুলে বলুন।

চলবে...

এসইউ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।