শেখ কামালের জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল ও পঁচাত্তর পরবর্তী ঘটনা নিয়ে লেখা ‘স্মৃতিতে শেখ কামাল ও ৭৫ পরবর্তী ঘটনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। বইটি রচনা করেছেন সুইডেন প্রবাসী বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুইডিশ রাজনীতিবিদ মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বইটির লেখক মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামাল ভাইকে নিয়ে আমি এ বইটি লিখেছি। সেই সময় অনেক কাছে থেকে দেখা শেখ কামাল ভাইয়ের কিছু কিছু ঘটনা নিয়েই মূলত আমার এ বই লেখা। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা। সেই সূত্রে কামাল ভাইকে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি সৈয়দ নুরুল ইসলাম নুরু ভাইয়ের নেতৃত্বে রউফ ইউনুস ও আমি কামাল ভাইকে অনেক কাছে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি। ৭২ থেকে ৭৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত তৎকালীন ছাত্ররাজনীতির বিভিন্ন ঘটনা আমার এ বইতে তুলে ধরেছি। ওই সময় অনেক কিছুর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শেখ কামাল ভাই এবং সৈয়দ নুরুল ইসলাম ভাইয়ের সহায়তা, অনুপ্রেরণা, উৎসাহ ছিল আমার জন্য।
মহিবুল ইজদানী খান ডাবলু বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হলে ঢাকায় আমাদের গোপনীয় রাজনৈতিক আন্দোলের কথা এ বইয়ে লিখেছি। বঙ্গবন্ধু ও জয় বাংলা কোনো দলীয় স্লোগান নয়। এ দু’টি নাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক। দল-মত নির্বিশেষে এ দুইটি বিষয় ইতিহাসে পাতায় চিরস্মরণীয় করে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মাত্র ২০ বৎসর বয়সে জেনারেল জিয়ার সামরিক আইনে গ্রেফতার ও নির্যাতনের ভয়ে ১৯৭৭ সালের ১৮ জানুয়ারি আমি বাংলাদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলাম। বাংলাদেশের রাজনীতির সঙ্গে আমার এখন আর কোনো সম্পর্ক নেই। ২৫ বৎসর থেকে সুইডেনের মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও আমার জন্মভূমি বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন আমাকে আনন্দিত করে।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবিউল আলম মুক্তাদির চৌধুরী, কমিটির সিনিয়র নেতা ইসমত কাদির গামা,সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাজমা কাওসার।
এএএম/এমএএইচ/এএসএম