কথাশিল্পী শওকত ওসমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ
কালজয়ী কথাশিল্পী ও সমাজচিন্তক শওকত ওসমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯১৭ সালের এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার সবল সিংহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। প্রতিবারের মতো তার এবারের জন্মদিন উদযাপনে শওকত ওসমান স্মৃতি পরিষদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন আজ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদবিরোধী লেখক শওকত ওসমান আজীবন শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের কথা বলে গেছেন। তৎকালীন পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের শাসনব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করে লেখা তার বিখ্যাত উপন্যাস `ক্রীতদাসের হাসি`। এ ছাড়া তিনি গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, স্মৃতিখণ্ড ও শিশুতোষ বিষয়ে লিখেছেন। বিভিন্ন ভাষার অনেক উপন্যাস, গল্প এবং নাটক তিনি অনুবাদ করেছেন।
গল্প-উপন্যাস, নাটক, কবিতা কিংবা নিবন্ধের আশ্রয়ে তিনি চেয়েছেন সমাজের সংস্কার। মুক্তচিন্তার সমাজ বিনির্মাণে সাহিত্যকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন শওকত ওসমান । তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে জননী, সমাগম, চৌরসন্ধি, রাজা উপন্যাস ও জাহান্নাম হইতে বিদায় ইত্যাদি। গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে জুনু আপা ও অন্যান্য গল্প, মনিব ও তাহার কুকুর, ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী ইত্যাদি। স্মৃতিকথার মধ্যে রয়েছে স্বজন সংগ্রাম, কালরাত্রির খ-চিত্র, অনেক কথন, গুডবাই জাস্টিস মাসুদ, উত্তর পর্ব, মুজিবনগর ইত্যাদি। তার বইয়ের সংখ্যা শতাধিক।
শওকত ওসমানের মূল নাম শেখ আজিজুর রহমান। শওকত ওসমান তার ছদ্মনাম। তার বাবার নাম শেখ মোহাম্মদ এহিয়া ও মায়ের নাম গুলজান বেগম। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি চলে আসেন পূর্ববঙ্গে। সাহিত্যকর্মে অবদানের জন্য আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬২), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৬), প্রেসিডেন্ট প্রাইড অব পারফরম্যান্স পদক (১৯৭৬), একুশে পদক (১৯৮৩), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারসহ (১৯৯৭) বহু পুরস্কার পান। ১৯৯৮ সালের ১৪ মে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
এ্রআরএস/এমএস