আগরতলা বইমেলার প্রস্তুতি শুরু, থাকছে বাংলাদেশের স্টলও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২১

ত্রিপুরা সংবাদদাতা

৪০তম আগরতলা বইমেলার প্রস্তুতি শুরু করেছে ত্রিপুরা রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। এ নিয়ে বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ১ নম্বর হল ঘরে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বক্তাদের কাছ থেকে বইমেলা সংক্রান্ত নানা বিষয় উঠে আসে।

বৈঠকে ত্রিপুরা রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রথম সচিব এস এম আসাদুজ্জামানসহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক থেকে আলোচনাক্রমে শিগগির একটি মেলা পরিচালন কমিটি গঠনেরও প্রস্তাব উঠে আসে।

বিভিন্ন বক্তাদের কাছ থেকে মতামত শোনার পর এই বৈঠক থেকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এবছর বইমেলার থিম হিসেবে ‘মাই ত্রিপুরা মাই প্রাইড’ রাখার ব্যাপারে প্রস্তাব দেন। এছাড়া তিনি বলেন, আগরতলা বইমেলা সবসময়ই রাজ্যের একটি ঐতিহ্য। মূলত এই ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ন রাখার লক্ষ্যে রাজ্য সরকার সর্বদাই একে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।

ত্রিপুরার তথ্যমন্ত্রী বইমেলার এই গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি বৈঠকে সবার বক্তব্য শোনার পর কীভাবে এই মেলাকে আরও বেশি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সব অংশের জনগণকেও এক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে আহ্বান জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, বইমেলা কেবল ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে সীমিত থাকলেই সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় না। বরাবরের মতোই বইমেলার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে সংস্কৃতি চর্চার বিষয়টিও।

jagonews24

তিনি বলেন, সংস্কৃতি ছাড়া কোনো দেশ কিংবা রাজ্যই এগিয়ে যেতে পারে না। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সম্প্রতি ত্রিপুরা রাজ্যে একটি ফিল্ম ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার ব্যাপারেও আলোচনা করা হয়। সরকারিভাবে এই ইনস্টিটিউটের জন্য ৬ কোটি রুপির একটি প্রজেক্টও পাঠানো হয়েছে।

মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ফিল্ম ইনস্টিটিউটটি চালু করা গেলে রাজ্যের অনেক বেকার যুবক তরুণীদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হবে সেখানে। এছাড়া রাজ্যে একটি কালচারাল হাব গড়ে তোলার ব্যাপারেও রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। বৈঠক শেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মার সঙ্গে আলোচনাক্রমে বইমেলার স্থান, দিনক্ষণ ইত্যাদি চূড়ান্ত করা হবে বলে তিনি জানান।

প্রস্তুতি কমিটির এই বৈঠকের আগেই বক্তব্য দিতে গিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে নানা অসুবিধার মধ্যেও বাংলাদেশ থেকে দুটি স্টল ছিল আগরতলা বইমেলায়। এবছরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে বাংলাদেশের প্রকাশকরা এই বইমেলায় যোগ দেবেন। বাংলাদেশের প্রকাশকরা বরাবরের মতোই আগরতলা বইমেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।

এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।