নারীজীবন


প্রকাশিত: ০৯:৩৭ এএম, ১৫ অক্টোবর ২০১৫

বাড়ির সামনে পাকা ধানক্ষেতের ওপর গড়িয়ে পড়া সূর্যালোক। তাই পুকুরপাড়ের তালগাছগুলোর পূবমুখী লম্বা ছায়ার জাফরি। সূর্য যত পশ্চিমে হেলে পড়বে, পূবের ছায়া তত লম্বা হবে। সেই আলো-ছায়ার জাফরি কেটে কেটে দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে আমার  মেয়ে দুটি । যেন অনিচ্ছার রোষানল পেটে পুড়ছে ওদের।

উঠান ঝাড় দেওয়া থামিয়ে, শাড়ির আঁচল মাথা থেকে ঘাড়ের উপর রেখে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ওদের পথ চলা দেখি আমি। পাখির নামে যার নাম, সেই ছোট মেয়ে মুনিয়া ওর দু’হাত প্রসারিত করে থোকা থোকা ধানের শিষ ছুঁয়ে হাঁটছে। আর ওর পিছু পিছু হালকা পাতলা গঠনের লাজুক লিখা। ধান ক্ষেতের আল দিয়ে হাটতে গিয়ে টালমাটাল অবস্থা ওর।

আজ চাঁদ দেখা দিলে কাল ঈদ। উৎসবের আমেজ জড়িয়ে চারদিকের মানুষগুলোর ব্যস্ততা।  আয়োজন তো দূরের কথা আমার ঘরে খাবার চাল পর্যন্ত নেই। দুই বোন-ঈদের দিনটা ওখানে কাটাবে বলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও প্রায় সাড়ে তিন মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ওদের নানির বাড়ি যাচ্ছে । যতটা না আনন্দে তার চেয়ে কষ্টের ভারে ম্রীয়মান হয়ে যেন পালাতে চাইছে ওরা। কিন্তু কোথায় পালাবে ওরা? আমি জানি, ঈদের দিন নতুন নতুন জমাকাপড় পড়া ছেলেমেয়েদের হাসি-খুশি তাড়া করে ফিরবে ওদের। অসহায়ভাবে অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকবে। কিংবা লুকিয়ে থাকা কষ্টকে আরো চাপা দিতে অযথাই সামিল হবে অন্যদের হাসিতে।

 দেখতে দেখতে মেয়ে দুটি দিগন্তে মিলিয়ে যায়। আমি উঠান ঝাড় দেওয়ায় মনোযোগ দিই। আসলে আমার ছেলেমেয়েদের সাথে কখনও আদর করে কথা বলি না আমি । সিনেমা বা নাটকের দৃশ্যের মতো প্রকাশ্যে ওদের প্রতি গদগদ ভাবও প্রকাশ পায় না। আর ওদের বাপ? সেতো জন্য জগত নিয়ে ব্যস্ত।

কিন্তু আমার সব সংগ্রাম ওদের জন্যই। সংসারের খড়গ সবসময় তাড়া করে আমাকে।
বাপ-মায়ের সংসারে থাকাকালীনও আমাকে নিয়ে কখনও ভাবেনি কেউ। এই যে ওদের দিকে আজ এতক্ষণ তাকিয়ে থেকে এতসব ভাবলাম তা আমার চরিত্রের সাথে মিলে না। এমন কোমল ভাবনা মনে দানা বাধার  সুযোগটাই তো পায়নি। বাপ-মায়ের সংসার থেকে স্বামীর সংসার পর্যন্ত সর্বত্র কাঁটা বিছানো পথ চলতে চলতে  কোমলতা যেন বিলিন হয়ে গেছে।

জলবসন্ত রোগ নিয়ে বিছানায় শুয়ে আছে বড় ছেলে তনয়। কয়েকদিন পরই ওর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। অথচ পড়ালেখা করতে পারছে না। আঙ্গিনা ঝাড় দেওয়া শেষ করে বড় ছেলের ঘরের কাছে যাই-

‘কিরে এখনও শুয়ে আছিস যে? বাজারে যেতে হবে না? সব কাজের কথাই বলে দিতে হবে? তুই কি এখনই বুড়ো হয়ে গেছিস যে শুয়ে আছিস?’

ছেলে বলে- ‘শরীরটা ভালো না আমার। জলবসন্ত নিয়ে কীভাবে বাজারে যাব?’

কণ্ঠনালী দিয়ে যেন বিষ ঢেলে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করি- ‘তুই না গেলে বাজারে কে যাবে? কাকে আবার ভাড়া করে আনব?’

মুখ গম্ভীর আর দুই ভ্রুর মাঝে ভাঁজ ফেলে বিছানা হতে উঠে দাঁড়ায় ছেলে।

একটি ঘরে শুয়ার জন্য দুটি চৌকি ছিল। ওর বাবা একটি চৌকি বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাজারে গেছে।  ছেলের ঘরের শনের ছাউনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি পড়ে। ঘরে ছাউনি দিতে হবে। তাছাড়া বাজার করার টাকা নেই বলেও চৌকি বিক্রি করতে হয়েছে। ঈদের দিন সামান্যে হলেও তো সেমাই রান্না করতে হবে। এতেই ছেলের মনটা এত খারাপ। হীনমন্যতায় ভুগছে ও। অথচ ওর বাবার দিকে তাকিয়ে দেখলে এ ঘটনার কোনো প্রতিক্রিয়ায় লক্ষ করা যাবে না। সংসার নিয়ে কোনো ভাবনার ছাপ কখনও  চোখে মুখে পড়েনি তার। সারা দিন-রাত জুয়ার নেশায় মাতোয়ারা সে।

আমার শ্বশুরের দেওয়া প্রায় বিশ বিঘা জমি দিনে দিনে সবটুকু বিক্রি করে জুয়ার আসরে উড়িয়েছে তনয়ের বাপ। বাড়িভিটা ছাড়া আজ আর কিছু নেই। আর আছে একটি নিষ্ফলা পুকুর। যেখানো কোন এক রহস্যজনক কারণে মাছ ছেড়ে তা লাভজনকভাবে বিক্রি করা যায়নি। হয়তো কোনো বছর সব মাছ চুরি হয়েছে, কখনও মরে ভেসে উঠেছে। আর বেশির ভাগ সময়ই মাছগুলো বড় হওয়ার আগেই বিক্রি করে জুয়ার আসরে বসেছে স্বামী। আবার মাছ ছাড়ার সময় প্রতিবারই রাক্ষুসে মাছ চিতল, বোয়াল আর টাকি মাছে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন করলে উত্তর এসেছে ‘সক কইরি ছারলাম’।

বাজারের ব্যাগ হাতে বেরিয়ে পড়তে পড়তে ছেলে কপাল ভাজ করে প্রশ্ন রাখে ‘চৌকি বেচার টাকা জুয়াড়ির হাতে দিয়েছো। এতক্ষণে জুয়া খেলে টাকা সব শেষ করেছে কিনা কে জানে।

ছেলে আমার  দেখতে কালে হলেও ভারী মিষ্টি চেহারা। কিন্তু কপাল ভাঁজ করলে তাকে বিশ্রি দেখায়। আর সংসারেরে এই যাঁতাকলে পড়ে বেশির সময়ই তার মুখ ভার ও কপাল কুচকানো থাকে। প্রায়ই বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাসও।

স্বামীর প্রতি ছেলে এমন অশ্রদ্ধা দেখে আমার ভারী রাগ হয়। বাধা দিয়ে বলি- ‘কী যে কস না। কাল ঈদ। ঘরে চাল ডাল কিছুই নাই। তর বাবার কি হুস নাই?’

দাঁত কিড়মিড় করে উত্তর দেয় ছেলে- ‘হ্যাঁ! তার যে কত হুস আছে তা আমার জানা আছে। এসএসসির ফর্মফিলাপের সময় নিজে টাকা দিতে পারলো তো নাইই। এ নিয়ে কোনো চিন্তাও করতে দেখলাম না। কত কষ্ট করে এর ওর কাছ থেকে সাড়ে এগার’শ টাকা জোটালম। সেই টাকা জুয়াও খেলে শেষ করল। অথচ সেদিন ছিল ফর্মফিলাপের শেষ দিন।’

ছেলে চলে গেলে আমি হাড়ি পাতিল মাজতে থাকি। আস্তে আস্তে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। বাড়ির ছেলেমেয়েরা জটলা করে হৈ চৈ-এ মেতেছে। কখন আকাশে চাঁদ উঠবে, আর সেই চাঁদ কার আগে কে দেখবে এই উত্তেজনায় ওদের মন উচাটন করছে। কেউ কেউ আকাশের দিকে তাকিয়ে অন্যকে বোকা বানানোর জন্য বলছে- “ওই যে চাঁদ।” কেউ কেউ সে চালাকির ফাঁদে পা দিয়ে আকাশের দিকে তাকাচ্ছে। তা দেখে হাসিতে লুটিয়ে পড়ছে অন্য ছেলেমেয়েরা। ঈদের দিন মেলায় গিয়ে ওরা কী কিনবে আর কীভাবেই বা যাবে তার পরিকল্পনা করছে এরই ফাঁকে ফাঁকে।

বাড়ি বাড়ি থেকে ঢেঁকিতে চালের আটা কুটার শব্দ ভেসে আসছে। মেয়ে দুটি হয়তো এখন ওদের নানির বাড়ির উঠানে গিয়ে হাজির হয়েছে। যে উঠানের মাটিতে কতবার হোচট খেয়েছি আমি!

হাঁড়ি পাতিল মাজা শেষ হলে মুরগি তিনটি খুপরিতে তুলে দরজা বন্ধ করে দিই আমি। ভাতের পাতিলে পানি দিয়ে চুলায় আগুন জ্বালিয়ে দিই। পানি গরম হয়ে থাকলে ভাত তাড়াতাড়ি হবে। এবার দূর থেকে কোনো পুরুষ মানুষের গলা ভেসে আসে, “ওই যে চাঁদ ওঠেছে।” তা শুনে বাড়ির ছেলেমেয়েরা আকাশে চাঁদ খুঁজে। হালকা কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে কাস্তের মতো চিকন সোনালি চাঁদ খুঁজেও পায় তারা। তারপর সবাই একসাথে চিৎকার করতে থাকে.“ওই যে, ওই যে।”

এরপর গ্রামের চারপাশ থেকেই চাঁদ দেখার বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের ধ্বনি ভাসতে থাকে। সাথে সাথে ঢেঁকির শব্দও দ্বিগুন হয়। যেন নতুন উদ্যমে ঈদের আয়োজনে নামে বধূরা।

সন্ধ্যার কিছু পরে তনয় বিমর্ষ মুখে বাজার থেকে ফিরে এসে আমার সামনে ব্যাগ ছুঁড়ে মারে। ওকে দেখে আমার ভীষণ রাগ হয়। জিজ্ঞেস করি- ‘কিরে বাজার আনলি না?’

ছেলে বাকা উত্তর দেয়- ‘বাজার করে দিলে না আনব। চুরি করে আনলে ভালো হতো?’

আমি জানতে চাই- ‘কেন? কী হয়েছে? তোর বাবাকে খুঁজে পাসনি?’

তনয় বলে- ‘খুঁজে পেয়েছি।কিন্তু ওতো সব টাকা জুয়া খেলে হেরেছে।’

আমি যেন আকাশ থেকে পড়ি- ‘এই সময় এধরনের একটি কাজ করতে পারলো তোর বাবা?’

তনয় এবার আমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার ভাষায় উত্তর দেয়- ‘সে কি কখনও এ ধরনের কাজ করে না? তুমি তার কাছে টাকা দিয়েছো কেন? তোমারই দোষ।’
‘আমি কী জানতাম চৌকি বিক্রির টাকা নিয়েও সে জুয়া খেলতে বসবে?’

তনয়ের কণ্ঠ তীক্ষ্ণ হয়- ‘কেন জানবে না? এর আগে তোমার সব গয়না বিক্রি করেছে সে। আমার সাধের রেডিওটা বিক্রি করল একদিন। বাড়ির গাছগাছালি তো একটাও রাখেনি। তুমি শুধু শুধু আমাকে বাজারে পাঠালে। শরীরের ব্যথায় বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। কয়েকদিন পর আমার পরীক্ষা। ঔষধ কিনে চাইলাম বলে অন্য জুয়াড়িদের সামনে আমাকে ধমকাল। আমার অসুখ যেন কারো কাছে কেনো অসুখই না।’

তনয়ের গলা ভিজে এসেছে। সেটা যত না ঔষধের জন্য তার চেয়ে বেশি ওর বাবার কাছে অবহেলিত হয়েছে বলে। আমি তো প্রতিনিয়তই তার কাছে অবহেলিত হই। স্বামীকে এভাবে বারবার বিশ্বাস করি। কিন্তু প্রতিবারই সেই বিশ্বাস ভেঙ্গে আমাকে অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করে সে। এরপর দুজনের মধ্যে ঝগড়া চলে। ঝগড়া যে-ই শুরু করুক না কেন, সে তার শক্তিমত্তা, একগুঁয়েমি আর অশ্লীল কথাবার্তা দিয়ে ঝগড়ায় জিতে যায়। চুলায় পানি জ্বাল হওয়া পাতিলের ওপর চোখ পড়লে আমার চোখে পানি আসে। পাশের বাড়ির একজনের কাছ থেকে দুই কেজি চাল ধার এনে সারাদিন চালিয়েছি। এখন আবার কারো কাছে হাত পাততে হবে।

তনয়কে লক্ষ্য করে আক্ষেপে বলি- ‘এখন যেমন আমার শান্তি নেই। বাপ মার ঘরেও শান্তি ছিল না আমার।’

আর এভাবেই নিজের আর পুত্রের দুঃখকে ভাগাভাগি করে নেওয়া শুরু করি আমি। তনয়কে লক্ষ্য করে আরো বলি-

‘নয় ভাইবোনের বিশাল সংসার ছিল আমাদের।  মাত্র সত্তর টাকা বেতনে বাবা প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকতা করতো। বিরাট সংসার অথচ আবাদি জমি মাত্র এক বিঘা। মা আমাকে দু’চোখে দেখতে পেত না। হয়তো তিন বোনের পরে আরেকটি মেয়ে হয়ে জম্মেছিলাম বলে মা আমাকে তার শক্র মনে করতো। কথায় কথায় শরীরে হাত তুলতো। ঠিকমত ভাত দিতো না। কখনও ভালো ব্যবহার করতো না। বিয়ে হওয়ার পর বড় এক সংসারে এলাম। কিন্তু বৈশাখের তুলার মতো এ সংসারও ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল। তোর দাদা বেঁচে থাকা অবস্থায় সব জমি তাঁর ছেলেমেয়েদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিলো। তোর বাবা তার অংশ বিক্রি করে জুয়া খেলা শুরু করলো। বাধা দিলে অহংকার করে বলতো- যে জমি আছে আজীবন বসে খেতে পারবো। মানুষটাকে আজীবন অন্ধের মতো বিশ্বাসই করে গেলাম। তার কোনো প্রতিদান পেলাম না।।’

এসব বলতে বলতে আমার যেন দম বন্ধ হয়ে আসে। বাড়িতে বাড়িতে আটা কুটার ঢেকি যেন আমার বুকে পার মারছে। চোখ থেকে টপটপ করে পানি গড়িয়ে পড়ছে। অথচ সেই ছোটবেলাতে থেকেই কাঁদতে ভুলে গিয়েছিলাম। বুকের মধ্যে শুধু চাপ চাপ দুঃখ অনুভব করতাম। কিন্তু নীরবে চোখের জল ফেলাটা যেন এতদিন হয়ে ওঠেনি। আজ হলো। দুঃখ যখন সাঁড়াশি নিয়ে ক্রমাগত ধাওয়া করে তখন নীরবে কাদার সময়ই বা কোথায়?

তনয় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছিল। চোখের পানি ফেলতে দেখে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে ও-

‘তুমি কেদো না মা। ঈদের নতুন চাঁদ উঠার মতো একদিন তোমারও জীবনে নতুন দিন আসবে।’

নেহাতই গল্প উপন্যাসে পড়া কিংবা সিনেমার ডায়লগের মত শোনায় ওর কথা। তাই আমি ওর বাহু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে  বলি- ‘আমি আর কোনো নতুন দিন চাই না। এসবের প্রতি কোনো বিশ্বাসও নেই আমার। বরং মাঝে মাঝে মনে হয় পাখি হয়ে দূরে কোথাও উড়ে যাই। যেখানে কারো করুন মুখ দেখতে হবে না। কাউকে বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্নও আসবে না।’ আমার কথা শেষ হতে না হতেই গলা ছেড়ে কান্না শুরু করে তনয়। অন্তর্মুখী ছেলেটা আমাকে জড়িয়ে ধরে বলে- ‘তোমাকে আমরা কোথাও যেতে দেব না।’

ওর স্পর্শ পেয়ে আমার মনের ভেতরটা জানি কেমন হয়ে যায়। নিমিষেই সব দুঃখ ক্লেশ উধাও হলেও সংশয় দূর হয় না। আসলেই কি এরা আমাকে  কোনোদিন কোথাও যেতে দিবে না? মেয়েরা কি কখনও কারো সত্যিকারভাবে হতে পেরেছে? প্রশ্নটাকে ছুঁড়ে ফেলে নিজেকে শান্তনা দিই, ওরা আরো বড় হলে কী করবে কে জানে। কিন্তু এখন তো ওরা আমাকে কোথাও যেতে দিবে না ।

[email protected]

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।