এস এম সুলতানের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশিত: ০৩:০৩ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৫

বরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান। দিবসটি উপলক্ষে নড়াইল জেলা প্রশাসন, এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন ও এসএম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শিল্পীর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জিয়ারত, কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিল, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী।
 
শিল্পী সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট নড়াইলের চিত্রা পাড়ের মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মেছের আলী এবং মায়ের নাম মাজু বিবি। বাবা পেশায় ছিলেন রাজমিস্ত্রি। বাবা-মা আদর করে তাকে লাল মিয়া ডাকতেন। দারিদ্রতার মধ্যেও তিনি ১৯২৮ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে লেখাপড়া শুরু করেন। স্কুলের অবসরে বাবাকে কাজে সহযোগিতা করার সময় ছবি আঁকায় হাতেখড়ি হয় তার। ১৯৪১ সালে তিনি তৎকলীন কলকাতা আর্ট স্কুলে ভর্তি হন।

১৯৪৭ সালে ভারতের সিমলায় তার প্রথম একক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫১ সালে নিউইয়র্কে আন্তর্জাতিক শিক্ষা সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। ১৯৫৫ সালে সবার অলক্ষ্যে করাচি থেকে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘স্কুল অব আর্টস’।

বরেণ্য এ শিল্পী ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে `ম্যান অব দ্য ইয়ার`, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে `ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট` এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে `ম্যান অব এশিয়া` পুরস্কার লাভ করেন। তাছাড়া ১৯৮২ সালে একুশে এবং ১৯৯৩ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন। তিনি ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্ট আর্টিস্ট স্বীকৃতি এবং ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা পান।

জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।