কবিতার প্লাটফরমের আড্ডায় কবি ফেরদৌস নাহার

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩১ এএম, ০৪ অক্টোবর ২০১৭

“একটি জীবন আমি আমার মতন করে যাপন করতে চাই। আমি বলি, আমি জীবন যাপন করি না। আমি করি জীবন উদযাপন।”
২০১৭-এর ১৮ মার্চ বিকাল চারটায় স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের ফিল্ম এন্ড মিডিয়া বিভাগে বসেছিল পরিব্রাজক কবি প্রাবন্ধিক ফেরদৌস নাহারের সাথে কবিতার প্লাটফরমের ১১তম আসর। নিজের কথা তিনি এভাবেই বয়ান করলেন। কেন কবি হতে চেয়েছি প্রশ্নে জানালেন, কবিকে মানুষ ভীষণ ক্ষমা করে। কবির দিকে সকলে চায়। এ এক অন্যরকম ভালোবাসা। বলে চলেন, ঘুরতে আমি ভালোবাসি। যদি আর কোনো জন্ম থাকে আমি পথ ও পাখি হয়ে জন্মাতে চাই।

কবি ফেরদৌস নাহারের সাথে সেদিন আড্ডা দিতে, তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এবং কবিতা পাঠ করতে এসেছিলেন কবি রুবী রহমান, কবি ফরিদা মজিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক মশিউদ্দিন শাকের, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক ও কবি জাহাঙ্গীর মোহাম্মদ, কবি নভেরা হোসেন, কবি রূমানা জাহান, কবি সাদিয়া আরমান, কবি আল্লাদিত্তা আরজু, কবি আশফাকুল আশেকিন, কবি ও গল্পকার মুম রহমান এবং কবির বন্ধু ও শুভাকাক্সক্ষীরা। বৃষ্টিভেজা বিকেলে আমরা কবির কণ্ঠে কবিতা শুনতে থাকি। কবি ফেরদৌসের কবিতা পাঠ কেবল শুনবার বিষয় নয়, এটি পুরোদস্তুর পারফরমেন্স। আমরা শ্রোতৃদর্শকমণ্ডলী হয়ে তার কবিতা তার জীবন উদযাপনের সাক্ষী হতে থাকি।

Tabasum-2

পাখিদের ধর্মগ্রন্থ ও রূপান্তরের ঘোড়া এই দুটি বই থেকে কবি তার কবিতার পরাবাস্তব ভ্রমণে আমাদের সঙ্গী করে নেন। কবিতা পাঠের ফাঁকে চলে তার কবিতার ভাবনার বিনিময়। কখনো তা গদ্য-পদ্যের সম্পর্কে কখনো লেখক হয়ে ওঠা বিষয়ে। এরই মাঝে আমন্ত্রিত কবিদের কবিতা পাঠ, আবৃত্তি শিল্পী জাকিয়ার সব্যসাচী দেব রচিত কৃষ্ণা কবিতার পাঠ, সৈকতের বাঁশী ভিন্ন মাত্রা যোগ করে আড্ডায়। আসর শেষ হয় কবি প্রাবন্ধিক ফেরদৌস নাহারের আরেক পরিচয় দিয়ে। নিজের লেখা ও সুরে গীতিকার কবি গাইলেন, ‘জমছে কালো মেঘ’।

বাংলাদেশের ঢাকা শহরে বেড়ে ওঠা কবি ফেরদৌস অবস্থান করেন কানাডার টরেন্টোয়। তার ভাষায় ‘বোহেমিয়ান বাতাসে পাল তুলে ঘরে ফেরেন’ মাঝে মাঝেই। আর আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন তার পাখি ও পথের গল্প, কবিতায় প্রবন্ধে গানে। তেমনি উদযাপন করুন তিনি তার জীবন যেমনটা তিনি কবিতায় চেয়েছেন-
পাখিদের ধর্মগ্রন্থে আমার নাম লেখা আছে

Tabasum-1

তুমি বলেছ উড়ে যাবার হয়েছে সময়
পাখিরা দাঁড়িয়ে আছে, ওঠো
প্যাঁটরা তুলে নাও কাঁধে
আমাদেরও যেতে হবে পাখিদের সাথে

পাহাড় ডিঙিয়ে উঁচু উঁচু ব্লাফার্সের ধার ঘেঁষে
কত দিন ও রাত্রির অভিযান শেষে
আমরা থেমেছি মেহিকান প্রাচীন আকাশে
আমার যে মাটিতেই ভালো লাগে, কেন যে
পাখিদের ধর্মগ্রন্থে নাম লেখা থাকে
পাখিদের ধর্মগ্রন্থ, ২০১৫
শুভ জন্মদিন, কবি!

এইচআর/পিআর

পাখিদের ধর্মগ্রন্থ ও রূপান্তরের ঘোড়া এই দুটি বই থেকে কবি তার কবিতার পরাবাস্তব ভ্রমণে আমাদের সঙ্গী করে নেন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।