ফেরদৌস ঈশামের পাঁচটি কবিতা
অবয়ব
ঘরভর্তি আয়না
নিজের মুখ দেখে ভাবি, আয়না কতো সুন্দর!
দেখে ফেলি কপালের দাগ
প্রথমেই আসে চুমুর স্মৃতি।
নকশী কাঁথায় চড়ে সেই কবে এসেছিলো একজোড়া ঠোঁট!
****
মঞ্জুরী
তুমি হেঁটে যাও—
সমুদ্রের বুকে অঙুল তুলে!
যতো স্বাদ করে রেখেছি বাজি প্রেমে
ওইদিকে চোরাবালি—
তুমি ডুবো না যেন।
অক্ষরে অক্ষরে
সাজানো সমুদ্র সাঁতার
আয়ুরেখায় নুইয়ে পড়ছে ঢেউ
প্রসার এই বালুর ছাপ!
এতো অভিমান কোথায় লুকাও তুমি?
আমি যেন ডুবতে জানি!
****
অবগুণ্ঠিতা
(অব)
কাঠের আয়নায় হাসতে দেখি নীল রঙের মন
দেয়াল ঘড়িতে তখন তিনটা এক
আমায় টানে রোদের বিলাসবহুল প্রাসাদ
যার পূব কোণে থাকে পাড়ার সবচেয়ে সুন্দরী বউদি।
(গুণ্ঠিতা)
আমার ছোঁয়াচে পোশাক চলে
এক কফি ঘরের টুল! তুমি ছাড়াও
আরো তেরোজন জানে ঠিকানা! বিকালে
সবার মন খারাপ হয়। প্রতিসূর্যাস্তে চৌদ্দতম তুমি।
****
মাইক
কলিন্সের মদের আসরে পুরো বৃটিশ সাম্রাজ্য উপস্থিত।
গাউন পরিহিত তরুণীর পাশে দাঁড়িয়ে মদ্যপ- রাজনীতিক পিতা।
হিল ছিটকে রাজনৈতিক গ্লাস
সুন্দরী তরুণীর ক্লিভেজে, সিক্ত বুক।
পিতা আবেশি আবদারে আরেক পেগ গিলে নিলো।
চোখে ভাসছে তরুণী বুক,
একপাশ পাহাড়সম সুউচ্চ দাঁড়ানো
অন্যপাশ সমুদ্র ঢেউয়ের মত লিবিডো দোলাচ্ছে।
আসরের মাঝখানে
হঠাৎ
রাজনৈতিক মাইক দিয়ে বিয়ের ঘোষণা এলো।
প্রস্তাবনার গাউন সমেত তরুণী
জীপে করে রাজনৈতিক মাইকে হাওয়ায় জন্মালো।
প্রায়শই ঝড়ো বাতাসে আওয়াজ শুনি-
মাইক
মাইক
মাইক...
****
কলেবর
চাদরে জড়ানো সোনালি আদর—
বিলিয়ে দাও রজনীর ক্রোশ অন্ধকারে।
সকাল মগজে অফিস,
নামছে শুনি ছুটির শেষে
আলোতে পষ্টত বুড়ো রোদ
কিনেছে উন্নয়নের নব্য দেয়াল।
তুমি আমি আর সাদাচোখ দুঃস্বপ্নে সুখী হই
কে জানে আবারো শরীর আসবে বিপরীতে?
যেহেতু পোশাক বাঁচে শালীন দেশে।
ভেবে লও পরোষ্ঠ কলেবর—
আমার বিছানা যেন দেশ নয়।
এসইউ/পিআর