আমি সবসময়ই নিজেকে ভাঙি আবার গড়ি : মোস্তফা কামাল


প্রকাশিত: ০৬:৪৭ এএম, ২৮ মে ২০১৭

কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোস্তফা কামালের জন্ম ৩০ মে। তিনি ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলা সাহিত্যের বিচিত্র ধারায় বিচরণ করছেন। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক।  জন্মদিন উপলক্ষে এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস।

প্রশ্ন : অনেকদিন থেকে লিখছেন। আপনার বিষয়ও বিচিত্র। এই একটানা লেখা চালিয়ে যাওয়া কীভাবে সম্ভব হলো বিস্তারিত বলুন।
মোস্তফা কামাল : লেখালেখিই আমার ধ্যান-জ্ঞান, আমার আরাধনা, আমার সাধনা। আমার সমস্ত ভাবনা- সত্তাজুড়ে লেখালেখি। সেই ছোটবেলা থেকে লেখালেখির কথাই ভেবেছি। আমার প্রথম প্রেম আমার লেখা। আমি বেশি ভাবি লেখা নিয়ে। সেভাবেই নিজেকে তৈরি করেছি। পড়াশুনা করেছি এবং প্রতিনিয়ত পড়ছি। সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যেই ডুবে থাকতে পছন্দ করি। একটা গল্প, উপন্যাস কিংবা অন্য যে কোনো লেখা লিখে যে আনন্দ হয় তা আর কিছুতে পাই না। সে কারণেই হয়তো নিয়মিত লিখতে পারছি। আর আমি সবসময়ই নিজেকে ভাঙি আবার গড়ি। আমি সব ধরনের বিষয় নিয়েই লিখতে পছন্দ করি। কখনো ভৌতিক, গোয়েন্দা, সায়েন্স ফিকশন লিখি। আবার কখনো প্রেম, বিরহ, হাসির বিষয়ে গল্প-উপন্যাস, নাটক লিখি। সিরিয়াস বিষয় নিয়েও কাজ করি। মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, জঙ্গিবাদ, রাষ্ট্র, রাজনীতি ও সামাজিক বিষয় নিয়েও গল্প উপন্যাস লিখেছি। লেখার প্রতি ভালোবাসার কারণেই হয়তো নিয়মিত লিখতে পারছি।

প্রশ্ন : আপনার লেখালেখিতে কোন প্রতিবন্ধকতা এসেছে কি? কোনো সংকটের কারণে আপনি কি লেখা থামিয়ে দিয়েছেন কখনো?
মোস্তফা কামাল : প্রতিবন্ধকতা তো প্রতিনিয়তই থাকে। আমার জায়গায় অন্য কোনো লেখক হলে হয়তো লেখালেখি ছেড়েই দিত। কিন্তু আমার অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে আমি এখনো লিখে যাচ্ছি, লিখতে পারছি। ভবিষ্যতেও লিখে যাবো। কোনো বাধার কারণে হার মানব না।

প্রশ্ন : দীর্ঘদিন সাহিত্য চর্চায় নিবেদিত থাকায় আপনার লেখক-পাঠক সমাজে যেমন পরিচিতি আছে তেমনি আছে সাহিত্যিক বন্ধু। দেশ-বিদেশের সাহিত্যিক বন্ধু সম্পর্কে কিছু বলুন।
মোস্তফা কামাল : আমি এখনো অতি নগণ্য, অতি ক্ষুদ্র একজন লেখক। আমার কতটুকু পরিচিতি আছে তা আমি জানি না। আমার মনে হয়, আমার নামটা বাংলাদেশে খুব কমন হওয়ায় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। আমার বন্ধুবান্ধবের সংখ্যা খুব কম। দক্ষিণ এশিয়া ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকার কিছু লেখকের সঙ্গে আমার পরিচয় আছে। তারাও নিয়মিত লেখালেখি করেন। রাষ্ট্র-সমাজ নিয়ে ভাবেন। দেশেও আমার অনেক সুহৃদ লেখক আছেন। তাদের কথা এখন না-ই বা বললাম। 

প্রশ্ন : পেশাগত কাজে বিদেশে গেছেন অনেকবার। সেই ভ্রমণ আপনার সাহিত্য চর্চায় কোনো সুফল বয়ে এনেছে কি?
মোস্তফা কামাল : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণে গেলে যে অভিজ্ঞতা হয় তা বই পড়েও সম্ভব নয়। দেশ-বিদেশে ঘুরলে দৃষ্টিভঙ্গিই পাল্টে যায়। এই অভিজ্ঞতা লেখালেখির ক্ষেত্রে খুব কাজে আসে। লেখকের পড়াশুনা ও অভিজ্ঞতা যত বেশি থাকলে তার লেখা ততবেশি বৈচিত্র্য থাকবে। লেখায় নতুন মাত্রা পাবে।

প্রশ্ন : কেবল সাহিত্য চর্চা করে জীবিকা নির্বাহের স্বপ্ন দেখেছেন কখনো? এদেশে তা সম্ভব কী?
মোস্তফা কামাল : এখনো স্বপ্ন দেখি। লেখালেখি করে যেদিন জীবিকা নির্বাহ করতে পারব সেদিন অবশ্যই সবকিছু ছেড়ে ফুলটাইম লেখালেখাই করব। অন্য কিছু না। আমাদের দেশে লেখালেখি করে জীবিকা নির্বাহ করা এখনো সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে আমি আশাবাদী। হয়তো কখনো সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।

প্রশ্ন : আপনার সাহিত্যচর্চায় সবচেয়ে শ্রমনিষ্ঠ কাজ কোনগুলো? সেগুলো থেকে পাঠকের কেমন প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন?
মোস্তফা কামাল : সাহিত্য চর্চায় গবেষণামূলক কাজ করা সবচেয়ে কঠিন। ‘অগ্নিকন্যা’ ঐতিহাসিক উপন্যাস। একটা বিশেষ সময়কে ধরার চেষ্টা। দেশভাগ থেকে যার শুরু। সেই সময়ের নায়কদের কার কী ভূমিকা ছিল। ঘটনা ও চরিত্রগুলো সত্য। কিন্তু লিখতে হচ্ছে উপন্যাস। কাজটি খুবই কঠিন। অনেক বই পড়তে হয়। সেখান থেকে সত্যটিই খুঁজে বের করতে হয়। অজানা কাহিনী, কিন্তু ধ্রুব সত্য। তা আপনাকে বলতেই হবে। ঐতিহাসিক ঘটনা গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার কাজটি বড় কঠিন। ভাষার দিকটিও আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হয়। দুর্বল ভাষা হলে পাঠক ছুঁড়ে ফেলবে। ইতিহাসের মতো কাঠখোট্টা বিষয় পড়তে চায় না পাঠক। তাকে বইয়ের ভেতরে ঢোকাতে হলে ভাষার শক্তি থাকতে হবে। প্রেমের উপন্যাস, ভৌতিক কিংবা রহস্য উপন্যাস লেখা সহজ। কিন্তু ঐতিহাসিক বিষয়ে উপন্যাস লেখা সবচেয়ে কঠিন। আমি ‘অগ্নিকন্যা’ লিখে দারুণ সাড়া পেয়েছি। পাঠক, লেখক এবং বুদ্ধিজীবী মহলে বইটি সমাদৃত হয়েছে। উপন্যাসটি লেখার পর আমার নিজের কাছেও মনে হয়েছে, উপন্যাস আমাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।

প্রশ্ন : প্রিন্ট মিডিয়ার মতো অনলাইন পত্রিকায় বেশ জোর প্রচারণা করেই সাহিত্য চর্চা চলছে। কেমন লাগে আপনার। এদেশে সোস্যাল মিডিয়াতেও সাহিত্য চর্চা হচ্ছে- কোন দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করবেন?
মোস্তফা কামাল : অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং সামাজিক মিডিয়াতেও সাহিত্য চর্চা হচ্ছে। অনেকেই লিখছেন। এটা ভালো দিক। আগে তো পাড়া মহল্লায় লাইব্রেরি কেন্দ্রিক সাহিত্য চর্চা হতো। বই লোন করে আমরাও পড়েছি। সেই অবস্থা এখন আর নেই। আপনি গ্রামে গঞ্জে এখন আর লাইব্রেরী দেখবেন না। পাঠাভ্যাস দিন দিন কমে যাচ্ছে। এক ধরনের ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে উঠছে। সেখানে যদি কিছু সাহিত্য চর্চা হয় ক্ষতি কী! আস্তে আস্তে যদি মানুষ বইমুখি হয় তাহলে নিশ্চয়ই তা ইতিবাচক কিছু দেবে।

প্রশ্ন : গল্প-উপন্যাসের বিচিত্র ভাবনার সঙ্গে হাস্যরস, ব্যঙ্গ, কল্পবিজ্ঞান, সমাজ সংকটভিত্তিক কলাম- এতো কিছু একসঙ্গে চর্চা করেন কীভাবে। দুঃখ-কষ্টের সময় লেখালেখি কী সম্ভব?
মোস্তফা কামাল : সবাইকে দিয়ে সবকিছু হয় না। কেউ শুধু শিশুদের জন্য লেখালেখি করেন। কেউ করেন বড়দের জন্য। আবার কেউ প্রবন্ধ নিবন্ধ লেখেন। কেউ শুধু কবিতা লেখেন। কেউ লেখেন নাটক। সাহিত্যের সব ক্ষেত্রে সবাই যে সমানভাবে বিচরণ করতে পারবেন তা নয়। এটা চেষ্টা করেও হবে না। এখানে অন্য ব্যাপার আছে। ভেতর থেকে না এলে ভালো কিছু তৈরি হয় না। তাহলে দেশের সবাই লেখক হতেন। আর দুঃখ কস্টের সময় লেখালেখি! অবশ্যই লেখালেখি সম্ভব। কেন সম্ভব নয়? কাজী নজরুল ইসলাম, জীবনানন্দ দাশ খুব কঠিন সংকটের মধ্যেও লিখেছেন। অনেক বড় মাপের লেখা তারা তখনই লিখেছেন। একটা কথা এ প্রসঙ্গে বলি, দেশের এবং সমাজের যত অন্যায়, অনিয়ম, দুঃখ-কষ্ট এগুলো যায় কোথায় জানেন? এগুলো লেখকের মাথায় ভর করে। তারপর সেগুলো নিয়ে তিনি লেখেন। সেটাই তো বড় লেখা হয়!

প্রশ্ন : এ বছর প্রকাশিত ‘অগ্নিকন্যা’ বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পাঠক হিসেবে সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া জানতে চাই। তারা কেমনভাবে মূল্যায়ন করেছেন গ্রন্থটিকে।
মোস্তফা কামাল : আমি এ যাবৎকালে যত লেখালেখি করেছি তারমধ্যে সবচেয়ে বড় কাজ অগ্নিকন্যা। আমি পাঠকের কাছ থেকে সাড়াও অনেক বেশি পেয়েছি। আমি মনে করি, এই উপন্যাস দীর্ঘকাল আমাকে বাঁচিয়ে রাখবে।

প্রশ্ন : অগ্নিকন্যা রচনা করার যে শ্রম তা কি সার্থক হয়েছে বলে মনে করেন? কেন?
মোস্তফা কামাল : অবশ্যই আমার শ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করি।

প্রশ্ন : অগ্নিকন্যায় যে রাজনৈতিক-ঐতিহাসিক পটভূমি আছে তা নিয়ে আরো বিস্তৃত পরিপ্রেক্ষিত সৃষ্টি করা সম্ভব কি? ভবিষ্যতে বিষয়টিকে দ্বিতীয় পর্বে নিবেন কি?
মোস্তফা কামাল : দ্বিতীয় পর্বের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আমি আশা করছি আগামী বইমেলায় দ্বিতীয় খণ্ডটি পাঠকের হাতে তুলে দিতে পারব। 

প্রশ্ন : একদিকে বাস্তব জীবন ও ইতিহাসের কাহিনি অন্যদিকে হাসি ও রঙ্গব্যঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে সায়েন্স ফিকশন- অথবা ছোটগল্প রচনা- এর ভেতর কোনদিকে আপনার দুর্বলতা বেশি। রচনা করতে, বুঁদ হতে, পছন্দ করেন কোন ধরনের সৃজনশীল কাজ।
মোস্তফা কামাল : অগ্নিকন্যা লিখতে গিয়ে আমি একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম। এই উপন্যাস লেখার সময় একটা ঘোর তৈরি হয়েছে। আমি বোধহয় এই জগতে ছিলাম না। ঘোরের মধ্যে ছিলাম। এখনো সেই ঘোর আছে। লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকবে। 

প্রশ্ন : অগ্নিকন্যা, জননী, জনক-জননীর গল্প, পারমিতা, হ্যালো কর্নেল প্রভৃতি উপন্যাস রচনার পেছনের কাহিনি পাঠকদের জানাবেন কি?  
মোস্তফা কামাল : আপনি যে উপন্যাসগুলোর নাম বলেছেন এর প্রতিটিই সাড়া জাগানো উপন্যাস বলে মনে করি। এর পেছনের গল্প লিখতে গেলে আরেকটি উপন্যাস লেখা হয়ে যাবে। স্বল্প পরিসরে তা লেখা সম্ভব নয়। প্রতিটি উপন্যাসের পেছনের গল্প আলাদা। এখানে লিখে আমি পাঠকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটাতে চাই না।

প্রশ্ন : লেখকের নিজস্ব গদ্যভাষা সম্পর্কে কিছু স্বতন্ত্র চিন্তা-ভাবনা থাকে। আপনার ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার এবং বিবর্তনের ধারাটি সম্পর্কে কিছু বলুন।
মোস্তফা কামাল : প্রত্যেক লেখকের নিজস্ব একটা ভাষা থাকে। থাকা উচিত। গদ্য লিখলে সেই গদ্যের স্বকীয়তা থাকা উচিত। এটা প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে লেখক সফল হতে পারবেন না। লেখা পড়লেই পাঠকরা চট করে ধরে ফেলবেন। এ রকম একটা স্বকীয় অবস্থান তৈরি করতে না পারলে লেখক সফল হতে পারবেন না।

প্রশ্ন : চরিত্র সৃজনে সংলাপ একটি গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি। আপনার নাটকের সঙ্গে তার সংযোগও আছে। সংলাপ আপনার সকল সৃজনকর্মে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
মোস্তফা কামাল : নাটকে সংলাপ সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সংলাপ ভালো না হলে নাটক কেন দেখবেন দর্শক? সংলাপ দিয়েই তো দর্শক ধরে রাখতে হয়। আর চরিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে সংলাপ বড় ভূমিকা রাখে। ম্যারে ম্যারে সংলাপ হলে উত্তম কুমারের মতো অভিনেতাও চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারবেন না। হুমায়ূন আহমেদ নাটকেও সফল হয়েছেন তার সংলাপের গুণে। তার সংলাপগুলো দর্শককে দারুণভাবে আকর্ষণ করেছে।

প্রশ্ন : অনেকদিন থেকেই তো লিখছেন- সাহিত্য চর্চায় স্বীকৃতি, পুরস্কার আশা করেন কি?  
মোস্তফা কামাল : আমি আগেও দুএকটি সাক্ষাৎকারে বলেছি, পুরস্কারের জন্য আমি লিখি না। আমি আমার ভেতরে তাগিদ থেকে লিখি। লিখতে না পারলে বরং আমার ভেতরে যন্ত্রণা হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত লিখতে না পারি ততক্ষণ সেই যন্ত্রণা আমাকে তাড়া করে।

প্রশ্ন : ২০১৭ এর ঈদ  সংখ্যার জন্য কি লিখছেন? আলাদা পরিকল্পনা আছে কি?
মোস্তফা কামাল : ঈদ সংখ্যার লেখালেখি বইমেলার পর থেকেই আমি শুরু করি। কারণ ১০/১২টি ঈদ সংখ্যায় আমাকে লিখতে হয়। ঈদ সংখ্যাগুলোতে মূলত গল্প, উপন্যাস লিখি। কেউ কেউ লেখা না পেয়ে হতাশও হন। তারা ভাবেন, আমি ইচ্ছা করলেই দিতে পারি। কিন্তু দিই না। এটা ভাবলে আমার প্রতি অন্যায় করা হবে। আমি কাউকেই ফিরাতে চাই না। কিন্তু আমারও তো সীমাবদ্ধতা আছে!

প্রশ্ন : ভবিষ্যতে আর কি ধরনের লেখার কাজ করবেন বলে ভাবছেন?  
মোস্তফা কামাল : অগ্নিকন্যা শেষ করতে আরো দুই বছর লাগবে। তারপর কি লিখব তা ভাববো। তবে প্রতি বছর তো অনেক গল্প উপন্যাস লেখা হয়! তাই না? বড় লেখা তো ইচ্ছা করলেই লেখা যায় না। তার জন্য বিরাট প্রস্তুতির দরকার। ভেতরের তাগিদটাও থাকা চাই।

প্রশ্ন : তরুণ প্রজন্মের লেখকদের প্রতি আপনার কোনো পরামর্শ আছে কি? থাকলে বলুন?
মোস্তফা কামাল : নতুনদের জন্য বলব? আমি নিজেও তো এখনো প্রবীণ হইনি। প্রবীণরাই কেবল নতুনদের বলার অধিকার রাখেন। তবে এইটুকু বলব, বেশি বেশি পড়া ছাড়া ভালো লেখা হবে না। নিজেকে তৈরি করতে হলে নিয়মিত পত্রিকায় লিখতে হবে। লিখে লিখে হাত পাকাতে হবে। হাত না পাকলে ভাষার ওপর দখল থাকবে না।

প্রশ্ন : ধন্যবাদ আপনাকে।
মোস্তফা কামাল : আপনাকেও ধন্যবাদ। প্রিয় পাঠকদের ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকুন।  

এইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।