হাসান হাফিজুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশিত: ০৮:১৪ এএম, ০১ এপ্রিল ২০১৭

প্রথিতযশা কবি, সাংবাদিক ও সমালোচক হাসান হাফিজুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের দলিল সম্পাদনার জন্য বিখ্যাত। তাঁর পূর্বপুরুষ জামালপুর জেলার কুলকান্দি গ্রামে বাস করতেন। কর্মজীবনের পুরো সময় তিনি ঢাকা শহরেই অতিবাহিত করেন। ১৯৮৩ সালের ১ এপ্রিল তাঁর প্রয়াণ ঘটে।

হাসান হাফিজুর রহমান ১৯৩২ সালে ১৪ জুন জামালপুর জেলায় তাঁর নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম আবদুর রহমান এবং মায়ের নাম হাফিজা খাতুন। ১৯৫৮ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি সাঈদা হাসানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের প্রথম সন্তানের নাম হাসান সাঈদ দিশা, দ্বিতীয় সন্তানের নাম এশা হাসান মুন্নী।

১৯৩৮ সালে ঢাকার নবকুমার স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে সরাসরি তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৩৯ সালে তাঁর বাবা বরিশালে বদলি হয়ে গেলে তিন বছর জামালপুরের সিংজানী হাইস্কুলে পড়াশোনা করেন। ১৯৪২ সালে তাঁর বাবা ঢাকায় বদলি হয়ে এলে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত এই স্কুলেই পড়াশোনা করেন। ১৯৪৬ সালে হাসান হাফিজুর রহমান ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে দ্বিতীয় বিভাগে মাধ্যমিক পাস করেন এবং এ বছরই ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে মানবিক শাখায় ভর্তি হন। ১৯৪৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন এবং এ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বিএ অনার্স শ্রেণিতে ভর্তি হন। কিন্তু অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে ১৯৫১ সালে তিনি পাস কোর্সে বিএ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন। ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস কোর্সে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং এ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রথম পর্ব এমএ শ্রেণিতে ভর্তি হন।

হাসান হাফিজুর রহমান বেশি পরিচিত তাঁর বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের ১৬ খণ্ডের দলিলপত্রের (১৯৮২-৮৩) জন্য। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে বিমুখ প্রান্তর (১৯৬৩), আর্ত শব্দাবলী (১৯৬৮), আধুনিক কবি ও কবিতা (১৯৬৫), মূল্যবোধের জন্যে (১৯৭০), প্রতিবিম্ব (১৯৭৬), আরো দুটি মৃত্যু (১৯৭০) ইত্যাদি। বাংলা ভাষায় হোমারের ওডিসি অনুবাদও করেছেন তিনি।

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।