কথাশিল্পী শওকত ওসমানের জন্মশতবার্ষিকী


প্রকাশিত: ০২:৪৭ এএম, ০২ জানুয়ারি ২০১৭

কথাশিল্পী শওকত ওসমানের জন্মশতবার্ষিকী আজ ২ জানুয়ারি। চল্লিশের দশক থেকে সাহিত্যের বিভিন্ন ঘরানায় অত্যন্ত সাবলিলভাবে লেখালেখি করে বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেন তিনি।

কথাশিল্পী শওকত ওসমান একাধারে লিখেছেন গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, ননফিকশন, অুনবাদ ও স্মৃতিকথা। বিভিন্ন মাধ্যমে তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক।

শওকত ওসমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শওকত ওসমান স্মৃতি সংসদ ও উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী যৌথভাবে আজ সোমবার থেকে ঢাকায় দুই দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সঙ্গীত, আলোচনা, আবৃত্তি, নাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।

১৯১৭ সালের এই দিনে তিনি অবিভক্ত বাংলার পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার সবলসিংহপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান। তার পিতার নাম শেখ মোহাম্মদ ইয়াহিয়া। ছাত্রজীবন থেকেই কথাশিল্পী শওকত ওসমান বৃটিশ শাসনবিরোধী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতির বিভিন্ন ঘরানায় সাহিত্য চর্চা ও লেখালেখি শুরু করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪১ সালে বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর তিনি ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে পেশাগত জীবন শুরু করেন। তিনি চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে এবং পরবর্তীতে ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা করেন। শুরু থেকেই তার গল্প ও উপন্যাসে সকল ধরনের অন্যায়, অবিচার, শোষণের বিরুদ্ধে গণমানুষের কথামালা এবং তাদের আশা-আকাংখা ওঠে আসে।

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের অত্যাচারের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি লিখেন ‘ জননী ’ এবং ‘ জাহান্নাম থেকে বিদায় ’ দুটি উপন্যাস। তিনি জীবিত থাকাকালেই ‘ জননী’ উপন্যাস বিশ্বের অন্যতম সেরা প্রকাশনা সংস্থা প্যাংগুইন ইংরেজি ভাষায় প্রকাশ করে।

এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।