ফিয়ারলেস: দেওয়ালচিত্রে সাহসের গল্প

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২০ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২৫

কলম্বোয় আয়োজিত ফিয়ারলেস অ্যাম্বাসেডরশিপ প্রকল্পে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করলেন বগুড়ার চিত্রশিল্পী আহসানা আঙ্গনা। দক্ষিণ এশিয়ার নারীদের শিল্পের মাধ্যমে শক্তি ও প্রতিবাদের ভাষা তুলে ধরতে এ উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয় ভারতীয় শিল্পী শিলো শিভ সুলেমানের হাত ধরে, নির্ভয়া ঘটনার পর ২০১২ সালে।

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত ১৫ জন নারী শিল্পীর সঙ্গে আহসানা আঙ্গনা অংশ নেন কলম্বোর এক অনন্য কর্মশালায়। সেখানে তাদের নিজস্ব জীবনের গল্প, সংগ্রাম ও স্বপ্নের আলোকে স্ব-প্রতিকৃতি আঁকার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয়। এরপর স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে সংযোগ তৈরি করে। তাদের জীবনের লড়াই ও অভিজ্ঞতা আত্মস্থ করেন শিল্পীরা।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

এক সপ্তাহব্যাপী এ কর্মশালার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল দেওয়ালচিত্র আঁকা। কলম্বোর ঐতিহ্যবাহী রিও সিনেমা ভবনের দেওয়ালে প্রত্যেক শিল্পী তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তুলেছেন সাহস, প্রতিরোধ ও আশার গল্প। তাদের সৃজনশীলতায় উঠে এসেছে সমাজ, প্রকৃতি ও নারীর সংগ্রামী কণ্ঠস্বর।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ফিয়ারলেস: দেওয়ালচিত্রে সাহসের গল্প

এ কর্মশালার অভিজ্ঞতা নিয়ে আহসানা আঙ্গনা দেশে ফিরেই বগুড়ায় এমনই এক শিল্পকর্ম গড়ে তুলতে চান। তার লক্ষ্য—নারী কেন্দ্রিক কমিউনিটির পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনের অজানা গল্পগুলো দেওয়ালচিত্রে রূপ দেওয়া। যাতে সমাজের সব স্তরের মানুষ অনুপ্রাণিত হতে পারেন।

ফিয়ারলেস শুধু একটি দেওয়ালচিত্র প্রকল্প নয়। এটি সাহসী নারীদের কণ্ঠস্বর, প্রতিবাদের ভাষা এবং পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। আহসানা আঙ্গনার এ উদ্যোগ বাংলাদেশের শিল্প ও সমাজের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এসইউ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।