গোলাম রববানীর কবিতা
একটি রক্তগোলাপ এবং অন্যান্য
একটি রক্তগোলাপ
শুধু তোমাকে দেখলে
পৃথিবীর সমস্ত শান্তি গোলাপ
যেন ফোটে আমার বুকে।
মায়া
এ কেমন মায়ায় জড়ালে সোনা
যাতনার জ্বালানিতে পুড়ে বুকে জ্বলে
হৃদয়ের এই প্রদীপখানা।
চিন্তাগাছ
শোনো, মরে যেতে চাই আমি
মরণকে চিরকাল বাঁচিয়ে দিয়েই
তোমার স্মৃতিজুড়ে আমি নামক চিন্তাগাছটি লাগিয়ে।
আধুনিক মুখখানা
তোমার সামনে এসে বসলেই আমি
যেন স্বর্গোদ্যানের পরম শীতল ছায়াতলে
নরম কোমল বিছানায় অনন্তঘুমের জগতে
আধুনিক মুখখানা দেখি।
মনবস্ত্র
নিয়ম যখন নিয়তির কাছে পিছলে পিছলে পড়ে—
অগ্রহায়ণের ঘনকুয়াশায় কেটে কেটে আমি
তোমার সমস্ত অঙ্গে সঙ্গোপনে মাখামাখি করি।
শুনতে কি পাও
তোমার সামনে এসে বসলেই পাঁজরে কাঁপন ওঠে
যেন যন্ত্রণায় বুকে এক ভুঁইচাপা ফোটে; আর
আবিদা আবিদা করে নির্ঘুম রাত অনবরত ডাকে।
দিতে চাই একখণ্ড মানভূমি
কষ্টের কারখানা খুলেছি বুকের ভেতর
ভালোবাসার সোনালি ফসল উৎপাদন করবো বলে,—
তোমার জন্য বুকের মধ্যে অনাবাদি ভালোবাসা;
আবিদা, তোমার জন্য আবাদি মানভূমি পড়ে আছে।
ধূলিকণা ভেবো
তোমার চলার পথে ধূলিকণা হতে চাই
ইচ্ছেমতো মানে মনের মতো তুমি মাড়িয়ে যাবে,
আমি বুক পেতে পেতে সহ্য করে নেব সবই
তোমার চরণের তলে অযত্নেই কি আমার ঠাঁই হবে?
আমি তো পথের সামান্যই ধূলিকণা,
তুমি কি আমার হবে টিলাকন্যা? এই আমি ধূলিকণা।
লেনাদেনা
যুগের চেয়ে ভালোবাসা বড় একটু এগিয়ে এসো—
এসে এই নাও হাতটি ধরো;
মন নিয়ে মন বেঁধো।
চিকন বিড়ম্বনা
অবহেলা কেন করো তুমি; তুমি প্রেমের ফুল—
আমার মনের ঠিকানা তোমার চিত্ত হোক ব্যাকুল।
আমার মতো উতলা এ মধ্যরাত দুপুর।
আলতো স্পর্শে
রাতচাঁদ, আচমকা একদিন
কোনদিন আঙিনায় এসে যদি হুট করে ছুঁয়ে বসে,—
শোনো প্রিয়, মেখে কি নেবে খুব আদরে?
মায়াতে কি জড়াবে তোমার ভালোবাসার চাদরে?
ভালোবাসি
অথচ আমি সবকিছুই রাখবো আদ্যোপান্তের মতো
তুমি শুধু তোমার অন্তরটুকু খোলা রাখো—
আমি জানি না আসলে;
যেটা বলতে চাই আমি সেটা তুমি বোঝ কি না...
চোখ পড় কি না, মন পড় কি না, মনে রাখো কি না
এসইউ/এমএস