আব্দুল্লাহ হকের ছড়া: কাজীর বিড়াল
কাজী পোষে বিড়াল ছানা,
অঢেল ছিল খাদ্যখানা।
দুধভাত খায় হাপুস-হুপুস,
শরীর হলো নাদুস-নুদুস।
চালচলনে বাঘের বাচ্চা,
খেয়ে ঘুমায় বাবু আচ্ছা।
আদর করে ডাকে ‘রকেট’
গলায় পরায় সোনার লকেট।
যেই না কাজী জুতো পরে,
অমনি দৌঁড়ে দু’পা ধরে।
বায়না যে তার মিষ্টি খাবে,
বাজার থেকে আনতে হবে।
কোলে বসে পা গুটিয়ে,
বেশি খেয়ে যায় মুটিয়ে।
রাত্রি হলে কাঁথার তলে,
ঘুমায় যেন ছেলেপুলে।
কী জানি কী অসুখ হলো,
বদ্যি ওষুধ পথ্য দিলো।
তবু শেষে বিড়াল ছানা,
বেছে নিলো শেষ ঠিকানা।
কাজীর বুকে বিদায় শোকে,
কান্না ঝরে দুটি চোখে।
দেখতে আসা আপনজনা,
সবার দাওয়াত, পাবে খানা।
মোল্লা মুন্সি আরও স্বজন,
সাথে আসে কবি ক’জন।
সেদিন থেকে ঘুমের মাঝে,
কাজী হেঁটে বিড়াল খোঁজে।
এসইউ/এমএস