স্মরণ সভা
‘কবি জাহিদুল হকের হৃদয়ে ছিল পুরো বাংলাদেশ’
‘যিনি চিত্রকল্পকে আধুনিক করতে পারেন না; তিনি আধুনিক কবি হতে পারেন না। শিল্পমানের দিক থেকে কবি জাহিদুল হক ছিলেন একজন আধুনিক বাংলা কবি ও গীতিকার। তিনি ছন্দ দিয়ে আধুনিক কবিতা লিখে গেছেন। এই নিভৃতচারী কবি ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন সজ্জন মানুষ আর কবি ও গীতিকার হিসেবে ছিলেন বিশিষ্টতায় মণ্ডিত।’
২৭ মার্চ রাজধানীর মালিবাগে সারেঙ সাহিত্য সভার উদ্যোগে কবি জাহিদুল হক স্মরণ ও ইফতার আয়োজনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ‘তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাস ছিল কিন্তু তাঁর হৃদয়জুড়ে ছিল আস্ত বাংলাদেশ। তিনি বড় মানুষ, বড় কবি ও বড় গীতিকার। স্বভাবসুলভ সারল্য দিয়ে তিনি মানুষকে কাছে টেনেছেন। তিনি হৃদয় নিঙরিয়ে রচনা করেছেন ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয় তবু কেন ক্ষয়ে ক্ষয়ে যায়’র মতো অসম্ভব জনপ্রিয় গান।’
সারেঙ সম্পাদক আবদুর রহমান মল্লিকের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন কবি জাকির আবু জাফর। আলোচনা করেন কবি কামরুজ্জামান, আতিক হেলাল, জামালুদ্দীন বারী, ফজলুল হক খান, সাইদুজ্জামান শিপন, ছড়াকার মামুন সরওয়ার, ওয়াহিদ জামান, কচিপাতা সম্পাদক আলেয়া বেগম আলো, কবি সুজন বিশ্বাস এবং কবি ফাতেমা ইরাজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন
- মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার পেলেন মোস্তাফিজুল হক
- ১০ লেখককে সম্মাননা দিলো অনুপ্রাণন প্রকাশন
সভায় আমেরিকা প্রাবাসী কাজী জহিরুল ইসলাম প্রেরিত ‘চিরশিল্পের দেশে চলে গলেন জাহিদুল হক’ শীর্ষক স্মৃতিচারণমূলক নিবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। নিবন্ধে কবি জাহিদুল হকের সঙ্গে সুচিত্রা সেনের সাক্ষাৎ এবং সংগীতশিল্পী রেবেকা সুলতানের বিষয়টি সবাইকে মুগ্ধ করে।
জাহিদুল হক (১৯৪৯-২০২৪) ছিলেন কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক ও গীতিকার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ বেতারের উপ-মহাব্যবস্থাপক, টানা চারবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য, বাংলা একাডেমির ফেলো, বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘চিরশিল্পের বাড়ি’ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক, বেতার বাংলা পত্রিকার সম্পাদক এবং রেডিও ডয়েচে ভেলের সিনিয়র এডিটর ও ব্রডকাস্টার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। কবির পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুণবতী ইউনিয়নের আকাদিয়া গ্রামের ভূঞা বাড়ি।
এসইউ/জেআইএম