তানিয়া রাত্রীর তিনটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:০৬ এএম, ১১ মার্চ ২০২৪

স্বপ্ন ধরে বেঁচে আছি

মরণের হাত ধরে
স্বপ্ন ছাড়া কে বাঁচতে পারে?
আমার স্বপ্ন! আমার মৃত্যু! আমার প্রেম সব একাকার হয়ে গেছে
মৃত্যু তোমার রূপ ধরে আসুক প্রিয়,
খুব আদর করে কাছে এসে বলুক
আমার সঙ্গে চলো
চলো ভেসে যাই দূর কোনো স্বপ্নের দেশে।
কত নগর-বন্দর খুঁজেছি আমি;
শেষ পর্যন্ত তোমার কাছে এসে থামি
তুমি যদি মরীচিকা—হও আমি তবে হবো মরুভূমি—
এই যে বাতাস নাকমুখ ছুঁয়ে গেল আঁধারের দিকে,
আঁচল বুক থেকে খসে পড়ল
তোমার ওই সুন্দর জন্তুর মতো দেহে
শুধু রক্ত, শুধু শরীর? আর কিছু নেই?
তাই বাঘের বিক্ষোভ নিয়ে
আমাকে হরিণী করে
নদীর কিনারে-নিয়ে গিয়েছিলে—রাতে?
তুমি ফিরে এসো আবার:
আমার উজ্জ্বল মৃত্যু হয়ে
আমার প্রেম হয়ে
দুঃখময় পৃথিবীতে আমরা সব পুরোনো হয়ে গেলাম
তবুও জলজপ্রাণীরা আজও করে ভিড়
শৈবালের নিচের জলের মায়ায়!
প্রেম-স্বপ্ন-মৃত্যু
প্রেম কি আমাদের হৃদয়ে?
হে স্থবির প্রেমিক, কী চাও বলো তো—
সাদা মেঘ বক পাখির পালকের মতো?
আর কত পরে আমার মৃত্যু হয়ে আসবে তুমি?
পাখির মতো মেঘের মতো সুন্দর নই আমি
তাই তো মৃত্যুও তোমার মতো আমার মোহে পড়ে নাই আজও।
আজও সব চতুষ্পদ, সরীসৃপ নদীর ধারে
ঘুরে বেড়ায়।
কত রাতপাখির গান জোছনায় ধুলো হয়ে উড়ে গেছে!
আমি কেবল মৃত্যুর অপেক্ষায়
স্বপ্ন ধরে বেঁচে আছি।

****

পদাবলি শুনতে চাই

তোমার ঘরের সামনে যেন
আমার কবর হয়—
তাহলে যখনই তুমি পথে বের হবে
আমি তোমার সামনে পড়ে যাবো—

আর আমি যে অন্তরের অচিনপুর থেকে
বার বার তোমায় ডাকবো
আমার কবরের দিকে তাকালেই
তুমি তা শুনতে পাবে—
আমাদের মধ্যে আর কোনো দূরত্ব থাকবে না—
আমি তো সারাজীবন তোমার
অফুরান জীবনের ধারা বিবরণী শুনেছি—
তোমার রূপকথাগুলো শুনেছি—
মৃত্যুর পরেও আমি তোমার—
পদাবলি শুনতে চাই—

****

আমার শহরে আগুন

এই দেখো আমার বিরাণ প্রাণ!
তুমি কখনো কোনো মরুতে বৃষ্টি দাওনি!
তাই আগুন জ্বলে সর্বক্ষণ!
অথচ আমি এমন এক মরু যে
জলের বাসনায় ডুবেছিল!
তুমি বর্ষার মেঘের মতো পাগল
জানোই না কোন পথ এড়িয়ে
কোন ছাদ ভিজিয়ে দিতে হবে
তবুও তোমায় সঙ্গে নিয়েই চলছি—
এবার আমার শহরে আগুন লাগবে!

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।