কাব্য
২৯ ফেব্রুয়ারি
অবিকল একই রকম প্রভাত
নাম ক্ষণ তারিখ শুধু আলাদা
রোজকার মতোই একই সুর্য একই শব্দ একই গন্ধ,
তবুও কোথায় যেন কিছুতে ভিন্নতা নিয়ে আসে
উৎসবের দিন না মোটেও কিন্তু ভিন্ন।
না বোঝা কোনো স্মৃতির মতো আবেগে নিমজ্জিত শেওলাধরা পুকুরে ভাসমান কচুরিপানার পাতার অভ্যন্তরে, ছেড়ে যাওয়া ট্রামের শব্দে আর বাতাসে ভেসে বেড়ানো নিকোটিনের ধোঁয়ায়...
আচ্ছন্ন মন ভেবে যায় বিরামহীন যতিচিহ্ন বিহীন
সে ভাবুকগে...
সব দেশেই আসলে সব গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়
কিঞ্চিৎ ভিন্ন আমেজে...
শুধু সাধনাকে সাথী করে অপেক্ষা করতে হয়,
গল্ফ বলটা ধীরে সুস্থে কখন ঠিকঠাক গড়িয়ে গর্তে পড়বে, খানিকটা তেমন।
বরং মেনে নাও
না বোঝা অংকগুলো প্রয়োজনেই এসেছিলো,
বিষাদে না ডুবে, হর্ষে না ভেসে, থতমত না থেমে...
বুঝে যাও বা না যাও দিন কিন্তু বদলাবেই
সময়ের সাথে, সময়ের আগে...
পাতা ঝরে যাওয়ার আগে, পাখি উড়ে যাওয়ার পরে..
পাটের খড়ি বা শুকনো ডালপালা যেটাই হোক না জ্বালানি সকালটা জ্বলবেই
সূর্য উঠে যাওয়ার পর থেকেই শিশিরের সোঁদা গন্ধ মিশে ধোঁয়া ছড়াবে স্মোকি ফ্লেভারের, শুকনো কাঠ কয়লা পুড়ে ছাই হয়ে ভেসে বেড়াবে বাতাসে,
সেতুবন্ধন ঘটবে পুরনোর আর নতুনের।
পাওয়া যায় না কেবল মানুষগুলোকে,
মানুষগুলোই শুধু আলাদা এদেশে ওদেশে
চেহারায় গঠনে, হাসিতে, ক্রন্দনে, কষ্টে, মননে...
কেউ কারো সাথে মেলে না,
অসম্ভব রকমের আলাদা!
সময় বদলের ক্ষণে তুমিও কি বদলে যাবে?
বরাবরের মতো সরল অংক আর জটিল ধাঁধায়
জীবনের মঞ্চে উল্টো সিধায়...
অথবা মায়ার বাঁধনে হৃদয় তরপায়,
খাবি খেয়ে যায় চেনা অচেনায়
না দেখা, না জানা, কোনো প্রভাতের অপেক্ষায়!
এমআরএম/এএসএম