চিরতরে ছুটি এবং অন্য কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৩ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২৩

জান্নাতুল নাঈম

তোমায় চিরতরে ছুটি দিলাম
পথে-প্রান্তরে অভিমানের ছুরির ফলা রেখেছি
তোমার দিকটায় আর যাওয়া হবে না
হৃদয় উত্তাল ঝড়ে আছড়ে পড়লেও
তবুও আর কখনো ডাকবো না।

তোমায় চিরতরে ছুটি দিলাম
আষাঢ় জোয়ারে ভেসে বনভূমির মতো হয়েছি
কান্নার বৃষ্টিতে মন ভিজিয়ে নিয়েছি
এইবার যদি শুষ্কতায় হৃদয় তৃষ্ণায় ফেটে যায়
তবু পৃথিবীর বুকে ডাকবো না।

তোমায় চিরতরে ছুটি দিলাম
অখণ্ড নির্জনতাকে বরণ করে নিলাম
দুঃখ দরজায় এঁটে তোমার মুখ আড়ালে গেলাম
যদি দুঃখে বুক ফেটে গভীর কান্না নামে
তবু আর কিছুতেই ডাকবো না।

****

শতভাবে ভালোবেসেছি

যদি চিৎকারে বলা যেতো
তোমাকে শতবারে শতভাবে ভালোবেসেছি
তাহলে বুকের ভেতর যা দুঃখ জমা ছিল
কিছুটা হলেও কমতো
এটা যে মানুষের আবাসস্থল
সুস্থ মানুষ এখানে চিৎকার করে না।

যদি পৃথিবীকে বলা যেতো
তোমার জন্য জীবনকে পিছিয়েছি
তাহলে রোজ রোজ বুকের ভেতর ঝড় তুলে
কিছুটা হলেও কমতো
এটা যে মানুষের আবাসস্থল
সব দুঃখ জানাতে নেই।

যদি একবার তোমাকেই বলতে পারা যেতো
তোমার জন্যই আমার ভীষণ দুঃখ হয়
তাহলে রোজ রোজ অন্ধকারে চোখের জল পড়ে
তা কিছুটা হলেও কমতো
এটা যে মানুষের আবাসস্থল
ভালো না থাকলে ভালো আছি বলতে হয়।

****

আমার কিচ্ছু হয়নি

তুমি চাইলেই অনেক কিছু হতো
একটা সংসার হতো
উনুনে প্রতিদিন নাস্তা বানানোর গল্প হতো
দুপুরে ডাল ভাত মাছে টেবিল সাজানোর তাড়া থাকতো
ছুটির দিনে বিকেল নামলেই চায়ের কাপে লড়াই হতো
রাত নামলেই অপেক্ষারা সুন্দর হতো
তুমি চাওনি বলেই আমার কিচ্ছু হয়নি।

তুমি চাইলে মাতৃত্বের আস্বাদন পেতাম
মা মা ডাক লক্ষ কোটি বার শোনা হতো
টকটকে লাল শাড়িতে বেলী ফুলে বউ সাজা হতো
মুঠোভর্তি চুড়িতে জল ঢালা হতো
সঞ্চয়ের টাকায় আনন্দ কেনা হতো
কত কিছু হতো
তুমি চাওনি বলেই আমার কিচ্ছু হয়নি।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।