আস্থাদের ভুলে গেলে এবং অন্য কবিতা
আস্থাদের ভুলে গেলে
বৃষ্টিরা ছেড়ে গেল হঠাৎই
আমাকে না জানিয়েই
এক পাখি বলে গেল জনান্তিকে কিছু কথা।
শোনা কথায় সরিয়ে নিলে মন
আড়াল করেছ উদার
যেন ঢেকে দিলে আকাশ
ছেঁড়াখোঁড়া মেঘে গেল ঢেকে অতঃপর।
পোড়খাওয়া কষ্টগুলোকে এক নিমিষেই তুচ্ছ করলে!
তোমার কপালের আস্থার ছাপগুলো ভুলে গেলে এত সহজেই!
তবুও জ্যোৎস্নাভাঙা চুম্বন তোমার গালে।
****
মালনীছড়া চা বাগানে
সবুজমোড়ানো সিঁড়ি মালনীছড়ায়
বিকেলের স্নিগ্ধ বাতাসে পড়ন্ত সূর্য
ছোট পাখিদের কিচিরমিচির
শান্তপ্রিয় ভাঙামেঘদের
শিশুর মতন ওড়াউড়ি সারাবেলা
উপত্যকায় রুপালি নৃত্য, বয়ে চলা
আরও রং, লাল কমলা গোলাপি সাদা
উজ্জ্বলগুলো এলোমেলো
বিন্দুদের খেলা।
কী নীল অপ্সরা!—সবুজের কার্পেটে
নরম রোদে ঝিকিমিকি রঙের বেহায়াপনা
এই তো নীল, এই তো রয়েল-ব্লু খয়েরি কালো
এই নীল বিন্দুতেই নিশ্চল হয়ে যাই।
****
মহুয়াবন, স্পর্শ এবং তারপর
ও বন-পাপিয়া, একটু দাঁড়াও
তোমাকে ছোব বলে
এই সরষে ক্ষেতে দৌড়ে দৌড়ে ক্লান্ত
নিস্তেজ প্রায়।
তোমার পাখায় অর্কেস্ট্রা
এবং মাতাল রেণু ভাসে—
ওই মহুয়া বনে আমিও যাব।
পেছনে স্পর্শ কার!—মনীষার?
ও পাপিয়া, তুমি যাও এবার।
এসইউ/এমএস