উত্তর-ঔপনিবেশিক নিসর্গতত্ত্ব ও আমিনুল ইসলামের কবিতা: পর্ব ০৩
নাজিব ওয়াদুদ
আমার বিশ্বাসের গায়ে ভয়ংকর কৃষ্ণ লেবেল!
আমার অবিশ্বাসের গায়ে জোরজুলুমের হাত!
আমার আত্মবিশ্বাসের দেয়ালে অজস্র গোলার ঘা!
আমার প্রার্থনার ভাষা কুণ্ঠিত;
আমার আপত্তির ভাষা নিষিদ্ধ;
আমার স্বপ্নের ভাষা
ক্রীতদাসের চোখের মতো এলোমেলো;
(শৃঙ্খলিত কোকিলের গান: মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম)
কিন্তু আমিনুল ইসলাম পশ্চিমাদের এই উপনিবেশবাদী আগ্রাসন ও ষড়যন্ত্র নীরবে মেনে নিতে চান না। সেজন্য তিনি শুধু তাদের ছবি এঁকেই ক্ষান্ত হন না, নিজে তার প্রতিবাদ করেন এবং উপনিবেশিতের প্রতিরোধ সংগ্রামের কথাও বলেন। একইসাথে প্রতিকার ও প্রতিরোধের পথও নির্দেশ করেন। ঔপনিবেশিকতা এখন যে নতুন রূপ ধারণ করেছে—তারা অন্য দেশ দখল না করেও তার ওপর নানা উপায়ে শৃঙ্খল আরোপ করছে—সে সম্পর্কে কবি সচেতন এবং তার বিরুদ্ধে সোচ্চার। তিনি তাদের চাপিয়ে দেওয়া সাহিত্যতত্ত্বকেও আক্রমণ করেছেন। আধুনিকতা ও উত্তর-আধুনিকতা চায় না কাজী নজরুল ইসলাম, সুকান্ত, লোরকা, নেরুদা, নাজিম হিকমতের মতো প্রতিবাদী সাহিত্যকণ্ঠ আবারও জন্মলাভ করুক। তারা চায় উপনিবেশিতরা তাদের দেওয়া সাহিত্য-প্রেসক্রিপশনের অন্ধ অনুসরণ করুক। স্বেচ্ছায় তা না করলে ছলে-বলে-কৌশলে তাদের বাধ্য করতে চায় ঔপনিবেশিক শক্তি। আমিনুল ইসলাম সেই ধান্দাবাজিভরা ধূর্ত ঔপনিবেশিক সাহিত্যতত্ত্বকে অস্বীকার করতে চেয়েছেন—
...................অধিকন্তু নয় শুধু প্রতিকার, আমরা
বেমার-বারণ মহাপ্রতিরোধ চাই। চাই ভিটামিনে ভরপুর
নির্মেদ স্লোগান: আর কোনো মৃত্যু নয় অপ বা অকাল।
ডাউন উইথ মাৎস্যন্যায়। লোভের জীবাণু নেশে আমরা রচিব
বিশ্ব জুজুমুক্ত—বাসযোগ্য আলীর আবাস। আফ্রো-এশিয়ার ঘরে
যে মাফিয়া চক্র আনে বর্গীর উৎসব, হালাকু-মদের নেশা,
আমাদের হাতে তার বাড়াভাতে ছাই।
অতএব গুটিয়ে নিয়ে যাও হে বান্ধব—কাব্যতত্ত্ব বিশারদ-
প্রকরণ পুরিয়া ভর্তি সারে সারে হোমিওপ্যাথ কবিতার বড়ি!
ফ্যাশনের হাটে বন্ধু জেনে গেছি, তুমিও তো সখের কবিরাজ।
তোমার চেম্বারে ঝোলে যে সাইনবোর্ড—সে তো আমি আগেও
দেখেছি—অতলান্ত হাঙরের জলসংহিতায়; ওখানে যাবো না।
(রাখো তোমার হোমিওপ্যাথ কাব্যতত্ত্ব: মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম)
আমিনুল ইসলাম ঔপনিবেশিক প্রতীচ্যের ‘আধুনিক’ সভ্যতাকে কটাক্ষ করেছেন। তারাই সবচেয়ে সভ্য, আলোকিত এবং মানবাধিকারের রক্ষক—এই দাবিকে মানতে চাননি তিনি। দুটি বিশ্বযুদ্ধের দুটিই বাঁধিয়েছে পশ্চিমারা। তারাই হিরোশিমা-নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা মেরে সভ্যতাকে ধ্বংস করেছে। পশ্চিমারাই এশিয়া-আফ্রিকা-ল্যাটিন আমেরিকা, আদি-অস্ট্রেলিয়ায় সাম্রাজ্যাবাদী আগ্রাসন চালিয়ে সেসব দেশের মানুষের ওপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছে। তারাই শোষণ করছে বিশ্বকে। তারাই মারণাস্ত্র তৈরি করে সভত্যাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারাই যৌন অনাচার-অজাচারে কলুষিত করে তুলেছে মানবিক নৈতিকতাকে। তারাই গুয়ান্তানামো কারাগারে অমানুষিক অত্যাচার ও নিপীড়ন চালাচ্ছে মানুষের ওপর। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ তারাই বাঁধিয়ে রেখেছে, পৃথিবীজুড়ে যে লাখ লাখ মানুষ অর্ধাহারে, অনাহারে, বিনা চিকিৎসায় চরম দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে তা-ও পশ্চিমাদেরই সৃষ্টি। আমিনুল ইসলাম এই পশ্চিমা ‘আধুনিকতা’র ঘোর বিরোধী। তিনি চান মানবতাবাদী সভ্যতা—যার ধারক ও বাহক মূলত প্রাচ্য। তিনি বলেন—
আমরা আধুনিক নই।
আমাদের নাম কেটে দিন
পণ্ডিত হুমায়ুন- বুশবিদ্যালয়!
লালপিপাসা আমাদের নয়;
আমাদের মাটির কলস।
আধুনিকতার এই হাঙরপ্লাবনে
আমরা রচেছি
নূহের নৌকো—শাল ও সেগুনে।
হাত লাগও লীনা, তুলে নাও
জোড়ায় জোড়ায় কুলমাখলুকের তাবৎ প্রতিনিধি;
এমনকি বাঘ ভালুক সিংহ। কুকুরও!
আমাদের উজানে ভালোবাসার দারুচিনি দ্বীপ,
গন্ধ আনে হাওয়া, আহ্ !
শুধু দেখো—খেয়ালের আঙুল ফসকে যেন উঠে না যায়
আধুনিকতার টাইঝুলানো ইবলিশের প্রতিনিধি কোনো।
(ভালোবাসার নৌকা: মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম)
উপনিবেশবাদী পশ্চিমা বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতি সাধনের নামে সমাজ থেকে পারিবারিক ও মানবিক মূল্যবোধগুলো ধ্বংস করে চলেছে। পরিবার ও বিয়ে ব্যবস্থা ভেঙে ফেলছে। বৃদ্ধ পিতা-মাতা, দাদা-দাদিকে দেখার কেউ নেই। সেখানে হৃদয়-মনের কোনও মূল্য নেই। প্রেম মানে দেহভোগ, ভোগ আর ভোগ। অন্যদিকে প্রাচ্য সভ্যতায় পরিবারগুলো মায়া-মমতার বন্ধনে জড়ানো। এখানে ভালোবাসা আছে, প্রেম আছে, প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ববোধ আছে। সমাজে সামষ্টিক জীবনযাপনের বোধ আছে। আমিনুল ইসলাম কবিতায় সেই প্রেমহীন, মূল্যবোধশূন্য অকূল সমুদ্র ছেড়ে ভারত উপমহাদেশীয় প্রেম-ভালোবাসা-পারিবরিক বন্ধন-নিবিড় জীবনকেই বেছে নিয়েছেন।
আমি তো সারেঙ, মেয়ে! অতলান্ত করি পারাপার
বিনোদিত রাত যায় দিন যায় কী বা থাকে কার!
টানাসক্ত টেনে যাই ঠাঁইহীন জলের অথই
অঞ্জলি ভরেছে কত মুগ্ধঘাটে তৃষ্ণা মেটে কই!
ভূমধ্যসাগর পারে নগ্নউরু বাদামি শ্বেতাঙ্গে
বৃথাই খুঁজেছি শান্তি তৃপ্তিহীন মার্কিনী নিতম্বে।
...
সমস্ত তরল রস কণ্ঠে নিয়ে জমেছে অরুচি
গাঢ়রসে সমাপনী, দাও ঢেলে বরেন্দ্র-যুবতী।
বারঘাটের কানাকড়ি নষ্টচন্দ্র বলুক সকলে
তুমি আনো রাহুমুক্তি, মুখ ঘঁষি পবিত্র আঁচলে।
(জলটুঙি: তন্ত্র থেকে দূরে)
আধুনিকতার নামে, মানবাধিকারের নামে, নারী স্বাধীনতার নামে, সভ্যতার নামে পশ্চিমারা প্রাচ্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চায় তাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি, সংগীত, নৃত্য, পরিবারপ্রথা, বিয়ে, ফ্রি-মিক্সিং, লিভ-টুগেদার, ইত্যাদি। তারা নানা প্রলোভন দিয়েও বশে আনতে তৎপর এসব দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক এবং লেখক-সমাজকে। অনেকেই তাদের পাতানো লোভের ফাঁদে পা দিচ্ছে। কিন্তু চূড়ান্ত পরিণতি খারাপ হতে বাধ্য। আমিনুল ইসলামের কবিতায় এই অবস্থার সূক্ষ্ম ছবি প্রতিফলিত এইভাবে—
শ্মশানে ডাকিয়া সুমনাকে পিশাচিনী
জীবনের মানে শোনায় প্রেতস্বরে
কুটিল শহরে আড়ালের বিকিকিনি
মগজ পড়েছে নগদের খপ্পরে।
প্রজ্ঞার কোষে লোহিত রক্তকণায়
ধোলাই আঙুল ধূর্ত সুচিক্কন
আমরা জড়িয়ে আত্মনাশী ফণায়
ঊর্ণসমাধি রচিছে ঠোঁটের কোণ।
(এই নদী এই হাওয়া: মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম)
তিনি পশ্চিমা সাংস্কৃতিক-সাহিত্যিক আগ্রাসনের বিপক্ষে তার উচ্চারণকে শাণিত ও যুক্তিগ্রাহ্য করে তুলেছেন। আধুনিকতার নামে নিজেদের সাহিত্য-সংস্কৃতি-সঙ্গীত-রূপকথা—সবকিছু মুছে ফেলার নাম সভ্যতা নয়। এটা পশ্চিমাদের সর্বগ্রাসী কূটচালের কাছে বুদ্ধিবৃত্তিক পরাজয় ছাড়া আর কিছু নয়। আমিনুল ইসলাম সেই গোড়ায় হাত দিয়েছেন—
বিনাশী ভাঙনে ভাসে উদাসীন স্রোতের শ্যাওলা পূর্ব জনপদ,
দুলে ওঠে বর্ণমালা, মুছে যায় স্বরলিপি;
কবিতা কি ভেসে যাওয়া? ভেসে যাওয়া সবটুকু বসতিবিমুখ?
পুরাতন খুঁটিখড়ে যে কিষাণ তোলে ঘর পয়স্তিপলিতে
আউশের তাতাভাতে ওঠে যে ঢেঁকুর
আমেনার মাতৃবুকে ফলে যে বলক
আমাদের কবিতা কি দাঁড়াবে না সেইখানে তিষ্ঠিতে ক্ষণকাল উন্মূল প্রহরে?
(সরল অভিজ্ঞান: মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম)
আমিনুল ইসলামের কবিতায় প্রাচ্যের গৌরব-গাঁথা বিশেষ মাত্রা পেয়েছে। পশ্চিমা সংস্কৃতি সবার সেরা এবং পশ্চিমারাই আধুনিকতা ও শিক্ষার প্রবর্তক এ ধারণার বিপরীতে তিনি এশীয় মহাদেশের, বিশেষ করে ভারত উপমহাদেশীয় সভ্যতার, সোনালি অতীতকে তার কবিতায় পুনর্নির্মাণ করেছেন। তার নয় পর্বে রচিত ‘পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি’ নামের দীর্ঘ কবিতাটি উত্তর-ঔপনিবেশিক ভাবনা ও চেতনার উজ্জ্বল উদাহরণ—
দ্যাখো আমরা পার হয়ে এসেছি যমুনা; পা ঠেকেছে প্রাচীন
এক নগরীর ধ্বংসাবশেষে। মাটি খুঁড়ে তোলা কোনো নামহারা
সভ্যতার ধূসর কঙ্কাল; এই লোহা, এই ব্রোঞ্জ—এই যে পাথর-
এসবই সেযুগের জ্ঞানের ফসল: বিস্তারিত নদী ছিল—সমুদ্রও
সুদূরে ছিল না। অনেক বছর আগে এ শহর ছিল প্রেম ও প্রাণের
ঠিকানা; কিছুটা পিছিয়ে হয়ত বা তারা ছিল প্রস্তরযুগের মেধা;
সত্য তবু—শুধুই শিকারি নয়, সওদাগর ছিল তারা আর ছিল
মৃত্তিকার ব্যবহারে দক্ষ কারিগর। চোখ বুঁজে দ্যাখো—শহরের
কোলঘেঁষা বিস্তীর্ণ বন্দরে- শরতের সোনালি প্রভাতে নোঙর
করেছে কত বিদেশি জাহাজ; মাল নিয়ে আবার দিয়েছে পাড়ি
সুদূরের রোমান সাম্রাজ্য কিংবা স্বল্পদূরে শ্যামদেশ; রাতের
তারারা দিনের সিগন্যাল হয়ে হেসেছে আকাশে। এ যুগের
বিশ্ববাণিজ্য তবে অভিনব নয়—যেমন নতুন নই আমি তুমি
অথবা সুমনা। হয়ত ছিল না বাধা—বিধিনিষেধের এত বালাই
ছিল না—প্রিয় মানুষীকে ভালোবেসে হারিয়ে ফেলেনি কেউ—
যেমনটা হারিয়েছি সমুনাকে আমি! কি ছিল সে শহরের নাম?
এখনও যায়নি জানা—জানা বুঝি যাবে না কখনো। অনুমান?
সেও শক্ত। একান্ত সঞ্চয়টুকু দুঃখমূল হৃদয়ের মতো চেপে
রাখে মৃত্তিকাও; আজকাল শোনা যায় নাম—উয়ারী বটেশ্বর; হায়!
আসলে তো উয়ারী আর বটেশ্বর—ঘনপ্রতিবেশি দুুটি সহোদরা গ্রাম!
(পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি: পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি)
এই কবিতায় একইসঙ্গে উত্তর-উপনিবেশবাদ এবং নিসর্গতত্ত্বের বৈশিষ্ট্য ধরা পড়েছে। একই ধরনের চেতনার সন্ধান মেলে তার অন্য অনেকগুলো কবিতায়। যেমন—
একদিন বরেন্দ্রের ভাতের সুঘ্রাণে
সমুদ্র জঙ্গল ভেঙে এসেছিল মুগ্ধ পায়ে
তুর্কী-চীন-মগ-আরবি-মঙ্গল-তাতার
আজ সেই মুগ্ধছাপ গাঙ্গেয় তল্লাট জুড়ে রয়েছে নিভৃতে;
তারাও গিয়েছে নিয়ে নকশিকাঁথার বুক, যমুনার প্রেম
মধ্যপ্রাচ্যে, মহাচীনে, আফ্রিকার গহীন অন্তরে
সঙ্গোপনে বাতি জ্বেলে অম্লান আজো তা ঝড়ঝঞ্ঝা রুধি।
কবিতা কি যাবে না সেখানে
খুঁজে নিতে প্রত্নহাতে ছন্দগর্ভ পথখানি শিলা-ঘাসে ঢাকা?
ভোঁ-কাটা ঘুড্ডি হয়ে উড়বে কবিতা?
আমরা জ্বলবো ভুলে শুধু ধার করা বোধানলে বিষাদ নগরে?
স্তনিত বটপত্রে চৈত্রসাঁঝে বাজে আজো প্রান্তরের সুর—
কবিতার হাত ধরে আমরা যাবো না কেন হৃদয় জুড়াতে?
(সরল অভিজ্ঞান: মহানন্দা এক সোনালি নদীর নাম)
আমিনুল ইসলাম তার কবিতায় ভারত-উপমহাদেশীয় অর্থাৎ প্রাচ্যের গৌরবময় অতীতকে পুনরুজ্জীবিত করে তুলতে প্রয়াসী হয়েছেন। বেহুলা-লখিন্দর, চাঁদ সদাগর, বরেন্দ্রভূমি প্রথম অনার্য রাজ্য স্থাপনকারী কৈবর্তশাসন, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, মহাস্থানগড়, সিন্ধুসভ্যতা তার কবিতায় পুনরুজ্জীবনমূলক চেতনায় স্থান লাভ করেছে। তেমনই এসছে তিতুমীর, সিরাজউদ্দৌলাহ, রানী ভবানী, নূরলদীনের মতো উপনিবেশবিরোধী চরিত্রও। তার কবিতায় নয়া-উপনিবেশবিরোধী হুঁশিয়ারি আছে, আছে নিজেদের গৌরবময় অতীত ও সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সম্পর্কে নিজেদের আরও সজাগ ও শ্রদ্ধাশীল করে তোলার প্রয়াস—
ছুটে আসে বিশ্বঢল, শিকড় বিপাকে
নগ্ননিতম্ব হাসে হাজারে হাজারে
আমি তো তাদের নয়, চেয়েছি তোমাকে
গড্ডালিকায় ব্যতিক্রম মুক্তবাজারে।
তোমার চেতনারাঙা শিমুল পলাশ
তোমার মনন জুড়ে আমনের রঙ
আমিও শিখেছি দ্যাখো শব্দঘন চাষ
আমাকে কিনিবে কোন্ ছিনালির ঢঙ!
(তুমি হলে সন্ধ্যাবতী সকলি কবুল: কুয়াশার বর্ণমালা)
চলবে...
আরও পড়ুন
উত্তর-ঔপনিবেশিক নিসর্গতত্ত্ব ও আমিনুল ইসলামের কবিতা: পর্ব ০১
উত্তর-ঔপনিবেশিক নিসর্গতত্ত্ব ও আমিনুল ইসলামের কবিতা: পর্ব ০২
লেখক: কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক।
এসইউ/এমএস