তাইজুল ইসলামের তিনটি অনুগল্প

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৯ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

নক্ষত্র বিনাশ

কে আপনারা? কী ব্যাপার কথা বলছেন না কেন? আরে আরে চোখ বাঁধছেন কেন!

ডাক্তার সাব ঘরে আছেন? ডাক্তার সাব...
তোমরা! কী চাও? কেন আসছো এখানে?

আসছি... (এত রাতে আবার কে এলো!)

তারপর সবাইকে নিয়ে ছুটলো মাইক্রোবাসটি। গন্তব্য—ইটখোলা, রায়েরবাজার।

****

আমরা তোমাদের ভুলবো না

‘পনেরো তারিখে তমারা আসছে। সেইসাথে এবার মুনিয়ারাও আসছে।’
‘আরে বাহ্! এ তো দারুণ নিউজ!’ খুশিতে আত্মহারা পারভীন আরা।
‘কী মজা! সবাই মিলে দারুণ একটা পিকনিক হবে, কী বলো আব্বু?’ ইভা ভীষণ উল্লাস নিয়ে কথাটা বলল।

১৬ ডিসেম্বর। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার পরপরই শুরু করেছে পিকনিকের আয়োজন। বক্সে হিন্দি-বাংলা গান বাজছে। বক্সের উচ্চ শব্দের ধাক্কায় বাড়িটা কাঁপছে।

খানিকটা দূরেই প্রাইমারি স্কুলের মাইকে বাজছে—‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা, আমরা তোমাদের ভুলবো না...’

****

পতাকা

‘আমার আর দশ-বারোটা আছে। এগুলো বেচা হইলেই হইয়া যায়!’
‘মারাত্মক ভুল হইয়া গেছে। আরও আনা উচিত আছিলো আইজ। একটাও বাকি থাকতো না। সব বেচা হইয়া যাইতো।’
খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে দুই পতাকা বিক্রেতার কথা শুনছে ট্রাফিক সার্জেন্ট।

হঠাৎ দু’জন দু’দিকে ছুটে যায়। পতাকা উঁচিয়ে সিগন্যাল দিতেই থেমে যায় সব গাড়ি। খুঁড়িয়ে চলা ছোট্ট কুকুরছানাকে চাকার তলে যাওয়া থেকে বাঁচায় একজন। আর অন্যজন ফুটপাতে পড়ে থাকা পতাকাটা কুড়িয়ে চুমু খেয়ে বুকে জড়িয়ে নেয়।

অবাক চোখে তাকিয়ে সার্জেন্ট মনে মনে ভাবে, ‘ওদের পতাকা আমাকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়, ভালোবাসতে শেখায়।’

লেখক: সম্মান শেষ বর্ষ, ইংরেজি সাহিত্য বিভাগ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।