আজিজ কাজলের শরতের দুটি কবিতা
নাগরিক কাশবাস
সিনথেটিক নরম ঘাসে লুকিয়ে আছে মানুষপোকা। পরিবেশবাদী পোকাগুলো ফুটন্ত কড়াইয়ে অঙ্গার হচ্ছে;
তাদের রেশমি সুতার বাকলপিষে তৈরি হচ্ছে অনাহূত ঝড়ের ইতিহাস—এখানে নম্র-শরতের কোনো এন্ট্রি নেই।
আছে বড়সড় কোনো ফটোফ্রেমের ভ্রম; শুকনা দলা।
কংক্রিট মাচাঙের ভুল ডালে লতিয়ে উঠি, হয়ে যাই অধীর
নাগরিক-ছাওয়াল—শত্রু-ঘন অন্ধকার ছেড়ে দাঁড়াই
উঠানে।
শরৎফুলের মৌ-ঘাট ফেলে, গো-ধুলার গরুগুলো বাড়ির
কাছে আসছে—এদিকে আবারও ভুল পাঠে লিখে ফেলি
শরতের নতুন কবিতা!
****
শরৎ ঘাটে
তোমার নীরবতা আজ শরতের বিষণ্ন নাগরিক;
এলোকেশে চুল ঝাড়ো, অথচ ফোটে না ধবধবে শরতের
কাশফুল; তোমার মনমিতি বাষ্প হয়ে হয়ে উঠছে—
পাটশাক আর লাল করলার উজ্জ্বলতা ঠিকই বাড়ছে!
একটি রুমাল পড়ে আছে কুয়াশা মাখা শিশিরে,
ঠিক তোমার মায়ায় ফোটা নোলকসোনার ডালে;
আমি ধীবরের শাশ্বত প্রেমই বুঝি আর ডোমের রঙে
ঝাঁজি বিষণ্ন তোমায়।
এসইউ/এএসএম