আদি সানমের তিনটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৮ পিএম, ২৮ মে ২০২২

হাতঘড়ির কোলাহল

এমন জন্মনাড়ের সঙ্গতায় এক নৃত্য সম্ভ্রম বাঁচিয়ে চিকন মসলিন কুয়াশার মতো নিরীহ বৃষ্টিধূসর দিনে রৌদ্র থেকে শহরে লাল ইটের রং ঢেকে ওঠা বাড়িটার পাশে বটফলের শালিক ছায়ার এস্রাজ প্রভা খুব ঘোরলাগা বিনিময়ে নেমে এলো, অবিরাম আনন্দ, দিনশেষে-এ পৃথিবীর মাঝপথে প্রভুর শাদা প্রার্থনা ঠেকিয়ে সব প্রকাশ আর চমৎকার উল্লাস নিয়ে সুন্দরের কোলাহলে
সন্ধ্যার অপরূপ লাবণ্য ডুব দেয় শান্ত হাতঘড়ি সমুদ্রে;

****

জেদি মুখ

বাজারের প্যাকেটে বয়ে নিচ্ছে রাত্রিগুলোর ঝিঁঝিঁ
ডাক-চকচকে নিপুণ আঙুলের স্পর্শ বসানো জেদি
মুখ-মুখরিত আর গোলার্ধ চোখ এবং সাংসারিক
ঝগড়ার গভীরে শস্যক্ষেত; মৃত্যুর আগে-
পথ, তোমার এই অলীক বনে কতবার নেমেছে,
প্রেমিকার নার্সিং ছায়া, জানবার ছিল।
কত গাছপাতার শিস খসায়ে নিজের ডাকনামে বিকেল বলে
সন্ধ্যার সঙ্গীন ঘড়িকাঁটায় পেরোয়ে গেছে
রাতভর আলাপ, আচ্ছা, সব শেষে বলতে পার?
বেদনা ফলাতে কী খুব জোর নীরবতার আংশিক
সুন্দর প্রয়োজন!

****

হরিণসন্ধ্যায় জলের গান

অথচ এই দিনগুলো, আজও বাতাসে ওড়ে।
ফিটকিরি ধোয়া বিশুদ্ধ দূর বন হতে
হরিণসন্ধ্যায়-মাংসত জ্যোৎস্নার মুখস্থ
এক শব্দের পাশে পয়সার মতো
বৃষ্টির ফোঁটা জমাট বেঁধে একটা
নির্জন স্নানের গান বেজে যাচ্ছে।
বোধহয়, কারোর সুর চুরি করে
আমিও নবান্ন প্রেমের মুখোমুখি
প্রিয় ঘনিষ্ঠ চুমুর দুরূদ শব্দ ঘটাই।
আর বাইসাইকেল হেলান দিয়ে
বিষণ্ণ ঠোঁটবতী নারীর মেঘময় শহরে
দাড়ি-কমার ঢেউয়ে শিকারি ধরে
বেল বাজায়ে যায়
ল্যাম্পপোস্টের গা ঘেঁষে বেড়ে ওঠা
কাঠ চেরাইয়ের বাণিজ্য মেশিন,
রাত্রি নেমে আসে-মেঘের ভেতরে
বহু উদাসীন জলের গায়ে বিউগল ফেনা ঢুকে...

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।