আবু আফজাল সালেহের গ্রীষ্মের ৩টি কবিতা
দুপুরের সূর্যে সৌন্দর্য
দুপুরের রোদে যখন হাওয়া বয়ে গেল
শহর ও গ্রামজুড়ে তাপের অগ্নিশর্মা-রূপ
সূর্য আকাশে নিঃসঙ্গ
দেখতে সোনালি গোলার মতো।
কিন্তু আলোর সৌন্দর্য
আমার চারপাশে সব সবুজ সবুজ বাঁক;
কেননা আমার সামনের বারান্দায় বসে আছে দেবী
তার সৌন্দর্য যখন আমার চিন্তার আফ্রোদিতি।
দুপুরের সূর্যের মতো তার সৌন্দর্য দেখছি।
২.
সমুদ্রের ধারের একটি গ্রীষ্মসন্ধ্যা
গ্রীষ্মের সন্ধ্যায় বাতাসে সুগন্ধি ভেসে বেড়ায়
রাতের ছায়ায় সমুদ্রের নোনা গন্ধ
ধীরে ধীরে ঘন বেগুনি অন্ধকারে চাঁদের আলোয় ঢোকে
কিছু প্রান্তে তারারা মিটমিট করে আকাশ গ্রাস করে।
ঢেউ আছড়ে পড়ছে চেনা প্রান্তরে
সমুদ্রের ধারে হাঁটা, ছায়াময় ছাপ
যেন হাজার মাইল দূরের অতীতের আটকে থাকা
প্রেয়সীর উষ্ণ আলিঙ্গন।
এই সৌন্দর্য আর সেই নস্টালজিয়া
এ তো সূর্যকেও নিঃস্ব করে দেয়।
সৌন্দর্য তো চিরকাল চাঁদের রাতের ঘরে ডালপালা মেলে।
৩.
গ্রীষ্মের এক বিকেল
নয়নতারা ফুটে আছে এক মফস্বল শহরের ছাদের এক কোণে
দুটি ছোট্ট দোয়েল তাতে ঝুলে শিস দেয়।
সুউচ্চ ছাদ থেকে অগ্নিশর্মা গ্রীষ্মের এক গোধূলিবেলায়
একটু দূরের বহতা বাঁকা নদী
তীরের লম্বা ঘাসের ঢেউ আর গোলাপ ফুল
সবুজ পাতার প্রস্ফুটিত তৃণভূমি,
স্বচ্ছ সবুজের মাঝে মাঝে রঙিন ফুল
লাল গোলাপি ফিরোজা হলুদ নীল…
নীল আকাশ এবং উজ্জ্বল সূর্য
মেঘগুলো থমথমে, হালকা বাতাস
উষ্ণ বাতাসে লোভনীয় গন্ধ, মিষ্টি সুর।
বঙ্গদেশের গ্রীষ্ম-বিকেল
আহা, মরতেও সাধ জাগে এ বিকেলে!
এসইউ/এমএস