শীতকালীন প্যাঁচা ও অন্যান্য

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১

আবু আফজাল সালেহ

শীতকালীন প্যাঁচা

একটি ধূসর প্যাঁচা চুপচাপ বসে আছে
শীতের গাছের ডালে,
বাদামি ও তামাটে পালক
সামান্য বক্রতা দিয়ে বিন্দুযুক্ত,
গোল গোল বড় চোখ
কিছু সরানোর জন্য অপেক্ষা
যাতে সে নিচে নামতে পারে
তার রাতের খাবারের জন্য।

অন্যের ক্ষতি প্যাঁচা বুঝবে না!

****

স্বাধীন ছিলাম

দীর্ঘ শীতের রাতে মৃদু হাওয়া বইছে
চুলের মধ্য দিয়ে বইছে শীতলতা
সকালের হালকা কুয়াশা যেমন ভেসে যায়,
আমার রঙিন পাল উড়ছে,
ঘূর্ণায়মান নীল মাধ্যমের প্রাতঃরাশ।

আমি তোমাকে সেখানে নিয়ে যাব;
যেখানে আমরা স্বাধীন ছিলাম।

****

দখলদারত্ব

চাঁদের নরম কিরণ পড়ছে
রাতের নীরব জমিজুড়ে
উপর থেকে শীতল বাতাস
পাহাড় থেকে আলতো করে নামছে।

গাছের ঘন খাদ
ঝুপড়ি, ঝরাপাতা, অট্টালিকা
নদী, পাহাড় এবং চারপাশে
স্নিগ্ধ চাঁদনী বয়ে যাচ্ছে
যেন আকাশ থেকে ঝরনা ঝরছে।

সূর্য রাতের দীর্ঘ ঘুম থেকে উঠে
আকাশের উপর তার রাজত্ব দাবি করে।
দুর্বলেরা সব সময় হেরে যায়
স্নিগ্ধরা সব সময় প্রজা হয়।

আমাকে স্বাধীনতার রাজ্যে নিয়ে চলো।

****

চাঁদের আলোয় দেবী

চাঁদের আলো মাপবে বলে
এই দীর্ঘ পথচলা তার।
সে তার রূপ পরিবর্তন করে
সে তার শরীরের উপর ঝুলন্ত
জ্যোৎস্না-আলো তাকে দেবীতে পরিণত করে।
কিন্তু জানোয়ারেরা উৎসাহী খুব
রক্তের জন্য
সবচেয়ে বন্য এবং দ্বিগুণ উচ্ছৃঙ্খল।

জানোয়ার পেরিয়ে কিংবা এড়িয়ে
প্রতি ভরা জ্যোৎস্নায় দেখা হয়
একটু উষ্ণতা পাওয়ার জন্য
একটু হারিয়ে যাওয়ার জন্য।

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।