পরান

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪৮ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২১

সালমা সুলতানা

আট বছর হতে চললো সোনিয়ার বিয়ে হয়েছে। অনেক ডাক্তার, কবিরাজ দেখিয়েও কোনো লাভ হয়নি। ভীষণ অবসন্ন, বিষাদগ্রস্ত মনে দিন যায়, রাত আসে। রাত আসে দিন যায়। শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে।

অবশেষে এলো সেই ক্ষণ। পরম আরাধ্য কোনো কিছুর আকস্মিক পাওয়ায় সোনিয়ার ভেতর-বাহির দারুণ আনন্দে উদ্বেলিত। বসন্ত-বাতাসের সুমধুর হিল্লোল ছুঁয়ে যায় তার প্রতিটি মুহূর্ত। মুখে না বললেও সুখানুভূতি গুলোর চিকচিকে উপস্থিতি স্পষ্ট তার চোখে-মুখে। মাতৃত্বকালীন স্বর্গীয় অনুভূতির কাছে শারীরিক কষ্ট একেবারেই নস্যি। প্রতিটি মেয়ে সানন্দেই তা সহ্য করে। বিকেলের সোনারোদে বসে আছে সোনিয়া। পড়ন্ত বেলার হাল্কা-মিঠে আলোয় ভীষণ সুন্দর লাগছিল তাকে। এ রূপ কোনো উচ্ছ্বল কিশোরীর নয়, নব-যৌবনা কোনো যুবতীর নয়! এ রূপ সন্তানসম্ভবা একজন মায়ের!

দু’হাতে খাবার বোঝাই করে বাড়ি ফেরে মুনিষ! কী নেই সেখানে! বড় বড় কয়েক জাতের মাছ, সবজি, নানা ধরনের ফল-মূল।
‘পরানের মা, তুমি কই! এই দেখো কত খাবার নিয়া আইসি।’ দৌড়ে ঘরে চলে যায় সোনিয়া। পেছন পেছন মুনিষও গিয়ে ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়।
তুমি যে কী! লজ্জা-শরমের মাথা খাইসো! সবার সামনে এমন কইরা পরানের মা, পরানের মা করতে ছিলা, আমার লজ্জা লাগে না বুঝি!
ডাকুম! একশবার ডাকুম! তাতে কার কী! আমার পরানের মায়েরে আমি মন ভইরা ডাকুম।
মুনিষ বাহুবন্দি করে সোনিয়াকে। সোনিয়াও আহ্লাদিত হয়ে মুখ লুকায় মুনিষের বুকে। এতদিন পর যেন নতুন এক মুনিষকে আবিষ্কার করে সোনিয়া।
শোনো বউ, তুমি কিন্তু ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করবা। ডাক্তার আপা কী কইসিলেন, মনে আছে তো? প্রচুর শাক-সবজি, ফল-মূল খাইতে হইবো তোমার। রক্ত বাড়ে এমন খাবার বেশি খাইতে কইসিলেন তিনি। তাছাড়া প্রতিদিন দুধ, ডিম না খাইলে তুমিসহ আমাগো পরানও যে পুষ্টিহীনতায় ভুগবো। তুমি যা খাও, তা কিন্তু তুমি আর পরান ভাগাভাগি কইরা খাও। তাই তোমারে কিন্তু আগের চেয়ে বেশি খাইতে কইসেন আপা।
আমি কি রাক্ষস! দুইজনের খাবার একলা খামু! তোমার কি মাথার ঠিক নাই।
মাথা আমার ঠিকই আছে। তুমি সব ভুইলা যাও বউ। ডাক্তার আপা কইসিলেন, একটু একটু কইরা বারবার খাইতে।
আচ্ছা বাবা! ঘাট মানলাম! চেষ্টা করুম তোমাগো কথা শুনতে। আমি না খাইলে আমার পরান যে ক্ষিধায় কষ্ট পাইবো! এই কথা বলতে বলতে সোনিয়া কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিল। হয়তো সে তার পরানের তুলতুলে গাল ছুঁয়ে আদর করছিল। মুনিষের বুকে মুখে নাক ঘঁষতে থাকে। কখনো বা উদ্দেশ্যহীন হাতড়ে বেড়ায় তার আঙুলগুলো মুনিষের চুলের মধ্যে। বিলি কাটতে কাটতে ভীষণ আদুরে গলায় জানতে চায়—
আচ্ছা পরানের বাবা, তুমি আমাকে এত ভালোবাসো ক্যান?
এইডা তুমি কি কইলা বউ? তোমারে ছাড়া কারে ভালোবাসুম। তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে? তাছাড়া তুমি তো আমার পরানের মা!
ও, তুমি পরানের মায়েরে ভালোবাসো। আমারে বাসো না, তাই না!
কেন তুমি হঠাৎ এই কথা কইলা!
পরান আসার আগে তুমি তো কোনদিন এত খেয়াল রাখো নাই। কোনদিন তো জানতেও চাও নাই ক্যামনে আমার সময় কাটে! কতদিন অজানা অভিমানে, কখনো নিজের লগে অভিমান কইরা না খাইয়া ঘুমাইয়া পড়ছি। কই কোনো দিন তো ডাইকা উঠাও নাই! ইচ্ছা হইতো তোমারে লইয়া রাত জাইগা একসাথে জ্যোৎস্না দেখি। ইচ্ছা হইতো তোমার বুকে মাথা রাইখা বাঁশি শুনি। তুমি কি সুন্দর বাঁশি বাজাইতা এক সময়। খুব খুব ইচ্ছা হইতো জানো! কইতে সাহস পাই নাই।
সোনিয়ার দু’চোখের কোণে অভিমানের শিশির জমে। মুনিষ আরও শক্ত করে বুকের সঙ্গে চেপে রাখে সোনিয়াকে।

আজ হঠাৎ সোনিয়ার কেন এত অভিমান হলো সে নিজেও জানে না। হয়তো পরানের আবির্ভাবে নিখাদ ভালোবাসা আর বঞ্চনার তফাতটা খুব স্পষ্ট হয়ে গেছে তার কাছে। মুনিষও খুব চিন্তায় পড়ে গেছে। তবে কি সোনিয়া টের পেয়ে গিয়েছিল তার আর রোকাইয়ার সম্পর্কের কথা। তা না হলে এতদিন পরে কেন জানতে চাইলো, ‘আমি তারে ভালোবাসি কি না!’
ওঠো তো! বাদ দাও ওসব কথা! অনেকক্ষণ হইলো কিছু খাও নাই। আর শোনো বউ, ফলগুলা খাওয়ার আগে আর সবজিগুলা রান্নার আগে অবশ্যই কিন্তু কমপক্ষে বিশ মিনিট কুসুম গরম পানির সঙ্গে লবণ অথবা ভিনেগার মিশাইয়া ভিজাইয়া রাখবা। তাতে নাকি খাবারে কীটনাশক থাকলে প্রায় ৬০-৭০ ভাগ চইলা যায়। আর শোনলাম, ফরমালিন নাকি যায় প্রায় ৯০ ভাগই।
কী জানি কইলা ‘ভিনেগার’ নাকি! এইডা আবার কী জিনিস?
এইডার স্বাদ টক। বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আমি তোমারে কিন্না দিমুনে।
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সোনিয়া। এ কোন দেশে বাস! খাবার খাওনেও শান্তি নাই। এত কষ্টের কামাই দিয়া নিশ্চিন্তে একটু খামু তারও উপায় নাই।
আচ্ছা পরানের বাপ, তুমি এগুলা কই হুনলা!
রেডিওতে হুনলাম।
খাবারে বিষ মিশাইয়া তাগো লাভ কী!
কোনো লাভ নাই। আসলে আমাদের কৃষকরা জানে না, কোন কীটনাশক কী পরিমাণ দিতে হয় কিংবা দেওনের কতদিন পরে সবজি তুলতে হয় ক্ষেত থেকে। কোনো কোনো কীটনাশক ছিডানোর একদিনের মধ্যেই তোলা যায়, কোনোটার জন্য একুশ দিন অপেক্ষা করতে হয়। আমাদের দেশের কৃষকরা হেইডা জানে না। জানলেও হয়তো মানে না। তয় হুনতাসি, এইডা নিয়া সরকার ব্যাপক প্রচার চালাইতাছে। বিনা মূল্যে কৃষকদের ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করবো।

পরাণ পেটে এসেছে প্রায় মাস তিনেক হতে চললো। যত দিন যেতে থাকে, পরানের বাপের উচ্ছ্বাসে কেমন যেন একটু ভাটা পড়তে থাকে। যেন ক্রমশ জ্বলতে থাকা সলতের শেষ নিভুনিভু আলো। সারাক্ষণ খুব চিন্তিত মনে হয় তাকে। সোনিয়ার যত্নে এতটুকু ঘাটতি নেই কোথাও কিন্তু আগের সেই উষ্ণতা কেন যেন পায় না ও। আসলে একান্ত নিজের কারো অনেক বেশি পরিবর্তনের দরকার হয় না। তাদের খুব সামান্য কিছুও চোখ এড়ায় না।

দীর্ঘ সাত বছর সোনিয়া-মুনিষ একসাথে আছে। মুনিষের কোনো কিছুই তো তার অজানা নয়। কেন আজ ওকে হঠাৎ অচেনা লাগছে। তবে কি তারা শুধু পাশাপাশিই ছিলো, কাছাকাছি নয়। তবে কি মুনিষ তাকে কিছু এড়িয়ে যাচ্ছে! কী সেটা! যা তার অগোচরে করতে হবে। মুনিষ তো কোনোদিন সোনিয়াকে না জানিয়ে কোনো কিছু করেনি। কত অভাবে কেটেছে তাদের! তবুও তো তারা সুখেই ছিল। হঠাৎ কী এমন হলো, যা সোনিয়াকে না জানিয়ে তার একার সিদ্ধান্তে করতে হবে।
আচ্ছা পরানের বাবা! তুমি হঠাৎ এত চুপ হইয়া গেলা ক্যান? অভিমান করছো আমার সাথে? নাকি পরানের সাথে। আমাগো বাপ দেরী কইরা আমাগো কাছে আইছে তাই! রাগ কইরো না বাজানের লগে।
আরে না বউ! কী যে কও তুমি! বাজানের সাথে রাগ করমু ক্যান! ও যে আমাগো সোনামানিক! আচ্ছা বউ, দেরী হইয়া গ্যাছে। আমি কামে যাই। আমার আইতে একটু দেরী হইবো। তুমি কিন্তু খাইয়া নিও। দু’কথা বলে খুব সন্তর্পণে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যায় মুনিষ। কিন্তু সেটা সোনিয়ার চোখ এড়ায় না।
তুমি আইলে একলগে খামু। মহাজনরে কইয়া একটু তাড়াতাড়ি আইবার চেষ্টা কইরো। কইবা আমার পরানের মা অসুস্থ। কথাটা বলেই একটা সলজ্জ হাসি দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে সোনিয়া।

ভীষণ তোলপাড় হতে থাকে মুনিষের ভেতরে। একদিকে সোনিয়ার আকুতি ভরা করুণ চাহনী, তার সন্তানের মা হতে যাচ্ছে সে! অন্যদিকে রোকাইয়া! যে তাকে ঘিরে স্বপ্নের জাল বুনতে শুরু করেছে ইতোমধ্যে। রোকাইয়া সোনিয়ার বান্ধবী হওয়ায় অবাধ প্রবেশ ছিল মুনিষদের বাড়িতে। আর দেখতে-শুনতে বেশ সুন্দরী হওয়ায় মুনিষেরও যে তাকে একদম ভালো লাগেনি, তা নয়। কিন্তু জীবনসঙ্গী হিসেবে তাকে কখনো পেতে চায়নি মুনিষ। কারণ সোনিয়াকে নিয়ে সে বেশ সুখেই আছে। সোনিয়া সন্তান দিতে অক্ষম ছিল বিধায় মুনিষের মা ছেলেকে আবার বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুনিষ সোনিয়াকে ছাড়া কখনোই অন্য কাউকে ভাবেনি তার জীবনে। চায়নি জড়াতে এমন কোনো সম্পর্কে। কিন্তু মন এমন একটা জিনিস, কখন যেন লাগামহীন হয়ে নাগালের বাইরে চলে যায়, না বলে, না কয়ে। সোনিয়া আর সে একে-অন্যের দুঃখ-সুখের সাথী হয়েই যুগল জীবনযাপন করছিল। সেখানে অভাব ছিল কিন্তু ভালোবাসার কমতি ছিল না। যে করেই হোক, আজ সে রোকাইয়াকে জানিয়েই দেবে, সে আর এই সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারবে না! কোনোভাবেই সোনিয়াকে কষ্ট দিতে চায় না সে। চায় না এমন সুখের দিনে সোনিয়ার চোখের জলের কারণ হতে।

সন্ধ্যায় কাজ সেরে মুনিষ বাড়ি ফেরার পথে রোকাইয়ার সঙ্গে দেখা করে। মুনিষের গলার আওয়াজ পেয়েই ঘর থেকে দৌড়ে বের হয় সে। হাঁপাতে থাকে রোকাইয়া।
এই অসময় তুমি! কোনখান থেকে আইলা?
আমার লগে একটু সামনের দিকে আসো।
এই সন্ধ্যাবেলা?
জরুরি কথা আছে।
গোধূলীর শেষ রংটুকুও আর অবশিষ্ট নেই। সন্ধ্যার আকাশে চাঁদের বাঁকা হাসি। রাস্তার দু’ধারে ঠায় দাঁড়ানো মেহগনি, গগন, শিরিষ গাছগুলো। ঝিরঝির করে বইছে দখিনা বাতাস। একটানা ডেকে যাচ্ছে ঝিঁ ঝিঁ পোকাগুলো। সন্ধ্যার আবছা আলোয় মুনিষের বুকের খুব কাছটায় দাঁড়িয়ে আছে রোকাইয়া। তার তপ্ত নিশ্বাসে কপালের এলোমেলো চুলগুলো উড়ছিল রোকাইয়ার। অপলক তাকিয়ে আছে সে মুনিষের চোখের গভীরে। শক্ত করে ধরে আছে মুনিষের হাত। আর মুনিষ আলতো হাতে কানের কাছে গুঁজে দিলো রোকাইয়ার বিক্ষিপ্ত চুলগুলো। তবে কি মুনিষ পারেনি রোকাইয়াকে ফিরিয়ে দিতে? তবে কাকে ভালবাসে মুনিষ? রোকাইয়াকে নাকি সোনিয়াকে?

একটা মন দু’ভাগ করা কি সম্ভব হয় কখনো? হয়তো কোথাও থাকে দায়বদ্ধতা, কোথাও মন পড়ে যায় বাঁধা অসময়ে, অকারণে! আর তখনই শুরু হয় নিজের সাথে নিজের যুদ্ধ। সে যুদ্ধে জয়ী হতে ক্ষত-বিক্ষত হয় হৃদয়। মনের দৌরাত্ম্যের লাগাম টেনে ধরতে বদ্ধপরিকর মুনিষ। নাহ, আর কিছুতেই রোকাইয়ার দ্বারস্থ হবে না সে। রোকাইয়ার সঙ্গে সম্পর্কের শেষকৃত্যের জন্য সমস্ত আয়োজন করলো মনে মনে। যতই কষ্ট হোক তার। সোনিয়ার সঙ্গে রাতে তেমন কথা বলে না মুনিষ! কোনোরকম নাকেমুখে খাবার দিয়ে বিছানায় চলে যায়। নেপথ্য যুদ্ধরত সে নিজের সাথে। মুনিষের এই পরিবর্তনে বুক ভেঙে যায় সোনিয়ার। নিজেকে সামলাতে পারে না। আজ যা হয় হবে! মুনিষের সাথে বোঝাপড়া করবেই সে। সোনিয়া আস্তে করে গায়ে হাত রাখে মুনিষের— তোমার কী হইছে পরানের বাপ! মহাজনের লগে ঝামেলা? আমারে খুইলা কও। তুমি তো কোনদিন এমন করো নাই আমার সাথে। সুক-দুক্কু ভাগাভাগি কইরা আমরা জীবন-নদী পাড়ি দিসি। মরণ-বাঁচন সবই করুম একসাথে। আমাগো পরান আইতেছে দুনিয়ায়, আর কষ্ট কিসের কও তো! এমন খুশির দিনে মন খারাপ কইরা থাইকো না পরানের বাপ। আল্লাহ বিপদ দেয় মানুষরে, আবার আল্লাহই রক্ষা করে। তোমারে এমন দেখলে আমার যে খুব কষ্ট হয়।

কথা বলতে বলতে কণ্ঠ রোধ হয়ে আসে সোনিয়ার। চোখ দিয়ে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়ে। ভিজে যেতে থাকে তার কণ্ঠাদেশ। রাত তখন কত, কে জানে! নিশীথের নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে সোনিয়ার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার ক্ষীণ আওয়াজ। ভাঙচুর হচ্ছে তার ভেতরে। আবেগের পরাজয় হয় নৈতিকতার কাছে, নিখাদ ভালোবাসার কাছে। মুনিষ আস্তে পাশ ফিরে দু’বাহুর ভেতরে টেনে নেয় সোনিয়াকে। কান্নার তোড়ে মুহুর্মুহু কেঁপে উঠছিল সোনিয়া। অন্ধকারে চিকচিক করা সোনিয়ার চোখের জল মুছে দেয় মুনিষ পরম আদরে। কুণ্ডুলি পাকিয়ে মুনিষের বুকের মধ্যে আশ্রয় নেয় সোনিয়া।

বহুদিন পর সব সংশয়ের প্রাচীর ভেঙে কখন যেন দুটি প্রাণ এক হয়ে যায় ভালোবাসার বন্যা-ধারায়। অনেক বেলা হয়ে যায় তাদের ঘুম ভাঙতে। মুক্ত জানালা দিয়ে সকালের নরম রোদ এসে পড়ে সোনিয়ার চোখে-মুখে। ঠোঁটের কোণে তার তৃপ্তির হাসি। মুনিষ একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকে সোনিয়ার ঘুমন্ত মুখের দিকে।
‘পরানের মা’—মুনিষের ডাকে সকালে ঘুম ভাঙে সোনিয়ার। আঁধবোজা চোখে আহ্লাদিত সারা দেয় সে—উম্ম!

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।