টিপু সুলতানের তিনটি কবিতা

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২১

একটা আন্দাজ ফিরে এলো

যতবার চোখদুটো বেচতে যাই।

ততবার দেখি নাচের ঝুমুর থেকে
কমলা শিস বেরিয়ে আসছে।
চড়ুই চুম্বনে-প্লাবিত মৌখিক গান
সুনসান বিছানো-খুনসুটি আলো!
জীবনের শেষ পাতায় মুড়িয়ে
রাখার মতো শ্রেষ্ঠ সঞ্চয় অনেক
অঙ্কুরোদগম পরিচিত দেহপল্লি

প্রথমত নগরে বিরতিহীন মানুষের
দেখা পেয়ে একটা আন্দাজ ফিরে
এলো, ঝুঁকে পড়ল মধুমেহ উদযাপন
সন্ধের চা কাপে নিস্তরঙ্গ চুমুকে
পাঠচুক সেরে নিই বাসি পোস্টার—
কায়দা করে বাঁচো। পৃথিবীর সঙ্গে;

সেখানে ভেসে যাচ্ছি। স্নায়ু মাতৃক!

****

জমাট বাঁধা গর্ব

আমারও স্বপ্ন হাসে, সম্ভবনা দেখলে।

এখন দিন কাটে অন্যরকম ভাবে
আশ্বিনের সকালে গর্ব সাজায়ে রাখি
রুটিন করে, বেডরুমের জানালায়
মত প্রকাশে সিংহ জীবন উড়ছে

দুটি চড়ুই দম্পতি শালবীথি চিৎকার
—বেচতেছে, এমন রাহাজানি ভাবনা
বড্ড মধুর স্বাদ এনে দিতে পারে!
নগরে প্রস্ফুটিত মানুষের কোলাহল
সে একটা উত্তাল নদী দেখা যায়—
শেকড়ে বন, উর্বর-মাঠ, মাঠের শস্য
চা কাপে সাজানো সুদক্ষ চুমুক
এমন জীবনের জাগরণ তৃষ্ণায় ওড়ে!

****

একা হেসে উঠি

একা হেসে উঠি। এবং বিরতিহীন
গান শুনছি, নেমে আসে ঘোর—

ভাবছি কী লিখব, নগর কেবিনে বসে

তাঁহার দেহতল্লাটে উর্বর পলি
লবণের স্বাদে উড়ছে সারা সন্ধে!
হোটেলে নান রুটি, মোরগ পোলাও
চা-কফি নিমগ্ন ঝুঁকে আছে
নতুন স্বপ্ন, স্বপ্নের ভেতরে সিরিজ;
অপেরা শরণার্থী, স্বাধীনতাকামী
রাতপোকা প্রাণি মালিকানাধীন হতে
প্রায় একা কাটে, প্রায় স্বপ্ন ভাঙে!
মানুষের সঙ্গ পেতে সম্পর্ক খরচা
করতে হয়। হু, আত্মস্নায়ু বেচে দিই
মাটির কাছে শিকড়-শস্য নিয়ে যেতে!

এসইউ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।