আর্নেস্ট হেমিংওয়ে: সাগ্নিক সন্ন্যাসী লেখক

সাহিত্য ডেস্ক
সাহিত্য ডেস্ক সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ১৪ জুন ২০২১

সালাম সাকলাইন

আমি ১৯৭৮-৭৯ সেশনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় বিটিভিতে হারম্যান মেলভিলে’র (আগস্ট ১, ১৮১৯-সেপ্টেম্বর ২৮, ১৮৯১) বিখ্যাত মবি ডিক (১৮৫১) উপন্যাসের ওপর নির্মিত চলচ্চিত্রটি দেখি। মবি ডিক দেখার পর আমার মনে হলো এটি আমেরিকান গ্রেট উপন্যাসের মধ্যে অন্যতম গ্রেট উপন্যাস। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের লেখার সাথে আমার তখনো পরিচয় ঘটেনি। সেই সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করতেন অধ্যাপক আবু তাহের মজুমদার।

মবি ডিক সম্পর্কে তাঁর সাথে আমার কথা হয়। তিনি জানালেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দি সি’ (১৯৫২) উপন্যাস পড়লে বুঝবে উপন্যাস কাকে বলে। আর্নেস্ট হেমিংওয়ের ‘দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দি সি’ পড়ার পর মনে হলো তিনি যেনো আমেরিকার কথা সাহিত্যের নব নির্মাণের দুয়ার খুলে দিয়েছেন। তাঁর সাহিত্য কীর্তির বাখানি এ নাতিপরিসর নিবন্ধে তুলে ধরা সম্ভব নয়। প্রকৃত অর্থে তাঁর কর্ম সম্পর্কে একটা সাধারণ ধারণা তুলে ধরাই এই লেখার মূল উদ্দেশ্য। ১৮৯৯ সালের ২১ জুলাই ইলিনয়ের ওক পার্কে হেমিংওয়ের জন্ম। তাঁর জীবন যাপন অন্য দশজন মানুষের মতো ছিল না। স্পেনের লড়াকু বদরাগী ষাঁড়ের তীক্ষ্ণ শিংয়ের দাপটের সাথে হেমিংওয়ের জীবনাচরণের অনেকটা মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। এই উড়নচণ্ডী ও মেজাজি স্বভাবের অদম্য প্রভাব তাঁর উপন্যাস ও ছোট গল্পে দুর্লক্ষ্য নয়।

আর্নেস্ট হেমিংওয়ে রচিত গ্রন্থের মধ্যে ‘থ্রি স্টোরিজ অ্যান্ড টেন পোয়েমস ১৯২৩’, দি টোরেন্টস অব স্প্রিং ১৯২৬, দি সান অলসো রাইজেস ১৯২৬, এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস ১৯২৯, ডেথ ইন দি আফটার নুন ১৯৩২, টু হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নট ১৯৩৭ এবং দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দি সী ১৯৫২ সর্বাধিক আলোচিত ও সমাদৃত। তবে ১৯৫০ সালে প্রকাশিত ‘অ্যাক্সস দি রিভার অ্যান্ড ইনটু দি ট্রিজ’ এবং ১৯৩৭ সালে প্রকাশিত ‘টু হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নট’ তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের তুলনায় বড়ই নিরস ও নি¤œমানের। এ দুটি উপন্যাস পাঠে পড়–য়াগণ কল্পনাতীত হতাশ হয়েছেন। তবে অন্যান্য লেখায় তাঁর নির্মাণ শ্রেষ্ঠত্বকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা বিস্মিত হই একজন দিনমজুর, ক্ষেতচাষী, হোটেলবয় এবং সৈনিকের কলমে এইসব কালজয়ী লেখাসমূহ রচিত হয়েছে। এ থেকে একটি কথা প্রমাণিত হয় যে, বাহ্যিকভাবে হেমিংওয়ে কর্কশ ও লড়াকু হলেও আন্তরিকভাবে তিনি ছিলেন জাতশিল্পী। প্রাথমিক জীবনের দুঃখ ভোগ, বিশ্বযুদ্ধের অশান্তি, প্রেমঘটিত আশাভঙ্গের বেদনা তাঁকে ভবঘুরে এবং মেজাজি বানিয়েছে। এসব কারণে তিনি ক্রমশ দুঃসাহসী জীবনের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। এতে লাভ ক্ষতি যাই হোক তা আমাদের বিচার্য নয়। বরং একথা বলা ভালো যে, এই বৈচিত্র্যপূর্ণ যাপিত জীবনের প্রলম্বিত ছায়াপাতে তাঁর উপন্যাস ও ছোট গল্প ঋদ্ধ হয়েছে।

১৯২৫ সালে হেমিংওয়ের ১৫টি গল্পের সংকলন ‘ইন আওয়ার টাইম’ প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের মধ্য দিয়ে আমেরিকান কথাসাহিত্যে এক শক্তিশালী কথাশিল্পীর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। তাঁর ছোট গল্প নিপুণ বুননে তুলনারহিত। গল্প উপন্যাসে তিনি সর্বদাই বাহুল্য বিষয়গুলো বর্জন করেছেন। তাতে ঘটনা পরম্পরা সুঠাম শরীরবৃত্ত লাভ করেছে।

‘দি সান অলসো রাইজেস’ প্রকাশিত হয় ১৯২৬ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী পৃথিবীর মানুষের রিক্ত হৃদয়ের কথার অনুরণন দেখা যায় এই উপন্যাসে। এটির কাহিনির পরিবেশনা, সংলাপ খুবই শক্তিশালী। বইটি প্রকাশের পর পাঠকের মনে সাড়া জাগাতে তিনি সক্ষম হন। ‘দি সান অলসো রাইজেস’ উপন্যাসে আমেরিকান ও ইংল্যান্ডের যেসব ছিন্নমূল বা পরিবার-বিচ্ছিন্ন মানুষ প্যারিসে নির্বাসিত জীবন-যাপন করছিলেন তাদেরই মর্মবেদনার কথা আছে। এ বিষয়টি কথা সাহিত্যে নতুন না হলেও হেমিংওয়ের উপস্থাপনা গুণে স্বাতন্ত্র্য লাভ করেছে। মূলত এ উপন্যাস প্রকাশের পর হেমিংওয়ে সাহিত্যিক খ্যাতি অর্জন করেন। বইটি প্রকাশের এক বৎসরের মধ্যে ছয়বার মুদ্রিত হয়। ১৯২৬ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত এই বইটির প্রায় ১০ লক্ষ কপি বিক্রি হয়। এ থেকে অনুমিত হয় যে পাঠকমহলে বইটি সম্পর্কে ব্যাপক ঔৎসুক্য ছিল। তবে ‘ম্যান উইদাউট উইম্যান’ কম বিক্রি হয়নি। এটি প্রকাশের প্রথম ছয় মাসে ১৯ হাজার কপি বিক্রি হয়।

১৯২৯ সালে হেমিংওয়ে ‘এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস’ উপন্যাস প্রকাশ করেন। এতে মার্কিন লেফটেন্যান্ট ফ্রেডরিক হেনরি ও ইংরেজ নার্স ক্যাথারিন বার্কলের অমিত প্রেমের কথা আছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ পরিণতি ও অসহনীয় কষ্ট-কারুণ্যের ছায়াপাত ঘটেছে বইটিতে। বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্ত‚পের ওপর দাঁড়িয়ে হেমিংওয়ে গভীর ভালোবাসার ছবি অংকন করেছেন। হেনরি ও বার্কলের কথায় ও কাজে আমরা এই বক্তব্যের সমর্থন পাবো।
বার্কলে বলে : তুমি কত মিষ্টি! .... যদি কিছু মনে না কর, তোমাকে সানন্দে চুমু দেব আমি।
ঠিক সেই সময়ে হয়তো কোন রণাঙ্গনে যুদ্ধ হচ্ছে, হয়তো মারা যাচ্ছে কেউ। কিন্তু এখানে হেনরি ও বার্কলে নিবিড় প্রেমবন্ধন রচনায় ব্যস্ত। ক্যাথারিন বার্কলের আত্মার আকুতি : তুমিই আমার ধর্ম, তুমিই আমার সর্বস্ব। .... তুমি কোন দিন আর কারো কাছে যাবে না।
হেনরি বলে: না, কোনো দিন আমি তোমাকে ছেড়ে অন্য কারো কাছে যাব না। .... তুমি সুন্দর তুমি মধুময়ী।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ক্যাথরিন বার্কলে মারা যায়। তার মৃত্যু যেনো বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী হাহাকারের মতোই আঘাত করে হেনরিকে।
হেনরি ও ক্যাথারিনসহ রিনাল্ডি, কাউন্ট গ্রেফির চরিত্র চিত্রণে লেখক অনুপম দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন। উপন্যাসের সংলাপ, চিত্রকল্প ও বর্ণনাপ্রবাহ আমাদের বিস্মিত করে। যুদ্ধবিগ্রহের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হয়েও হেমিংওয়ে যুদ্ধকেই ঘৃণা করেছেন এই উপন্যাসে।

‘এ ফেয়ারওয়েল টু আর্মস’ ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের প্রথম চার মাসে ৮০ হাজার কপি বই বিক্রি হয়। ১৯২৯ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত বইটির ১৪ লক্ষ কপি বিক্রি হয়।

১৯৩২ সালে ‘ডেথ ইন দি আফটারনুন’ প্রকাশিত হয়। এটি লেখকের জীবনের আরেকটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্কিত বিষয়ের আলোকপাত। স্পেনের ষাঁড়ের লড়াই তাঁর জীবনে অমোচ্য হয়ে আছে। সেই সাহসিকতাপূর্ণ জীবনালেখ্য অত্যন্ত যত্নের সাথে বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৩৭ সালে হেমিংওয়ের ‘টু হ্যাভ অ্যান্ড হ্যাভ নট’ প্রকাশিত হয়। বইটি মূলত সমালোচকদের জবাব দেবার জন্য লেখা। মানের দিক থেকে হেমিংওয়ের অন্যান্য রচনার সমান্তরাল হয়নি এটি। এজন্য তাঁকে আরো সমালোচিত হতে হয়েছে। এত কিছুর পরেও এটি প্রকাশের প্রথম পাঁচ মাসে ৩৬,০০০ কপি বিক্রি হয়েছে। তাতে মনে হয় সমালোচনা হলেও হেমিংওয়ের প্রতি পাঠকের আগ্রহ বিন্দু মাত্র কমেনি। ১৯৪০ সালে তাঁর ‘ফর দি বেল টোলস’ উপন্যাস প্রকাশিত হয়। পরে এটির কাহিনি নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি হয়। এ উপন্যাসের বাজার আরো গরম ছিলো। বইটি প্রকাশের পাঁচ মাসের মধ্যে পাঁচ লক্ষ কপি বিক্রি হয়। এ বইয়ের ফিল্ম রাইট পান এক লক্ষ ডলার। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, উপন্যাসটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।

১৯৫০ সালে হেমিংওয়ের ‘অ্যাক্রস দি রিভার অ্যান্ড ইনটু দি ট্রিজ’ প্রকাশিত হয়। এ উপন্যাসে ক্যান্টওয়েল ও রেনাটার প্রেমের কাহিনি বিধৃত হয়েছে। এই লেখার মান সম্পর্কে সকলেই হতাশ হয়েছেন। এর চরিত্র, কাহিনি উপস্থাপনা, সংলাপ নির্মাণ কোন কিছুই মানোত্তীর্ণ নয়। কিন্তু এর মাত্র দুই বৎসর পরেই ১৯৫২ সালে ‘দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দি সি’ প্রকাশ করে সাড়া পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টি করেন হেমিংওয়ে। এই উপন্যাসে লেখকের জীবনের অর্জনকে আমরা প্রত্যক্ষ করি। তিনি জীবনে বার বার মৃত্যুর সাথে লড়েছেন। আফ্রিকার জঙ্গলে তিনি প্রবল সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছেন। স্পেনের মারমুখী দুর্ধর্ষ ষাঁড়ের সামনে দাঁড়িয়ে জীবনরঙ্গ করেছেন। অথবা, ধরা যাক- কিউবার উপকূলে বিশাল মাছের সাথে তাঁর লড়াইয়ের কথা। লেখকের এই বর্ণিল ও উত্তেজনাপূর্ণ জীবনের প্রতিচ্ছবি আমরা দেখতে পাই ‘দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দি সি’ উপন্যাসে। এ যেনো টিকে থাকার ক্ষমতা ও সাহসের প্রতি লেখকের শ্রদ্ধার নিদর্শন।

মানুষের টিকে থাকার নিত্য-আগ্রহের কথা, সংগ্রামের কথা মহৎ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন লেখক। বৃদ্ধ জেলে সান্টিয়াগো কিংবা সেই বিশাল মাছের প্রতি লেখকের শ্রদ্ধার কমতি নেই। মমতার কমতি নেই। জেলে, হাঙ্গর, সাগর সবার প্রতি লেখকের দরদ সমান। ‘মানুষ ধ্বংস হতে পারে কিন্তু পরাজিত হতে পারে না’- এই বোধের ব্যাপ্তিই আমরা লক্ষ্য করি এ উপন্যাসে।

১৯৫৩ সালে এই উপন্যাসের জন্য হেমিংওয়ে পুলিটজার পুরস্কার লাভ করেন। আর ১৯৫৪ সালে পেলেন নোবেল পুরস্কার। সকল নিন্দুকের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিলেন এই পুরস্কার প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে। এক কালের দিনমজুর হেমিংওয়ে বিশ্ব-বিজয় করলেন। উপন্যাসের আঙ্গিক নির্মাণে শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রেখে গেলেন আমেরিকান সাহিত্যে। বইটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করে হেমিংওয়ে ৪০ হাজার ডলার আয় করেন। বই প্রকাশের পর সপ্তাহে ২০০০ কপি করে বিক্রি হয়েছে।

১৯৭০ সালে ‘আইল্যান্ড ইন দি স্ট্রিম’ প্রকাশিত হয়। প্রথম তিন মাসে এটির ১ লক্ষ কপি বিক্রি হয়। হাজার সমালোচনার মুখেও হেমিংওয়ের জনপ্রিয়তার কমতি হয়নি। বরং বেড়েছে। আর্নেস্ট হেমিংওয়ে স্বকাল ও ভবিষ্যকালের কথক। তিনি আধুনিক বিশ্বের রণক্ষেত্রগুলো আত্মিক অনুসন্ধানে অংকন করতে চেয়েছেন। অনিশ্চিত পৃথিবীর কোণে কোণে নিশ্চয়তা খুঁজে বেরিয়েছেন। তাই তাঁর সাহিত্যকর্মে বিরাগ, মোহমুক্তি, নৈতিকতার অধঃপতন ইত্যাদির পাশাপাশি অবিশ্বাস, ঘৃণা, সবলতার কথা অনুপম অবয়ব লাভ করেছে। তাঁর ব্যক্তিগত নিঃসঙ্গ, নির্জন, বিচ্ছিন্ন- জীবন যাপনের বিষয়গুলো নানাভাবে সাহিত্য রচনায় তাঁকে প্রভাবিত করেছে। তাঁর উপন্যাস ও গল্পের নায়ক নায়িকারা অনেকটা তাঁরই মতো। তারা সাহসী, স্পষ্টভাষী, উদ্ধত, দুর্বিনীত ও অমিতাচারী।

হেমিংওয়ে সর্বদা চেষ্টা করেছেন পূর্বতন সাহিত্যিকীতিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে তিনি তা পারেননি। তবে প্যারিসে থাকাকালীন হেমিংওয়ের সাথে জেমস জয়েস, এজরা পাউন্ড ও জাট্রুড স্টেইনের সাথে সখ্য হয়। তাদের মননশীলতা হেমিংওয়েকে নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকবে। শস্যক্ষেত থেকে শুরু করে যুদ্ধক্ষেত্র, উত্তাল সাগরের বুক থেকে সমভূমি পর্যন্ত সর্বত্র ছিল হেমিংওয়ের সহজ ও সাহসী পদচারণা। কাজেই তাঁর সাহিত্যকর্মে সাহসী জীবনের কথা বিধৃত হবে সেটাই স্বাভাবিক।

১৯৬১ সালের ২ জুলাই হেমিংওয়ে নিজের বন্দুকের গুলিতে আত্মহত্যা করেন। এ মৃত্যুও তাঁর জীবনের অন্য দশটা ঘটনার মতোই চমক সৃষ্টিকারী ঘটনা। ‘দি ওল্ডম্যান অ্যান্ড দি সি’ পাঠ করে মনে হয়েছে আর্নেস্ট হেমিংওয়ে সম্পর্কে অধ্যাপক আবু তাহের মজুমদার স্যারের কথাগুলো অক্ষরে অক্ষরে সঠিক ছিলো।

কৃতজ্ঞতা স্বীকার : অধ্যাপক আবু তাহের মজুমদার

লেখক : নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক, ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, জনসংযোগ অফিস, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।

এইচআর/জেআইএম

বার্কলে বলে : তুমি কত মিষ্টি! .... যদি কিছু মনে না কর, তোমাকে সানন্দে চুমু দেব আমি। ঠিক সেই সময়ে হয়তো কোন রণাঙ্গনে যুদ্ধ হচ্ছে, হয়তো মারা যাচ্ছে কেউ। কিন্তু এখানে হেনরি ও বার্কলে নিবিড় প্রেমবন্ধন রচনায় ব্যস্ত। ক্যাথারিন বার্কলের আত্মার আকুতি : তুমিই আমার ধর্ম, তুমিই আমার সর্বস্ব। .... তুমি কোন দিন আর কারো কাছে যাবে না।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।